সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

সিপাহী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নানাসাহেব

গরমে ত্রাহি ত্রাহি রব। ইস্কুলে আগে থেকেই ছুটি পড়ে গিয়ে নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছ। শুধু এই গরমে এতটা অবসর নিয়ে কোথায় যে যাওয়া যায়!যেখানেই যাও গরম আর গরম। হিমালয়েই বরং চলে যাই, বল!তবে হ্যাঁ, সেই বরফও কতদিন থাকবে কে জানে।স্বাভাবিক তাপমাত্রার গড় বৃদ্ধির যা হার তাতে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর ৫-৬ ডিগ্রী সেলিসিয়াস বাড়তে চলেছে। প্রমাদ গুনছেন পৃথিবীব্যাপী বৈজ্ঞানিক আর আবহাওয়াবি্দেরা। তুমি জান কি না জানি না, সারা পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদ যা ছিল, মানব সভ্যতার শুরু থেকে তা যতটা খরচ হয়েছে আজ পর্যন্ত, তার বিগত অর্ধেক আমরা খরচ করে ফেলেছি বিগত মাত্র পনের বছরে। এখন UNICEF তাই বিশ্বব্যাপী একই লক্ষ্যে এগিয়ে চলতে চায় এটা মেনে নিয়েই যে সভ্যতার উন্নতির সাথে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবেই, আর আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৫-৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস না বেড়ে যেন মাত্র ২ ডিগ্রী বৃদ্ধির মধ্যেই থাকে। তবে তার জন্য তোমার মত স-ব ছোট্ট মানুষদের সচেতনতা খুব জরুরী। UN ICEF নিজে নিজে হঠাৎ একটা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিল, আর আমরা সবাই হাত-পা গুটিয়ে হাঁ করে বসে রইলাম, তাহলে আর কিছূই হবেনা।মেরু-অঞ্চলের পুরু বরফের ২ ইঞ্চি স্তর গলে গেলেই কেল্লা ফতে – পৃথিবীর সলিল-সমাধি – তিনভাগ জল আর একভাগ স্থলের বদলে, পুরোটাই জল।

ভবিষ্যৎ থেকে অতীতে ফিরে যাই, তোমাকে আমাকে বর্তমানে রেখে। কোথায় যেন একটা ছিলাম অতীতের time-line-এ। ও হ্যাঁ, সিপাহী বিদ্রোহ।


নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ

অযোধ্যার নবাব তখন ওয়াজেদ আলি শাহ, বুঝলে।লর্ড ডালহৌসি তাঁকে রাজ্যচ্যুত করে কলকাতায় নির্বাসিত করলেন।নবাবের বাহিনীর এক হাজার সৈনিককে ইংরেজরা বরখাস্ত করে দিল। এ তো পুরো জুলুমবাজি!কলকাতার সৈনিকেরা গেল খুব রেগে। কানাঘুষো চলল, চাপা জনরব তৈরী হল—এনফিল্ড রাইফেলের টোটাতে নিষিদ্ধ পশুর চর্বি আছে। তেতে উঠল সেপাইরা। আর নয়। হয় মুক্তি, না হয় মৃত্যুবরণ।

কিন্তু জান, বাংলায় এই মহাবিদ্রোহের ধাক্কা লেখাপড়া জানা বুর্জোয়া শ্রেনির মধ্যে তেমন ভাবে লাগল না।এই বিদ্রোহে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কৃষিজীবি ঘরের সন্তানেরা যে ভাবে সারা দেশে সাড়া দিয়েছিল, বাংলায় নতুন করে উঠে আসা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত আর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসাদে ইংরেজদের দাসানুদাস পরজীবি হয়ে বেঁচে থাকা জমিদার আর জোতদার-রা ছিল এই বিদ্রোহ থেকে ততটাই দুরে।তারা নিজেদের অন্ধ মোহ আর শ্রেনিস্বার্থ জিইয়ে রাখতে ধরেই নিয়েছিল এই বিদ্রোহ ভারতে আবার মোগল শাসন ফিরিয়ে আনবে; সমাজ পিছু হেঁটে ফিরবে মধ্যযুগীয় দশায়। কিন্তু সবই ভুল। ভ্রান্ত ধারণা।নিজেদের স্বার্থ জিইয়ে রাখার অছিলামাত্র।


রানী লক্ষ্মীবাঈ

নানা সাহেব, তাতিয়া টোপি আর ঝাঁসি-র রাণী লক্ষীবাঈ – এঁদের নাম শুনেছ নিশ্চয়ই। এঁরা সবাই হলেন এই মহাবিদ্রোহের অবিস্মরণীয় নেতা।এঁদের সকলের বীরত্ব, শৌর্য আর সংগঠন ক্ষমতা ভারতের মহান গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।তবে এঁরা তিনজনেই কিন্তু সামন্ত-শ্রেনির প্রতিভূ।কিন্তু মহাবিদ্রোহের সংগঠকদের ইস্তেহারে ভারতে সামন্ত-শাসন ফিরিয়ে আনার কোনো কথা কিন্তু বলা ছিল না।


তাতিয়া টোপি

বিদ্রোহী সেনারা দিল্লী দখল করে বৃটিশদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত, নির্বাসিত নবাব বাহাদুর শাহ জাফর-কে ভারতের শাসক হিসেবে ঘোষণা করে দিল।বৃটিশ-শাসনমুক্ত ভারতের অধিপতির স্বীকৃতি তিনি পান বিদ্রোহীদের কাছ থেকেই। তার মানে এই নয় যে তারা আবার ভারতে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। নবাব বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীক। এটা তো শুধু সৈনিকদের বিদ্রোহ ছিল না, যদিও তাদের হাত ধরেই শুরু। ইংরেজদের শাসনের বিরূদ্ধে সাধারণ মানুষের ঘৃণা আর ক্ষোভ এই বিদ্রোহের বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে সংগঠিতভাবে আত্মপ্রকাশ করারা সুযোগ পায়।

যাঃ…আজ আর লেখা যাবে না গল্প। এই গরমে কেমন লোডশেডিং হয়ে গেল দেখ ত। সব অন্ধকার। ঝড়-ও উঠছে মনে হচ্ছে, কালবৈশাখির। আজ আসি।চোখে মুখে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টির জল মেখে নিও। দেখো কি আরামটাই না হয়।

আর্য চ্যাটার্জি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বেশ কয়েকবছর বিভিন্ন ইংরেজি পত্র-পত্রিকায় নানা বিষয়ে লেখালিখি করেন। বর্তমানে পারিবারিক ঐতিহ্যের টানে একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। হাওড়া সালকিয়ার বাসিন্দা আর্য নিয়মিত গান বাজনার চর্চা করেন; নিজের ইচ্ছায় একাধিক তাল যন্ত্র বাজানো রপ্ত করেছেন তিনি। নিজের শখের কিছু লেখা আর ইচ্ছামতী-তে লেখা ছাড়া এখন আর কোনো পত্র-পত্রিকার সঙ্গে আপাততঃ যুক্ত নন। শখের লেখা ব্লগে লেখেন। বেশিরভাগই বড়দের জন্য কবিতা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা