সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
বিশেষ অতিথি

নমস্কার! আমার নাম অর্হণ জেরি সলিটন।

আজ বিকেল্ বেলা বারান্দার দোলনাটায় দোল খেতে খেতে যে কথাটা আমার আবার মনে পড়ে গেলো সেটা হল কাল আমার জন্মদিন।

ভাবতে ভাবতে মনটা এত্ত খুশি হয়ে গেল! আরে জন্মদিন মানেই তো কেক, বন্ধু, নীল হলুদ লাল সবুজ বড় বড় গাল ফুলো বেলুন! শিব, জ্যোতি, উভি, আশি, ইতিকা, অময়, আদি দাদা সবাই মিলে দৌড়োদৌড়ি, লুকোচুরি খেলা। মা, অনু কাকিমা, টুংটুং বম্মার ছুটোছুটি। আর সব কাকাই কাকিমাদের হৈচৈ। কি দারুন মজা!

আরে না তো! একদম ভুলেই বসে ছিলাম যে!

মনে পড়ে গেলো এইবার তো জন্মদিনে বাড়িতে ডাকা যাবে না কাউকেই। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো জানো? দুঃখে শামুকের মতো গুটিয়ে সোফায় ধপ করে বসে পড়লাম আমি।

বসে থাকতে থাকতেই একটা কিছু বুদ্ধি এলো মাথায়।যেন বিদ্যুৎ চমকে উঠলো। আমার মন বলল, এবার চেনা বন্ধুদের ডাকা মুশকিল বটে, কিন্তু যদি ডাকি অচেনা বন্ধুদের কেমন হবে?

এই যেমন রোজ সন্ধ্যে বেলা হলুদ টর্চের আলো জ্বেলে অন্ধকারে উড়ে যায় যে প্লেনগুলো? আমাদের এসির ওপরে বাসা বানিয়ে থাকে যে পায়রাগুলো? নিচের বিস্কুট রঙের কুকুরটাকে? আমার সমস্ত খেলনা, টেডি বিয়ার? গেটের বাইরে যে বাসগুলো ছুটে যাচ্ছে? লম্বা লিস্ট!

গুনে দেখলাম আঙুলে, ডাকছি তো বেশ অনেককেই।

তাহলে বাদ যায় কেন রান্না ঘরে ওই ঝুড়ির বাড়িতে থাকা আলু পেঁয়াজের দল? ফ্রিজের বেগুন পটল গাজর টমেটো ফুলকপি?

বাবা মা কে বললাম প্লিজ সুন্দর করে ফ্লাট সাজিয়ো তোমরা। একটা বড় কেক অর্ডার কর কিন্তু। বাবা মা এবার দারুন অবাক হল! আমায় অনেক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলো এবার নয় জেরি , নেক্সট ইয়ার। এইবার আমরা তিনজন মিলেই অনেক মজা করব দেখো।

আমি বললাম না না আমি যাদের ইনভাইট করেছি তারা রোজ বের হয় বাড়ি থেকে। পুলিশ ওদের ধরে না। আমাদের সিকিউরিটি আঙ্কল ও বকে না। আমি জানি বাবা মা সত্যি বুঝতে পারছে না ব্যাপারটা কি। আমি বলেছি ওটা সারপ্রাইজ। কাল সন্ধ্যেবেলা সব বুঝতে পারবে।

সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। ৬০৩ ফ্ল্যাটের মাসিমনি শাঁখ বাজাচ্ছে। কেক রেডি করে মা ডাকল আয় এবার । বাবা ফোন হাতে জিজ্ঞাসা করছে বল তোর কোন কোন বন্ধুকে ভিডিও কল এ রাখব? আমি হেসে বললাম রেখে দাও তোমার ফোন।আমি আজ যে বন্ধুদের ডেকেছি তাদের তো তুমি চেনই না।

ঠিক তখনই বাইরে কিচকিচ করে ডেকে উঠল এসির ওপরের বাসিন্দা পায়রাগুলো। শুনতে পেলাম ওরা গাইছে হ্যাপি বার্থডে টু ইয়ু। বাবা ক্যান্ডেল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আকাশ ভরে আলো ছড়াতে ছড়াতে উড়ে গেল বিশাল একটা প্লেন। বাস এর হর্ন, কুকুরটার ঘেউ ঘেউ, ঝুড়ির সব্জিদের হাততালি! আমার খেলনা আর টেডি গুলো তো ভীষণ খুশি। পেট ভরে কেক খেয়ে গায়ে মেখে শেষ অব্দি কি মজার যে কাটল এবারের জন্মদিনটা!

গল্প লিখেছেঃ
অর্হণ খাঁ,
প্রথম শ্রেণি, সমরভিলে স্কুল, গ্রেটার নয়ডা

গ্রাফিকঃ মিতিল

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা