কৃষ্ণ মহম্মদ
গতবার হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষায় কিকুর রেজাল্ট মোটেও ভাল হয়নি। অন্যবার প্রথম তিনে থাকে সে, অথচ সেবার প্রথম দশজনের মধ্যেই থাকতে পারেনি বেচারি। কিকুর মা তো রেগে আগুন। সারাদিন টই টই করলে আর টিভিতে কার্টুন চ্যানেলে ডুবে থাকলে আর রেজাল্ট ভাল হবে কোথা থেকে!
তাঁকে অবশ্য দোষ দেওয়া যায় না। সংসার সামলেও কিকুকে নিয়ম করে পড়িয়েছেন প্রতিদিন, এত সময় খরচ করেছেন ছেলের পড়ার জন্য, সব পরিশ্রম জলে গিয়েছে তাঁর। ছেলের পড়াশোনার এতটা অবনতি হলে কোন মায়ের না রাগ হয়!
কিকুর বাবা ভারতীয় বায়ুসেনাতে চাকরি করেন। তাই তাঁকে সারা বছর বাড়ি থেকে দূরে দূরে থাকতে হয়। তাঁর পোস্টিং কাশ্মীরের ওপরে লেহ্ তে। ভারতবর্ষের সীমান্তের কাছে দুর্গম সেই জায়গা সবসময়েই বরফে ঢাকা থাকে। বছরে দু'বারের বেশি বাড়িতে আসা হয়না কিকুর বাবার। কিকুর রেজাল্টের খবর শুনে তিনি একটু বিমর্ষ হয়েছিলেন। কিকুকে কাছে ডেকে ভারী গলায় বলেছিলেন, এবার থেকে মন দিয়ে পড়। প্রেস্টিজটা তোমার, সেটাকে রক্ষা করার ভারও তোমার।
মায়ের বকুনিতে নয়, বাবার কথাতেও নয়, কিকুর মন তিতকুটে হয়ে রয়েছে পিকলুদার জন্য। তার বড় পিসির ছেলে পিকলুদা কিকুদের স্কুলেই এক ক্লাস উঁচুতে পড়ে। ছোটবেলা থেকেই পিকলুদা ভীষণ দুরন্ত। সেদিন বড় পিসেমশাইয়ের মোটর সাইকেলটা না বলে নিয়ে চালাতে গিয়েছিল পিকলুদা। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বয়স হয় নি পিকলুদার, মাথায় হেলমেটও ছিল না। বড় পোস্টঅফিসের মোড়ে পিকলুদা ডাইনে -বাঁয়ে টার্ন না নিয়ে সোজা গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্কটাকে। ভাগ্য ভাল যে কারোর চোট লাগেনি। কিন্তু সেই ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট পিকলুদাকে সবার সামনে কান ধরে ওঠবোস করিয়েছিলেন। কাছেই ছিল প্রেসের লোক। পিকলুদার সেই কান ধরে ওঠবোস করার ফোটো পরদিনের যুগের যাত্রীতে বেরিয়েছিল।
কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে, সেই ঘটনাটার পর থেকে লজ্জা পাওয়া তো দূরের কথা, পিকলুদা নিজেকে হিরো ভাবতে শুরু করেছে। বড় পিসেমশাই বকাঝকা করেছেন, পিটুনিও দিয়েছেন পিকলুদাকে, কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। কিকুর কাছে কলার উঠিয়ে পিকলুদা সেই ছবিটা দেখিয়ে গিয়েছে সেদিন। খবরের কাগজে ছবি ওঠা মানেই নাকি সেলিব্রিটি। পিকলুদা নিজেকে কেউকেটা ভাবতে শুরু করেছে সেই ঘটনার পর থেক। আর তাতেই রাগটা বেড়ে গেছে কিকুর।
শুধু পিকলুদার মুখে ঝামা ঘষে দেবে বলেই এবার পড়াশোনা নিয়ে খুব খেটেছিল কিকু। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। অ্যানুয়াল পরীক্ষায় সেকেন্ড হয়ে নতুন ক্লাসে উঠেছে কিকু। মা খুব খুশি। বাবা বাড়িতে এসেছেন ছুটিতে, বাবাও কিকুর পিঠে চাপড় মেরে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সেদিন বড়পিসির বাড়িতে গিয়ে রেজাল্টশিট দেখিয়ে এসেছে কিকু। বড়পিসি- পিসেমশাইও অনেক আদর করলেন, মিষ্টি খাওয়ালেন কিকুকে।
পিকলুদাকে খবরটা না শুনিয়ে শান্তি নেই কিকুর। খুঁজে খুঁজে ওদের বাড়ির পেছনদিকের এঁদো জমিটায় পাওয়া গেল তাকে। ইংরেজি ওয়াই শেপের একটা পেয়ারা গাছের ডাল আর একটা সাইকেলের টায়ারের ছেঁড়া টিউব নিয়ে গুলতি বানাচ্ছিল পিকলুদা। কিকুর রেজাল্টের খবর শুনে সে কি হাসি তার। খ্যা খ্যা করে হেসে পিকলুদা বলল, ওসব রেজাল্ট-টেজাল্ট দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। কাগজে যেদিন তো ছবি বেরোবে সেদিন এসে দেখাবি। তার আগে নয়।
ভারী মন নিয়ে বাড়ি ফিরছিল কিকু। আজ পথেঘাটে বেশ একটা উতসব উতসব পরিবেশ। আজ ভোটপর্ব চলছে এখানে। তাদের গলির মোড়ের স্কুলটায় ভোটকেন্দ্র বসেছে। এখনও প্রচুর লোকজন লাইন দিয়ে আছে ভোট দেবার জন্য। দু'জন জওয়ান বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বন্দুক নিয়ে। দূর থেকে ভিড়টাকে দেখল কিকু। তারপর হাঁটা দিল বাড়ির দিকে।
গ্যারাজঘরে বড় একটা হোসপাইপ দিয়ে কৃষ্ণ মহম্মদকে স্নান করাচ্ছিলেন কিকুর বাবা। তার কুচকুচে কালো রঙ চকচক করছিল রোদ্দুর লেগে। উনিশশো আটষট্টি সালে এই স্ট্যান্ডার্ড হেরাল্ড গাড়িটিকে কলকাতা থেকে কিনে এনেছিলেন কিকুর দাদান। তিনি খুব রসিক মানুষ ছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড হেরাল্ডটির গায়ের রঙ কালো বলেই হয়ত মজা করে কিকুর দাদান তার এমন নাম দিয়েছিলেন।
কিকু তার বাবার কাছে শুনেছে যে কাজী নজরুল ইসলাম একজন হিন্দু ভদ্রমহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের প্রথম সন্তানের নাম ছিল কৃষ্ণ মহম্মদ। জন্মের পর পরই অবশ্য সেই ছেলেটি মারা যায়। কিকুর দাদান নজরুলের খুব ভক্ত ছিলেন। সারাদিন গুন গুন করে নজরুলগীতি ভাঁজতেন, নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করতেন তিনি। কালো রং-এর গাড়িটার নাম কৃষ্ণ মহম্মদ দেবার পেছনে আসল কারণ হয়ত তাঁর নজরুল প্রীতি। তিনি চলে গিয়েছেন পৃথিবী থেকে, কিন্তু তাঁর স্মৃতি জড়িয়ে আছে কৃষ্ণ মহম্মদের সঙ্গে। সে কারণে গাড়িটিকে বিক্রি করার কথা ভাবতেও পারেন না কিকুর বাবা।
কৃষ্ণ মহম্মদের অবশ্য যত্নের কোনও ত্রুটি হয় না এ বাড়িতে। এমনিতে গাড়িটিকে পথে নামানো হয়না বড় একটা। তবে কিকুর বাবা ছুটিতে এলে গাড়িটাকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখেন যতটা সম্ভব। গাড়িটাকে রানিং কন্ডিশনে রাখার জন্য একটু আধটু রাস্তাতেও নিয়ে যান। কালো রঙের গর্বিত মোরগের মত যখন পথ চলে কৃষ্ণ মহম্মদ, তখন সবাই ফিরে ফিরে দেখে তাকে।
কিকু গ্যারাজঘরের সামনেটায় এসে দাঁড়াল। তার মনটা একটু ভার ভার, মুখে মেঘের ছায়া। কিকুর দিকে একটুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বাবা বললেন, যাও, তাড়াতাড়ি স্নান সেরে তৈরি হয়ে নাও। একসঙ্গে খাব। বিকেলে সবাই মিলে বেরোব আমরা, কৃষ্ণ মহম্মদকে সঙ্গে নিয়ে। রাতে বাইরে কোথাও খেয়ে আমরা বাড়ি ফিরব। এবার পরীক্ষায় ভাল করেছ, এটা তাই তোমাকে স্পেশ্যাল ট্রিট!
বাবা অনেকদিন মা-কে বলেছেন গাড়ি চালান শিখে নিতে। কিন্তু মায়ের ড্রাইভিং নিয়ে কোন উতসাহ নেই। কিকু মনে মনে ঠিক করে রেখেছে যে আঠেরো বছর বয়স হয়ে গেলেই সে বাবার কাছ থেকে গাড়ি চালান শিখে নেবে।
বিকেলে কৃষ্ণ মহম্মদের সওয়ারি হয়ে চলেছে তিনজন। বাবা ড্রাইভ করছেন। পাশে মা। পেছনে কিকু। বাবা কিকুর দিকে তাকিয়ে বললেন, একটা গাড়ি একজন প্রাণবান মানুষের মতই রহস্যময়। একটা গাড়ির কলকব্জা, ইঞ্জিনের মধ্যে সিলিন্ডারগুলির পরপর ফায়ারিং, তার টাইমিং কম্প্রেশন - এই সব কিছুর মধ্যে দিয়ে যে শক্তিটা তৈরি হচ্ছে, সেই জোরটা ট্রান্সমিশনের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে গাড়ির অ্যাক্সেলে, গাড়ির চাকায়। একজন স্প্রিন্টারের মতই এই গাড়িও সেভাবেই দৌড় শুরু করে। বুঝলে, সামনে দাঁড়িয়ে এ জিনিষ দেখাটাও একটা শিক্ষা। আ লেসন্ অফ লাইফ।
তিস্তা নদীর ধারে একটা সুন্দর জায়গায় গিয়ে গাড়ি দাঁড় করানো হয়েছে। নদীর জলে অস্তগামী সূর্যের গোলাপি ছায়া পড়েছে, মিষ্টি একটা হাওয়া দিচ্ছে থেকে থেকে। কিকু গাড়ির বনেটে ঠেস দিয়ে মনোরম দৃশ্যটা দেখছিল। দু'জন ভদ্রলোক কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেতে খেতে গল্প করছিলেন। এদিকে এগিয়ে আসছেন গুটিগুটি। সাদা শার্ট পরা ভদ্রলোকের হাতে একটা ক্যামেরা। বাদামি পাঞ্জাবি পরা ভদ্রলোকের কাঁধে চামড়ার একটা ব্যাগ। বোধ হয় ল্যাপটপ রয়েছে সেই কালো রঙের ব্যাগটিতে।
বাদামি পাঞ্জাবি এগিয়ে এসে কৃষ্ণ মহম্মদের গায়ে আলতো করে হাত রেখে বললেন, এই গাড়িটা কি আপনার?
কিকুর বাবা জবাব দিলেন, হুঁ, কেন বলুন তো?
এত পুরোনো মডেলের এই স্ট্যান্ডার্ড হেরাল্ড এমন চকচকে কন্ডিশনে আছে, এ তো জাস্ট ভাবা যায় না মশাই! একসময় রাজা মহারাজা শ্রেনীর মানুষেরাই এই গাড়িতে চাপতেন। ভদ্রলোক হেসে বললেন, কে কিনেছিলেন এটি?
কিকুর বাবা বললেন, নাইনটিন সিক্সটি এইটে আমার বাবা কলকাতা থেকে কিনে এনেছিলেন গাড়িটা। উনি আর নেই। এখন এর দেখভাল আমিই করি।
ভিন্টেজ কার র্যালিতে কখনও নিয়ে গিয়েছেন একে? বড় বড় সিটিগুলোতে তো আকছার এই র্যালি হয়। এমন টিপটপ কন্ডিশনের গাড়ি সেখানে গেলে তো প্রাইজ জিতে নেবেই!
নাহ্ নিয়ে যাওয়া হয়নি কখনও, কিকুর বাবা বললেন।
উতসুক ভদ্রলোক ভেতরে উঁকি দিয়েছেন একবার। উত্তেজিত স্বরে বললেন, ভেতরে ওটা কী যন্ত্র?
কিকুর বাবা হেসে ফেললেন, ওটা গ্রুন্ডিগ- এর ছোট একটা স্পুল রেকর্ডার। আমার বাবা খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন। লং ড্রাইভে যাবার সময়ে ওই যন্ত্র দিয়ে গান শুনতেন। তবে এখন ওটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমাদের এদিকে তো ভালো মেকানিক নেই, তাই ঠিক করানো হচ্ছে না।
বাদামি পাঞ্জাবি পরা ভদ্রলোক নমস্কারের ভঙ্গী করে বললেন, আমি মর্নিং হেরান্ড কাগজে আছি, আমার নাম তথাগত রায়। ওঁর নাম শশাঙ্ক বাগচি। উনি আছেন যুগের যাত্রী কাগজে। আমরা দুজনেই কলকাতা থেকে এখানে এসেছি ইলেকশান কভার করতে। আজ সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছি আমরা দু'জন। আঙুল উঁচিয়ে একটা স্কুল দেখিয়ে বললেন, ওই বুথটায় এসেছিলাম আমরা।
কিকুর বাবা নিজের কব্জির দিকে তাকিয়ে বললেন, সাড়ে পাঁচটা বাজল। ভোটের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে, আপনাদের কাজও তো তবে শেষ।
ভোট শেষ হলেই কি আর নিষ্কৃতি আছে আমাদের? শশাঙ্ক মজা করে বললেন, খবরের কাগজের লোকের কি আর কাজ শেষ হয় কখনও !
তথাগত হো হো করে হাসলেন, স্নিফার ডগের সঙ্গে আমাদের কোনও ফারাক নেই, ভোটের খবরের পাশাপাশি ক্রিস্পি এক্সক্লুসিভ খবরও খুঁজি আমরা।
শশাঙ্ক বলেন, নিন মশাই, আপনারা হাজব্যান্ড ওয়াইফ দুজন গাড়ির ভেতর একটু বসে পড়ুন প্লিজ। মাই ডিয়ার বয়, তুমি একটু এদিকে এসে দাঁড়াও। আমি জাস্ট একটা ফোটো তুলে নেব। হাহা, দারুণ মজাদার একটা স্টোরির গন্ধ খুঁজে পেয়েছি।
কিকুর মা অবাক হয়ে বললেন, স্টোরি? কীসের স্টোরি?
শশাঙ্ক হেসে বললেন, কাল সকালে মর্নিং হেরাল্ড আর যুগের যাত্রী - এই দুটো খবরের কাগজ দেখলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। আসলে তেতাল্লিশ বছরের পুরনো একটা বনেদী গাড়িকে যদি এমন একটা মফস্বল শহরে এমন টিপটপ কন্ডিশনে দেখতে পাওয়া যায়, তবে সেটা কি মুচমুচে খবর নয়?
তথাগত তাড়া দিলেন, সূর্য ডুবে যাবে এক্ষুনি। আর দেরি করবেন না, প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি করুন।
রাতে উত্তেজনায় ঘুম হয়নি কিকুর। বাড়ির বারান্দায় ওত পেতে ছিল ভোরবেলা থেকে। রাজুদাদা সকালের খবরের কাগজ নিয়ে আসতেই ছোঁ মেড়ে কাগজটা নিয়ে বসল কিকু। ঠিকই তো, মর্নিঙ হেরাল্ড-এর ভেতরের পাতায় দিয়েছে খবরটা! কৃষ্ণ মহম্মদের ছবি সমেত। সামনে ড্রাইভিং সিটে বসে জানলা দিয়ে মুখ বের করে হাসছেন বাবা। পেছনের জানলায় মায়ের মুখ। গাড়ির বাইরে দুটো জানলার মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিকু। তার ঠোঁটের কোণে লেগে রয়েছে শেষ বিকেলের এক চিলতে আলো।
লাফাতে লাফাতে কাগজটা নিয়ে বাবাকে ঘুম থেকে উঠিয়েছে কিকু। বাবা চোখে চশমাটা সেঁটে স্মিতমুখে দেখছেন কাগজটা। এদিকে মা-ও চোখ-টোখ কচলে বিছানা থেকে উঠে পড়েছেন কিকুর হৈ চৈ শুনে। এমন সময়ে বেসফোনটা বাজল শব্দ করে। কিকুই ধরেছে ফোনটা। ওপারে পিকলুদার গলা, অ্যাই কিকু, আজকের যুগের যাত্রী দেখেছি? কৃষ্ণ মহম্মদের সঙ্গে সঙ্গে তোদের তিনজনেরও ছবি দিয়েছে!
পিকলুদার ভোম্বল হয়ে যাওয়া মুখটা দেখা হল না, বড্ড আফশোস রয়ে গেল কিকুর। সে শান্ত গলায় বলল, শুধু যুগের যাত্রী নয়, মর্নিং হেরাল্ডেও রয়েছে খবরটা। আমার কাছে খবরের কাগজটা আছে। পরে একসময়ে আমি গিয়ে তোমাকে দেখিয়ে নিয়ে আসব'খন।
কিকুর মনে যেমন খুশির একটা ঢেউ উঠেছে, পাশাপাশি একটা খচখচানিও রয়ে গিয়েছে তার ভেতর। মা-বাবার সঙ্গে তার ছবি ছাপা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার নাম তো নেই কোথাও। আসলে তারা তিনজন তো উপলক্ষ মাত্র। আসল হিরো তো কৃষ্ণ মহম্মদ। তাকে কেন্দ্র করেই তো করা হয়েছে স্টোরিটা। এই ছবিতে তার নিজের কৃতিত্ব কোথায়?
জিওগ্রাফিতে কিকু পড়েছে যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। সূর্যের আলোতেই আলোকিত হয় সে। কৃষ্ণ মহম্মদ একটা বড় শিক্ষা দিল আজ। স্কুল লিভিং এক্সামে তাকে এমন মার্কস পেতে হবে যাতে কাগজে শুধু ছবি নয়, তার নামও যেন ছাপে। কিকু স্থির করল, না, চাঁদ নয়, তাকে এবার সূর্য হয়ে উঠতে হবে।
- বিস্তারিত
- লিখেছেন মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য
- ক্যাটfগরি: গল্প-স্বল্প