সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
ভুট্টা দিয়ে জুতো বানাবে রীবক

সত্যিটা যতই তেতো হোক, সেটা সত্যিই। সারা বিশ্বে কোটিকোটি মানুষ প্রতি সেকেন্ডে চারগুণ বেশি দূষণে সাহায্য করছেন। প্লাস্টিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার দূষিত বর্জ্যপদার্থ সব মিলে বিতিকিচ্ছিরি প্রাণান্তকর অবস্থা প্রকৃতির। সমস্যার সমাধানে একজোট সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই। এবার আমেরিকান জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থা রীবক জানিয়েছে, এবার তারা পরিবেশবান্ধব হবার দিকে আরও একধাপ এগোতে চায়। নতুন জুতো তৈরির ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্তই এই ভাবনার প্রমাণ বলে তাদের দাবি।

কিছুদিন আগে রীবক একটি প্রেসবিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এ বছরের শেষের দিকে ভুট্টা দিয়ে জুতো বানানো এবং তা বিক্রির লক্ষ্যে বাজারে নামাতে চলেছে।রীবক জানিয়েছে, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খেলোয়াড়দের জন্য বানানো এই জুতো স্টাইলিশ এবং আরামদায়কও হবে। ভুট্টা দিয়ে তৈরি জুতো যখন নষ্ট হয়ে যাবে, তখন সেই জুতো মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির কাজে সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে ভুট্টা দিয়ে জুতো বানানো হবে শুনে ভেবোনা যে আমরা যে ভুট্টা বাজার থেকে কিনে খাই, সেরকম ভুট্টা ব্যবহারের কথা হচ্ছে । এই উদ্যোগে ব্যবহার হবে ফিল্ড কর্ণ, এক বিশেষ ধরনের ভুট্টা, যা মূলতঃ ব্যবহার হয় পশুখাদ্য হিসাবে, আর বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক পণ্য তৈরি করতে।

ভুট্টা দিয়ে জুতো বানাবে রীবক

সাধারণত জুতো তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তেলনির্ভর প্লাস্টিক, যা বহুবছর লেগে যায় মাটিতে মিশে যেতে, এবং, মাটি তথা সমগ্র পরিবেশের ভয়ানক ক্ষতিও করে। আমাদের ফেলে দেওয়া বেশিরভাগ জুতোগুলি অনেক বছর ব্যবহার করার পরেও শেষে গিয়ে জমে বিভিন্ন ল্যান্ডফিলে। রীবক চাইছে এমন এক পদ্ধতিতে জুতো বানাতে, যা পরিবেশের বিন্দুমাত্র ক্ষতিসাধন করবে না, বরং পরিবেশের উপকারে আসবে। এই জুতোর ওপরের দিকে থাকবে কাপড়, আর নিচের অংশ তৈরি হবে ভুট্টার থেকে তৈরি এক বিশেষ ধরনের জৈ-রাসায়নিক বস্তু দিয়ে, যেটি প্লাস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে।


তথ্য ও ছবি সৌজন্যঃ গুড নিউজ নেটওয়ার্ক এবং রীবক

বীরভূমের বাসিন্দা। ভালো লাগে নানারকম খাবার খেতে, বেড়াতে, গল্প শুনতে, আর বন্ধুদের সঙ্গে খুউব হুটোপাটি করতে। পছন্দঃ টিনটিন, হাঁদাভোঁদা, বাঁটুল...আইসক্রিম, ফুচকা, হোমটাস্ক আর ইচ্ছামতী।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা