সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
সময়ের মূল্য

অনেক দিন আগে এক বাগানে একটি পিঁপড়া আর একটি ঘাসফড়িং বাস করতো । তারা উভয়ে খুব ভালো বন্ধু ছিল। তখন ছিল বসন্তকাল। ঘাসফড়িং এ সময়ে রোদে রোদে ইচ্ছে মত ঘুরে ঘুরে খেলায়, গানে আর নাচে মেতে রইলো। কিন্তু পিঁপড়া এসময়টাতে প্রচুর খাটুনির কাজ করলো। সে চারদিকে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সংগ্রহ করলো এবং তার মাটির গর্তের বাড়িতে সেগুলো মজুদ করলো। ঘাসফড়িং বুঝতে পারছিল না পিঁপড়া কেন এসব করছে ?

সে পিঁপড়াকে জিজ্ঞেস করলো, ও পিঁপড়া বন্ধু, দেখছো না কি সুন্দর রোদে ঝলমল দিন ! চলো না তুমি আর আমি এক সাথে খেলি।

পিঁপড়া উত্তরে বললো, বন্ধু, আমি কাজের সময়ে খেলতে যেতে পারি না, কারণ আমি আগামী শীতের জন্য খাদ্য সংগ্রহ ও সঞ্চয় করছি। শীতের সময়ে যখন কোথাও খাবার পাওয়া যাবে না, সে সময়ে আমার আজকের এই খাবারগুলো কাজে লাগবে। এছাড়া শীতের সময় ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে আমার মাটির বাড়িটাও মেরামত করতে হবে। তাই বন্ধ, আমার হাতে সময় কোথায় তোমার সাথে খেলতে যাওয়ার?

ঘাসফড়িং পিঁপড়ের এই কথা শুনে খুব করে হেসে নিয়ে পিঁপড়াকে বললো, বন্ধু, তুমি খামোখাই ভয় পাচ্ছো। এখানে প্রচুর খাবার আছে, কোনদিনই কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর থাকার কথা বলছো ? এই যে গাছে গাছে এত লতাপাতা! এখানে আবার থাকার কোন সমস্যা?

এরপর সে আবার নাচতে নাচতে খেলতে বেরিয়ে গেলো।
আর পিঁপড়া খাবার সংগ্রহের জন্য আবারও কাজে নেমে পড়লো।

কিছুদিন পর যখন শীত এলো, চারদিক শুকনো খটখটে হয়ে গেলো। গাছের প্রায় সব পাতাই ঝরে পড়লো। চারিদিক শুষ্ক, রুক্ষ ও কঠিন হয়ে উঠলো। ঘাসফড়িং তার থাকার জন্য আশ্রয় হারালো, কোথাও কোন খাবারও দেখতে পেলো না। সে খাবার খেতে না পেয়ে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়লো। অন্যদিকে, সে দেখলো সারাটি গ্রীষ্ম জুড়ে প্রচন্ড খাটুনি করা পিঁপড়ার প্রচুর খাবার। সে আরামে তার মাটির ঘরেই থাকছে আর জমানো খাবার থেকে একটু একটু করে খাচ্ছে।

ঘাসফড়িং তখন তার বোকামি বুঝতে পারলো। কাজের সময়ে আনন্দে মেতে থাকায়, ভবিষ্যতে দুঃসময়ের জন্য কিছুই সঞ্চয় না করায় এখন ভীষণ বিপদে পড়েছে । সময়ের কাজটি সময়ে করে রাখলে, দুঃসময় বলে কিছুই থাকে না!

ঘাসফড়িং বোকামির জন্য নিজেকেই দোষ দিল। পিঁপড়েকে বললো, তুমি সময়ের কাজ সময়ে অনেক কষ্টে শেষ করে রেখেছিলে বলে আজ তোমার সুখের দিন, আর আমি ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করিনি শুধুই আনন্দ করে গেছি বলে, এখন বিপদে পড়ে গেছি! কিছুই সঞ্চয় নেই বলে জীবন বাঁচাতে পারছি না!

সময়ের মূল্য

( ঈশপের গল্প অবলম্বনে )

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা