খেলাঘরখেলাঘর

বেনারস
 
'জয় বাবা ফেলুনাথ' দেখেছ কি? না দেখে থাকলে শিগগির দেখে ফেল। ফেলুদা, তোপসে, জটায়ুর সাথে ক্যাপ্টেন স্পার্ক মিলে সমাধান করে ফেলে এক জটিল রহস্যের, আর পাকড়াও করে ফেলে দুষ্টু  চোরাকারবারি মগনলাল মেঘরাজকে। এই ছবিতে অবশ্য ফেলুদা কোম্পানি ছাড়াও আরেকটা দেখার  বিষয় আছে। সত্যি বলতে কি, 'জয় বাবা ফেলুনাথ' জুড়ে অর্ধেকটা যদি হয় ফেলুদা কোম্পানি, তাহলে বাকি অর্ধেক জুড়ে আছে এই গল্পের পটভূমি- বেনারস বা বারানসী। বেনারসের  অলি-গলি,  ঘাট, বাঙ্গালি হোটেল, গঙ্গা নদী, পুরোনো মহলবাড়ি- সব মিলে মিশে তৈরি করেছে এই জনপ্রিয় থ্রিলারের পটভূমি।

এই বেনারসে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল গত শীতে। বেনারস সম্বন্ধে আগ্রহ তো আর শুধু 'জয় বাবা ফেলুনাথ' এর কারনে নয়। এই ছবিটি ছাড়াও অন্য অনেক ভালোলাগা ছবি ও গল্পেতে ফিরে এসেছে বেনারস।যেমন অনেকখানি এসেছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা 'অপরাজিত' উপন্যাসে। যে গল্প নিয়ে আবার পরে ছবিও তৈরি করেছেন সত্যজিত রায়। সে ছবিতেও প্রথমদিকে বেনারসের অলি-গলি-ঘাটের দৃশ্য অনেক রয়েছে। তাই সেই বেনারস যাওয়ার সুযোগ পেয়ে বেশ উৎসাহিত হয়ে উঠলাম আর ক্যামেরা, আই-পড, সোয়েটার, চাদর ব্যাগে পুরে একদিন সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম ট্রেনে চেপে।

জানো তো, বারানসী বা বেনারস হল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন নগরী, যেখানে গত সাড়ে তিন হাজার বছরের মত সময় ধরে মানুষ বিরামহীন ভাবে বসবাস করে চলেছে (continually inhabited city)। প্রাচীনকালে এই নগরের নাম ছিল কাশী। কাশী শব্দের মানে হল -"আলোকিত স্থান"। প্রাচীণকালে কাশী ছিল শিক্ষা, ধর্ম, জ্ঞানের পীঠস্থান। গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই নগরের দুই পাশে রয়েছে বরুণা ও অসি নদী। অনেকের মতে, এই বরুণা ও অসি মিলিয়েই এই নগরের নাম হয়েছে বারানসী। ভারতীয় ইতিহাসের আদি যুগে, কাশী ছিল ষোড়শ মহাজনপদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। শুধুমাত্র হিন্দু নয়, বৌদ্ধ ও জৈনদের কাছেও কাশী এক গুরুত্বপূর্ন পীঠস্থান।

নদীর পাড়
ঘাটের আটকোনা চাতালে বসে কারা? তোপসে আর লালমোহন বাবু নাকি?

এইসব পড়াশোনা করে খুব আনন্দে সকাল বেলা ট্রেনের জানালা খুলে বসেই হটাত দেখতে পেলাম সেই ছবি - রেলের পুলের নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা নদী, আর তার পশ্চিম পাড় বরাবর দাঁড়িয়ে সেই প্রাচীণ নগর- মন্দির, মহল আর একের পর এক ছোট-বড় ঘাট।
 
বারানসী রেল স্টেশন থেকে নদীর ঘাট এবং বিশ্বনাথের মন্দির বেশ দূরে। রিকশা করে যেতে হয়। রাস্তায় প্রচুর মানুষ এবং অসংখ্য যানবাহন, পায়ে হেঁটে এপাশ থেকে ওপাশ যাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। সেই যে একটা কবিতা আছে -'শিবঠাকুরের আপন দেশে/আইনকানুন সর্বনেশে' - একেবারে সেই অবস্থা ! রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আছে, ট্রাফিক সিগন্যাল ও আছে, কিন্তু সেইসব আইনকানুনের পরোয়া কেউ খুব একটা করে বলে মনে হয়না!

এই সর্বনেশে আইনকানুন না মানা রাস্তাঘাট পেরিয়ে, গোধুলিয়ার মোড় ছাড়িয়ে, বাঁহাতে বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরের তোরন ফেলে এগিয়ে, রিক্সা থেকে আমরা যেখানে নামলাম, সেটা দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছাকাছি। আমি অবশ্য তখনও বুঝি নি সেটা। সেখান থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে নিয়ে চললো হোটেলের দিকে। তার জন্য আমরা ঢুকলাম একটা সরু গলির মধ্যে। গলির দুইদিকে নানারকমের দোকান - পান- মিষ্টি-জামাকাপড়-ক্যাসেট-বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি;দোকানগুলি সবই প্রায় দুই-তিন তলা বাড়ীর একতলায়। ফলে গলির মধ্যে রোদ্দুর প্রায় ঢোকেই না। গলিটা মাঝে মাঝে এত সরু যে ওপাশ থেকে একটা স্কুটার বা সাইকেল এলে একদম ধার ঘেঁষে দাঁড়াতে হচ্ছে। আর কি ভীষণ নোংরা!! আমি তো ভাবছি-আরেকটু এগোলেই মনে হয় পরিষ্কার বড় রাস্তা আসবে। ও হরি- কোথায় কি! এ যে পুরো সেই সুকুমার রায়ের ছড়াটার মত -অলি-গলি-চলি-রাম...ডানদিকে-বাঁদিকে বেঁকে চলেই চলেছে, চলেই চলেছে- মাঝে মাঝে এদিক ওদিক থেকে আরো গলি বেরিয়ে গেছে। আসলে আমি তখন হাঁটছিলাম কাশীর বিখ্যাত বাঙ্গালিটোলার ভেতর দিয়ে। চলতে চলতেই একসময়ে চোখ চলে গেল একটা বাড়ীর দেওয়ালে লাগানো একটা নীল রঙের ফলকের ওপর সাদা দিয়ে লেখা নামের দিকে -
বাংলা লেখা
বেনারসের বাঙ্গালীটোলায় বাংলায় লেখা গলির নাম

একই সঙ্গে খুব আনন্দ আর উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম। বাংলা থেকে এত দূরে, উত্তর প্রদেশে, যেখানে বেশিরভাগ মানুষ হিন্দি ভাষায় কথা বলেন, সেখানে একটা গলির নাম বাংলা অক্ষরে লেখা আছে! আর মজার কথা কি জানো- ওই বাড়ীটার ঠিক উল্টোদিকে একটা ছোট্ট রেস্তোঁরা আছে। খুবই সাদামাটা, গুটিকয়েক কাঠের চেয়ার টেবল পাতা। সেই রেস্তোঁরায় কিন্তু সাদা ভাত-ডাল-রুটির সাথে চাইনিজ-কোরিয়ান-স্প্যানিশ-কন্টিনেন্টাল-লেবানিজ সব রকমের খাবার পাওয়া যায়! ওই দোকানের দেওয়ালে চীনা-কোরিয়ান-ফরাসী-স্পেনীয় ভাষায় খাবারের মেনু আর দাম ও লেখা আছে। একই সঙ্গে এতগুলো ভাষাকে পাশাপাশি দেখে খুব অদ্ভুত লেগেছিল - ঠিক যেন সারা পৃথিবীটাই ছোট্ট হয়ে ঐটুকু জায়গার মধ্যে এসে গেছে!
 
বেনারসের আসল মজা হল বাঙ্গালীটোলার গলি গুলির মধ্যে, আর ঘাটগুলিতে। বেনারসে বড় ছোট মিলিয়ে আশিটি ঘাট আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত দশাশ্বমেধ আর মণিকর্ণিকা। এছাড়া আছে মানমন্দির ঘাট, রানা মহল ঘাট, হরিশচন্দ্র ঘাট, চৌষট্টি ঘাট, রাজা ঘাট...। প্রত্যেকটা ঘাটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে একেকটা করে গল্প। যদি একটা নৌকায় উঠে বস, তাহলে মাঝিভাই তোমাকে একের পর এক ঘাটের পাশ দিয়ে নিয়ে যাবে আর তাদের গল্প বলতে থাকবে -কোন গল্প সেই প্রাচীনকালের, কোনটা বা আবার একদম এই যুগের...
দশাশ্বমেধ ঘাট
ভোরের কুয়াশা মাখা দশাশ্বমেধ ঘাট- বারানসীর সবথেকে জমজমাট ঘাট

মানমন্দির ঘাট
মানমন্দির ঘাট- এই ঘাট তৈরি করিয়েছিলেন রাজা সওয়াই মান সিং। এখানে একটি ছোট অবসারভেটরি আছে।
বাবুয়া পান্ডে ঘাট
বাবুয়া পান্ডে ঘাট-এটা হল ধোপাদের ঘাট। বাবুয়া পান্ডে নামের একজন মানুষ, যিনি নিজে পেশায় ধোপা ছিলেন, তিনি এই ঘাটকে দান করে যান সব ধোপাদের ব্যবহারের জন্য। এখানে রোজ সকালে গেলে দেখতে পাওয়া যায় কত মানুষ সার দিয়ে কাপড় কেচে-ধুয়ে পরিষ্কার করছেন।
 

এইসব ঘাটে ওঠা-নামার জন্য সিঁড়িগুলি কিন্তু খুব উঁচু উঁচু - তাই উঠতে নামতে গেলে প্রথমদিকে কিন্তু খুব পায়ে ব্যথা করতে পারে!
উঁচু সিঁড়ি
ঘাটের উঁচু উঁচু সিঁড়ি, উঠতে উঠতে পায়ে ব্যথা !
 
 
দশাশ্বমেধ ঘাট হল বারানসীর সবথেকে জমজমাট ঘাট। খুব ভোরবেলা থেকে এখানে নানা মানুষের ভিড় জমে যায়। পুন্যার্থীরা এখানে স্নান সেরে বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিতে যান। এছাড়া ঘাটে থাকেন অনেক সন্ন্যাসি, কথক ঠাকুর, মালিশওয়ালা, নাপিত, ফেরিওয়ালা আর ভ্রমনার্থীর দল। নৌকার মাঝিরা সার বেঁধে সাজিয়ে রাখে রং-বেরং-এর নৌকা।
ঘাটের ছবি
রংবেরং এর নৌকা, গেরুয়াবসন সন্ন্যাসী, গঙ্গাপুজোর উপকরন, বাঁশের ছাতা...এসব ছাড়া বারানসীর ঘাট অসম্পূর্ণ

বিকেলের দিকে এই ঘাট ভাল করে ধোয়া হয়। আর সন্ধ্যাবেলা এই ঘাটে হয় গঙ্গা আরতি। গান এবং শ্লোকের তালে তালে নানা রকমের উপাচার দিয়ে মা গঙ্গার আরতি করেন পাঁচজন পুজারী।
আরতি
সন্ধ্যাবেলা দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গা আরতি

বারানসীর বিখ্যাত জিনিষগুলি কি কি বলতো? - আচ্ছা, আমিই বলি - কাঠের খেলনা, কাঁচের চুড়ি, বেনারসী শাড়ী, বেনারসী পান, রাবড়ি, প্যাঁড়া, পাথরের থালা-গেলাস...এইসমস্ত জিনিষ যদি একসঙ্গে দেখতে এবং কিনতে চাও, তাহলে কিন্তু বিশ্বনাথের গলিতে ঢুকতেই হবে। বিশ্বনাথের গলি মানে হল যে গলির শেষে বাবা বিশ্বনাথের মন্দির আছে। তা বলে মোটেও ভেবো না সেটা কোন ছোটখাটো গলি। আসলে বিশ্বনাথের মন্দিরের চারিপাশেই অনেকগুলি গলি আছে, এবং সে এক বড় মজাদার গোলোকধাঁধা। কি নেই সেখানে! এইসব নানারকমের চোখ ধাঁধানো জিনিষের সাথে কিন্তু রয়েছে গলিতে যত্র-তত্র দাঁড়িয়ে থাকা ষাঁড় আর দোকান এবং মন্দিরের মাথায় লাফ-ঝাঁপ দিয়ে বেড়ানো হনুমানের দল। ষাঁড় কিনা বাবা বিশ্বনাথের বাহন, আর হনুমান তো নিজেই পূজনীয়, তাই এদেরকে কেই কিছু বলেনা। তবে বেনারসের গলির ষাঁড়েরা খুবই শান্ত, তারা বিশেষ কাউকে কিছু বলে না। কিন্তু হনুমানেরা ভয়ানক দুষ্ট, ঘরের দরজা খোলা  থাকলে কিন্তু ঘরে ঢুকে জিনিষপত্র লন্ডভন্ড করে দেবে, বা মন্দিরের পথে প্রসাদের ঠোঙ্গা কেড়ে নেবে!!
অনেকরকম
ষাঁড়,রাবড়ি, কাঁচের চুড়ি, হনুমান... এই সব কিছু নিয়েই বারানসী
 
একদিন বিকেলবেলা আমরা ঘুরতে গেলাম সারনাথ। সারনাথ হল সেই জায়গা, যেখানে ভগবান বুদ্ধ প্রথম তাঁর বানী প্রচার করেছিলেন।
সারনাথ
ভগবান বুদ্ধের প্রথম বানী লিখে রাখা আছে এই ফলকে
 
সারনাথে বেশ কয়েকটী বৌদ্ধ মন্দির আছে। আছে একটি বিশাল স্তূপ। কথিত আছে, ওই স্তূপের ভেতরে সম্রাট অশোক ভগবান বুদ্ধের দেহাবশেষ রেখেছিলেন।
স্তুপ
ভগবান বুদ্ধের দেহাবশেষ রক্ষিত আছে এই স্তূপে ভেতর।
 
সারনাথের আরেকটি দ্রষ্টব্য হল ভারতীয় প্রত্নতত্ব বিভাগের একটি সংগ্রহশালা। এই সংগ্রহশালা বা মিউসিয়ামের বিশেষ আকর্ষণ হল অশোক স্তম্ভ। হ্যাঁ, আমাদের দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ সুরক্ষিত আছে এখানে। তার সঙ্গে আছে বৌদ্ধ এবং হিন্দু (মৌর্য, গুপ্ত ও কুষাণ) যুগের নানান শিল্প নিদর্শন। আছে বোধিসত্ত্বের নানান অপূর্ব মূর্তি।

সারনাথ মিউসিয়াম বা বিশ্বনাথের মন্দিরে ক্যামেরা বা মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা বারন। তাই এইসব জায়গার ছবি তোলা যায়নি।

যেদিন চলে আসব, সেদিন সকালে খুব মজা হল। তিন-চার দিন কুয়াশা থাকার পর সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে ঝকঝকে সোনালি রোদ্দুর উঠলো।
সোনালি সকাল
নদির বুকে সোনালী আলো
 
আমরা সবাই নৌকা চেপে গঙ্গায় বেড়াতে গেলাম। মাঝনদীতে পাশে এলো আরেকটি নৌকা। সেই নৌকার মাঝি  বিক্রী করছিল সেউভাজা। কেন বলতো? - নদীর বুকের ওপর পাক খেয়ে বেড়ানো পরিযায়ী পাখিদের কাছে ডাকার জন্য ঐ সেউভাজা হল টোপ। যেই আমরা জলের ওপর সেউ ছড়িয়ে ডাক দিলাম- আ-আ-আ...
 পাখিদের ডাকছি
 
অমনি দূর থেকে কলরবলর করতে করতে আমাদের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে এল রাশি রাশি সী-গাল, ঘুরপাক খেতে লাগলো আমাদের নৌকার আশেপাশে, ঝাঁপিয়ে পড়লো জলে, আবার ধেয়ে উঠে গেল আকাশে!
সীগাল
সীগাল দের সাথে

বেশ খানিক্ষণ সী-গাল দের সঙ্গে খেলা করে আমরা ফিরে এলাম অনেক বেলায়।

বারানসীর আরো দুটি দ্রষ্টব্য জায়গা হল রামনগর রাজবাড়ী আর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া আছে অসংখ্য ছোট বড় মন্দির। সব জায়গা আমার নিজেরই ঘোরা হয়নি। যে প্রাচীন নগরীর পরতে পরতে, আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে এত এত গল্প, তাকে কি মোটে চার-পাঁচ দিনে চিনে ওঠা যায়? তাই আমি সুযোগ পেলে আবার বেড়াতে যাব বারানসী। খুঁজে নেবো আরো অনেক গল্প, লোককথা আর পুরানকথা। আর আবার সন্ধেবেলা নৌকায় চেপে বেড়াতে বেড়াতে নিজের মনের ইচ্ছা চুপি চুপি ভগবানকে জানিয়ে দিয়ে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেব আলোর প্রদীপ...
প্রদীপ
 
 
 
 
লেখা ও ছবিঃ
মহাশ্বেতা রায়
পাটুলী, কলকাতা
মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।