বন্ধু পাতানো
বসছে গাছের মগডালে,
'এ্যাই পাখিটা, করছোটা কি
পড়া ফেলে সক্কালে!
তোমায় বুঝি মা বকে না
করতে হয় না হোমটাস্ক,
আন্টি বুঝি এমনি এমনিই
দিয়ে দেয় ফুল-মার্কস্ !
তোমার তো ভাই ভারি মজা
খেলে বেড়াও সারাটা দিন !
আমার তুমি বন্ধু হবে?
খেলবো দু'জন ছুটির দিন।'
সুমন কুমার নায়েক
বোলপুর, বীরভূম
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
প্রকৃতির ধর্ম
একদিন ইস্কুলে গিয়ে দেখে অর্ক
দুইদলে বেধে গেছে বড় জোর তর্ক;
তর্কের কেন্দ্রে ছিলো শীত গ্রীষ্ম
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভয়ানক দৃশ্য।
গ্রীষ্মের বিরুদ্ধে ছিল এই যুক্তি
হাসফাঁস করা থেকে নেই কোনো মুক্তি;
খাদ্যেও সুখ নেই খেয়ে নেই স্বস্তি
খেয়ে পরে বসে শুয়ে শীতে সুখ অস্তি।
হাড় কাঁপা ঠান্ডায় ভোরে ওঠা শক্ত
বাইরে গেলেই যেন জমে যায় রক্ত;
হাত পায়ে টান ধরে খস খস গাত্র
টের পাবে হাড়ে হাড়ে জলে নামা মাত্র।
কাঁঠালের দেশে পাবে আম জাম বিল্ব
রসে ভরা ফলগুলি গরমেতেই মিললো;
সরবতে স্বাদ পাবে,সুখ দেবে লস্যি
বাসনা তৃপ্ত হবে হও যত দস্যি!
শীতকালে পাবে তুমি যত শাক সব্জি
পেট ভরে খেতে পার ডুবিয়ে ঐ কব্জি;
খেজুরের রসে পাবে নলেনের সন্দেশ
পার্বণী পিঠা পাবে খেতে পার কমবেশ।
সবদিক শুনে বুঝে হেঁকে বলে অর্ক
খুব হলো থামো দেখি থামাও বিতর্ক;
শীতকালে শীত ভালো গ্রীষ্মে ঘর্ম
সমতালে তাল রাখা প্রকৃতির ধর্ম।
জামাল ভড়
বারাসাত
উত্তর চব্বিশ পরগনা
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
বরফবুড়ো
থাকে ঝাউয়ের বনে
বরফ ঢাকা পাহাড় চুড়োয়
থাকে মেঘের কোনে
ঝুপ করে শীত নামলে পড়ে
চুপ করে সে শোনে
উলের টুপি মাথায় দিয়ে
শীতের প্রহর গোনে ।
যখন আসে বসন্ত সে
ফুলের রেণু মাখে
বুড়ো তো নয় ছোট্টো খোকা
সবাই তাকে ডাকে ।
বর্ষা হলেই একলা ভেজে
নিজের কাপড় শুকোয় নিজে
গ্রীষ্ম এলেই ছাতা মাথায়
দাঁড়িয়ে সে ঠিক থাকে।
সারা বছর দুষ্টুমি তার
বিচিত্র তার খেলা
ফুঁ দিয়ে মেঘ জড়ো করে
বানায় মেঘের ভেলা
সেই ভেলাতেই ঘুরতে
বেরোয় কম করে দুই বেলা
সঙ্গে থাকে চাঁদের বুড়ি
যায় না তারা দীঘা পুরী
ছায়াপথে বেড়িয়ে দুজন
দেখে তারার মেলা ।।
গুরগাঁও, হরিয়ানা
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
জমজমাট
অরুণ-আভার আভাস পেয়ে
'যাচ্ছি-যাবো' করছে রাত
ভোরাই সুরের বাজিয়ে শানাই
দোয়েল শোনায় 'সুপ্রভাত'
চমকে জেগে কোরাস জমায়
দুরের কুহু কাছের টিয়ে
দীঘির ঘাটে ডাহুক ডাকে
কূঁক কোঁয়া কূঁক কূঁক ককিয়ে।
ভিনগেরামে হাঁকল মোরগ
প্যাঁক বলে হাঁস ভাসল জলে
কার্নিসেতে কাকের কা কা
কুব কুব কুবো ডেকেই চলে।
ভোরের হাওয়ায় আওয়াজ আসে
ঘরের পাশে হরেক রকম
শালিখ চড়াই বুলবুলি আর
পায়রাগুলোর বকম বকম।
ঝলমলানো শরত রোদে
সূয্যিদেবের রাজ্যপাট
পাখপাখালির বৃন্দগানের
জলসা জমে জমজমাট।
রেবতীভুষণ ঘোষ
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: ছড়া-কবিতা
মৌমাছি ও শামুক
বলল – ‘আমার ষোলোটা ছেলেমেয়ে বাড়িতে ঘুমাচ্ছে। তারা এখনও খুব ছোট। হাঁটতে শুরু করার আগে তাদের আরো পনেরো দিন ঘুমানোর দরকার। তোমরা সবসময় এরকম বিশ্রী কানফাটানো আওয়াজ করলে তারা ঘুমাবে কি করে? গতকাল তোমার বাড়ির লোকজন তাদের সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে এসে সারাদিন এখানে ছিল আর ভীষন কোলাহল করেছে। আজ আবার তুমি এসেছ বিরক্ত করতে। এই ভয়ানক আওয়াজ সহ্য করতে না পেরে আমার কোন ছেলেমেয়ে যদি মারা যায় তাহলে আমি গিয়ে তোমাদের গোটা বাড়ি ভেঙ্গে তছনছ করে দেব। তোমাদের কোথাও থাকার জায়গা থাকবে না তখন। তোমরা কি জানো যে এই গাছটা আমার নিজের। আমার মালিক কুড়ি বছর আগে আমাদের জন্যে এই গাছটা লাগিয়েছিল, যাতে এর ফল খেয়ে আমরা বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু প্রত্যেক বছর যখনই এই গাছে ফুল ফোটে তখনই তোমরা দল বেঁধে আস আর সব মধু চুরি করে খেয়ে চলে যাও। তার ওপর সারাক্ষন বিদ্ঘুটে শব্দ করে আমাদের বিরক্ত করো। এক্ষুনি যদি তোমরা এখান থেকে বিদায় না হও তো আমি আমার মালিক আর আমার বাড়ির অন্যান্য লোকজনদের ডাকবো।’
তখন রানী মৌমাছি বলল – ‘তোমরা ধূলো আর নোংরা থেকে জন্মেছ। তোমার কোন মালিক নেই। বাড়িতে অন্য কোন লোকজনও নেই। কোন কালে তোমার পূর্বপুরুষরা সবাই মারা গেছে। তাও কোন মানুষ গ্রাহ্য করনি। কারন এই বিশাল পৃথিবীতে তোমরা কারো কাজে লাগ না। কিন্তু আমরা হলাম মৌমাছি। আমাদের তৈরী মধু খেয়ে মানুষরা ভালো থাকে, শরীরে বল পায়, সাস্থ্য ভালো হয়। মধু ওষুধের থেকেও উপকারী। মৌমাছিরা সারা পৃথিবীর সব জায়গায় আছে। সমগ্র মানবজাতি আমাদের ভালোবাসে। তাই আমাদের জন্যে তারা ফুল গাছ লাগায়। তোমরা কি মনে করো তোমরা মানুষের থেকেও উঁচু দরের কোন প্রানী?
একটা গল্প বলি শোন। একদিন একটা দুষ্টু ছেলে আমাদের বাড়ি ভেঙ্গে দিতে এসেছিল। কিন্তু তার মা তাকে বলল – তুমি অনেক কিছু ভেঙ্গে নষ্ট করো। কিন্তু খবরদার মৌমাছির বাসায় হাত দিও না। ওরা সারাদিন কত পরিশ্রম করে আমাদের জন্যে মধু সংগ্রহ করে। কোন রানী মৌমাছিকে যদি তুমি মেরে ফেল তাহলে তার সব ছেলেমেয়েরা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। তখন শীতকালে আমরা রুটি দিয়ে খাওয়ার মতো একটুও মধু পাবো না। তখন ছেলেটা মায়ের কথা শুনে এখান থেকে চলে গেল। সে পাখি ধরতে পারে, মাছ ধরতে পারে, ফুল ছিঁড়তে পারে, যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু আমাদেরকে কক্ষনো বিরক্ত করবে না কারন আমরা খুব উপকারী প্রানী। তোমরা কী? তোমরা সারাদিন শুধু শম্বুক গতিতে চলাফেরা করো, কারো কোন কাজে লাগো না। ’
মা শামুক এই শুনে খুব রেগে গেল। সে বাড়িতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের বলল – ‘শোন সবাই। মৌমাছিরা আমাদের শত্রু। পনেরো দিন পরে তোমরা হাঁটতে শিখে যাবে। তখন তোমাদের মধ্যে পাঁচজন মৌমাছিদের বাড়ি গিয়ে ওদের মৌচাকটা ভেঙ্গে দিয়ে আসবে।’
দেখতে দেখতে পনেরো দিন কেটে গেল। মা শামুকের ছেলেমেয়েরা হাঁটতে শিখে গেল। তখন তাদের মধ্যে পাঁচজন শামুক মৌচাক ভাঙ্গা অভিযানে বেরলো। হাঁটতে হাঁটতে তারা যখন মৌচাকের কাছে গিয়ে পৌঁছল তখন ঘরে কোন মৌমাছি ছিল না। সব মৌমাছি মধু সংগ্রহে বেরিয়েছে। তাই দেখে শামুকরা ভারি খুশি হল। বলল – ‘চলো আমরা এখন যত পারি মধু খাই।’ সন্ধ্যের আগে পর্যন্ত তারা মধু খেয়েই চলল। এপাশে সন্ধ্যে হতেই সব মৌমাছিরা দলবেঁধে গান গাইতে গাইতে নাচতে নাচতে বাজনা বাজাতে বাজাতে বাড়ি ফিরে এলো। এসেই ঐ পাঁচটা শামুককে দেখতে পেয়ে খুব অবাক হল তারা।
রানী মৌমাছি বলল – ‘তোমরা এখানে কেন এসেছ? আর কেনই বা আমাদের সব মধু খেয়ে নিচ্ছ? এটা তোমাদের বাড়ি নয় আর এই মধুও তোমাদের খাবার নয়। এখন সন্ধ্যে হয়ে গেছে। তোমাদের বাড়ি ফিরে যেতে অসুবিধে হতে পারে। তাই আজকের রাত্রিটা আমি তোমাদের এখানে থাকতে দিতে পারি। কিন্তু তোমাদের কথা দিতে হবে যে ছোট্ট মৌমাছিদের তোমরা কোন ক্ষতি করবে না। ’
পাঁচটা শামুকের মধ্যে যে সব থেকে বড় ছিল সে হেসে উত্তর দিল – ‘তোমাদের মধুটা খেতে খুব ভালো। আমরা সপরিবারে এখানে চলে এসেছি। শুধু একটা বা দুটো রাত নয়। আমরা এখন থেকে বরাবরের জন্যে এখানেই থাকব। আর যতদিন না সব মধু শেষ হয়ে যায় ততদিন আমরা এই মধুই খেয়ে যাব।’
রানী মৌমাছি বলল – ‘শুধু একটা রাত্রি আমি তোমাদের থাকতে দিতে পারি। কোনভাবেই সারাজীবন তোমরা এখানে বসবাস করতে পারনা। তাছাড়া তোমরা কোন ভালো কাজ করেও আমাদের সাহায্য করতে পারবে না। এখন তো তোমাদের একটা রাত্রি এখানে থাকতে দিতেও আমার চিন্তা হচ্ছে। যখন আমরা ঘুমাবো তখন হয়তো মৌচাকের সব মধু তোমরা খেয়ে শেষ করে ফেলবে বা আমার ছেলেমেয়েদের মেরে ফেলবে।’
চিন্তিত মুখে রানী মৌমাছি ওখান থেকে চলে গেল। তারপর বৃদ্ধ জ্ঞানী মৌমাছিদের ডেকে বলল – ‘আজ রাত্রে তোমরা ঘুমিয়ো না। আমি ঐ শামুকগুলোকে বিশ্বাস করতে পারছি না।’
পরদিন সকালে জ্ঞানী মৌমাছিরা রানী মৌমাছিকে এসে জানালো – ‘মোট পঁয়ত্রিশটা শিশু মৌমাছি কাল রাত্রে মারা গেছে। শামুকগুলো আমাদের সব ঘরে ঢুকে সারা রাত ঘুরে বেড়িয়েছে। সব মধুতে মুখের নোংরা লাগিয়ে দিয়েছে। সব মধু বিষাক্ত করে দিয়েছে। এই বিষাক্ত মধু খেলে মানুষরা ও মারা যেতে পারে। মহামান্য রানী, আমাদের উচিত এক্ষুনি ওদেরকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া।’
রানী মৌমাছি বলল – ‘আমরা আর একদিন দেখবো। এর মধ্যে ওরা স্বেচ্ছায় চলে না গেলে আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’
তারপর রানী মৌমাছি গেল শামুকদের সঙ্গে কথা বলতে।
- ‘বন্ধুগন, তোমাদের বেশ সাস্থ্যবান দেখাচ্ছে। আমি জানি তোমরা এখানে বেশ মনের আনন্দে রয়েছ। এখানকার মধুও তোমাদের খুব সুস্বাদু লেগেছে। কিন্তু তোমরা আমাদের ঘরে থাকা শিশু মৌমাছিদের মেরে ফেললে কেন? আর কেনই বা আমাদের সব মধু নষ্ট করে দিয়েছ?’
শামুকরা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে রইল।
- ‘আমার মনে হয় আমি জানি কেন এটা করেছ তোমরা। আমার বিশ্বাস তোমরা আমাদের শত্রু। কিছুদিন আগে এক মা শামুকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল যে আমাদের খুব বকাঝকা করেছিল। সে নিশ্চয় তোমাদের মা। সে যাই হোক। আমি এখন যা বলছি তা মন দিয়ে শোন। কাল দুপুরের মধ্যে যদি তোমরা এই বাড়ি ছেড়ে না চলে যাও তাহলে তোমরা সবাই এখানেই মারা যাবে।’
দুষ্টু ও অহংকারী শামুকের দল তাচ্ছিল্যের সুরে বলল – ‘তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো। আমরা এখানেই থাকবো। আমরা স্বাধীন। আমাদের যেখানে ইচ্ছে করে সেখানে যাবো, যা ভালো লাগবে তাই খাবো। এখন আমাদের এই মৌচাকের মধু খেতে ভালো লাগছে, তাই আমাদের ইচ্ছে হলে সব মধু আমরা খেয়ে শেষ করে দেব। মোটকথা আমরা এখান থেকে নড়ব না। এখানেই থাকব। দেখি তোমরা কী করতে পারো। ’
সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যে সাজো সাজো রব পড়ে গেল। হুলই তাদের তরবারি। হাজার হাজার সেনা মৌমাছি তাদের হূল শানিয়ে অপেক্ষা করে রইল।
পরদিন দুপুর বেলা শামুকরা কেউ মৌচাক ছেড়ে গেলনা। তাই দেখে রানী মৌমাছি যুদ্ধ শুরুর আদেশ দিল। ‘সবাই রন হুংকার দিতে শুরু করো। দরকার পড়লে হুল ফুটিয়ে শামুকদের মেরে ফেলবে।’
আদেশ পেয়েই সেনা মৌমাছিরা ভয়ংকর জোরে ভোঁভোঁ আওয়াজ করে রন হুঙ্কার দিতে শুরু করল। শামুকরা সেই আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে যে যার নিজেদের খোলের মধ্যে গুটিয়ে ঢুকে গেল।
তখন রানী আদেশ দিল – ‘মোম আনো জলদি।’
কিছু সেনা মৌমাছি আওয়াজ করে ওদের ভয় দেখিয়ে চলল। আর কিছু মৌমাছি মোম নিয়ে এসে ওদের মুখের কাছে ঢেলে দিয়ে মুখটা পুরো বন্ধ করে দিলো। দু ঘন্টার মধ্যে শামুক গুলোর এমন অবস্থা হল যে তারা না পারল একটুও নড়াচড়া করতে, না পারল নিঃশ্বাস নিতে।
তখন রানী মৌমাছি সব শামুকদের উদ্দেশ্যে বলল – ‘আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে তোমরা আমাদের বন্ধু। তাই তোমাদের রাত্রে থাকতে দিয়েছিলাম, পেট ভরে মধু খেতে দিয়েছিলাম। কিন্তু তোমরা ভেবেছ ভগবান এই গোটা পৃথিবীটা শুধু তোমাদের একার জন্যেই বানিয়েছেন। তোমরা ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকতে পারবে না। তোমাদের এতো নীচু মন। তোমরা যদি এরকম ক্ষুদ্র ও দুর্বল প্রানী না হয়ে কোন পাখি বা জন্তুর মতো বড় ও শক্তিশালী প্রানী হতে তাহলে এই পৃথিবীতে আর অন্য কোন প্রানীরই স্থান হত না। এত করে বলা স্বত্ত্বেও এখান থেকে চলে যেতে রাজী হলে না, এখন এখানেই মরো। এটাই তোমাদের যোগ্য শাস্তি।’
তারপর রানী সব মৌমাছিদের নিয়ে আবার একটা নতুন মৌচাক তৈরী করল ও সেখানেই বসবাস করতে থাকল।
একদিন মৌমাছিদের মালিক এলো মধু নিতে। সে দেখল মৌচাকে কোন মৌমাছি নেই, শুধু পাঁচটা মরা শামুক পড়ে আছে। মালিক সববুঝতে পারল। বলল – ‘এই মৌচাকের মধু বিষাক্ত। এটা কে ভালো করে পরিস্কার করতে হবে।’ এই বলে সে সব বিষাক্ত মধু আর মরা শামুকদের মাটিতে ফেলে দিলো।
মৌমাছিরা বহাল তবিয়তে সুখে শান্তিতে বেঁচে রইল ও মানুষের উপকার করতে থাকল।
( নীতি বাক্য - গর্বিত ও স্বার্থপররা সব কিছু নিজেরা ভোগ করতে চায়, কিন্তু তারা কিছুই পাওয়ার উপযুক্ত নয়।)
অনুবাদঃ
রুচিরা
বেইজিং,চীন
- বিস্তারিত
- ক্যাটfগরি: গল্প-স্বল্প