সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
অথ জরাসন্ধ কথা

মহাভারতের যুগে মগধের রাজা ছিলেন বৃহদ্রথ। তিনি ছিলেন এক অজেয় সৈন্যবাহিনীর নেতা, যে কারণে, তৎকালীন রাজন্য সমাজে তাঁকে পরাক্রান্ত বীর বলে সমীহ করা হত। তিনি কাশীরাজের দুই কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন এবং তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি কখনও দুজনের মধ্যে তারতম্য করবেন না।

রাজা হিসেবে তিনি সর্বজনমান্য হলেও, তাঁর মনে গভীর দুঃখ ছিলযে, তাঁর কোন সন্তান ছিল না। প্রৌঢ়বয়সে তিনি মন্ত্রীদের হাতে রাজ্যের শাসনভার সমর্পন করে, দুই স্ত্রীকে নিয়ে বনে গিয়ে তপস্যায় রত হলেন। সেখানে একদিন তিনি দেখা করতে গেলেন গৌতমবংশীয় ঋষি কৌশিকের সাথে। কথা প্রসঙ্গে, তাঁর একমাত্র দুঃখের কথা ঋষিকে নিবেদন করলেন। তাঁর চোখ দিয়ে ঝর্‌ঝর্‌ করে জল পড়তে লাগল। দয়াপরবশ হয়ে ঋষি রাজার জন্য কিছু করতে চাইলে, তিনি বললেন, “মুনিবর, আমি নিঃসন্তান। সেই দুঃখ আমি রাজ্য ত্যাগ করে বনে এসেছি। আপনি কৃপা করে আমায় একটি সন্তান দান করুন"।

করুণার্দ্র হৃদয়ে ঋষি ভাবতে লাগলেন, এখন কি করা উচিত। হঠাৎ তাঁর সামনের আমগাছ থেকে, একটি সুমিষ্ট রসাল আম, তাঁর কোলে এসে পড়ল। তিনি আমটি হাতে নিয়ে একটুক্ষণ কি ভাবলেন, তারপর সেটি রাজার হাতে দিয়ে বললেন, “যান রাজা, এইটি নিয়ে স্ত্রীকে খেতে দিন, আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে"।

রাজা তো তাঁর রানীদের কথা দিয়েছিলেন, তিনি দুজনের মধ্যে কখনও তারতম্য করবেন না। তাই আমটি তিনি দুজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দিলেন। আম খেয়ে যথাসময়ে রানীরা সন্তানসম্ভবা হলেন। রাজা বৃহদ্রথ তো মহাখুশি। ভাবছেন, এবার তবে রাজ্যে ফিরে যাবেন, পুত্র বা কন্যা যাই হোক না কেন, তাকে মনের মত করে মানুষ করবেন; পুত্র হলে,সে হবে বিদ্বান, মহাবীর ও সর্বরকম যুদ্ধে পারদর্শী আর কন্যা হলে হবে সুশীলা ও চৌষট্টি কলাবিদ্যায় নিপুণা। তবে মনের গোপনে আরো একটি অভিলাষ তাঁর আছে, তা হল কন্যাকেও তিনি সর্বরকম যুদ্ধবিদ্যা শেখাবেন।

কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক। রানীরা সন্তানের জন্ম দিলে, খুশির হাওয়া নিমেষে বদলে গেল। প্রবল কান্নার রোলের মধ্যে রাজা এসে দেখলেন, দুই রানী দুটি অর্ধেক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দেখলে মনে হয়, একটি শিশুকে সমান দুই খণ্ডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি অংশে একটি করে ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চোখ, কান নাক প্রভৃতি একটি করে রয়েছে। দাসীরা যখন দুটি থালায় দুটি অংশকে নিয়ে এসে দাঁড়াল, দেখে রাজার ঘৃণা বোধ হল। দুঃখে, বিরক্তিতে, তিনি খণ্ডদুটি বনের ভিতর ফেলে দিতে আদেশ করলেন।

জরা নামের এক রাক্ষসী সেদিন অরণ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, আজ তার পেট ভরে খাবার জোটেনি। রাজার লোকেরা যখন সেই মাংসপিণ্ড দুটিকে রাজার আদেশমত অরণ্যে ফেলে দিয়ে গেল, নরমাংসের গন্ধ তার নাকে লাগতেই, তার মন উল্লসিত হয়ে উঠল। বিচিত্র মাংসখণ্ডদুটিকে নিয়ে সে আনন্দে লোফালুফি করছিল। কিন্তু হঠাৎ এ কি হল! কৌতুক ভরে দুই অংশকে সে একত্রিত করেছিল; আর তার হাতের উপর দেখা গেল একটি জীবিত শিশু হাত-পা নেড়ে প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করছে। শিশুটিকে দেখে, প্রথমে সে একটু হতচকিত হলেও, তার মনে দয়া হল। সে সেটাকে মেরে ফেলতে পারল না, নিয়ে গেল রাজার কাছে। রাজা প্রথমে অবাক হলেও আনুপূর্বিক শুনে শিশুটিকে গ্রহণ করলেন। সুন্দর, সুঠাম শিশুটি অত ছোট্ট বয়সেও প্রচণ্ডবিক্রমে হাত-পা ছুঁড়ছিল। রাজা বুঝলেন, ঠিকমত গড়ে তুলতে পারলে শিশুটি কালক্রমে মহাবীর হয়ে উঠবে। এতটুকু শিশুর আস্ফালন দেখতে দেখতে তাঁর মনে স্নেহ অঙ্কুরিত হতে থাকল। তাঁর মনে হল, আহা, এটি তো তাঁরই পুত্র হয়ে জন্মেছিল! তিনি শিশুটিকে দুই হাতে গ্রহণ করে কপালে স্নেহচুম্বন এঁকে দিলেন, তারপর বললেন, “জরা রাক্ষসীর হাতেই এই শিশু প্রাণলাভ করেছে। সে ছিল বলেই আমি আমার রাজ্যের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারীকে ফিরে পেয়েছি। আজ থেকে তাই এই শিশু জরাসন্ধ নামে খ্যাত হবে।

জরাসন্ধ বড় হলে, সমস্ত ভারতে দুর্ধর্ষ মল্লবীর বলে পরিচিত হলেন। এছাড়াও তিনি সব রকম যুদ্ধেই অপরাজেয় ছিলেন। তাঁর শরীরে কেবল একটিমাত্র দুর্বলতা ছিল, মাথা থেকে পা পর্যন্ত সেই সংযোগ স্থলটি। পা ধরে যদি কেউ তাঁর শরীর চিড়ে ফেলতে পারে, একমাত্র তবেই তাঁর মৃত্যু ঘটার সম্ভাবনা। দু-একজন ছাড়া আর কেউই এ খবর জানত না; সুতরাং এক হিসেবে, তিনি অমর হয়ে উঠলেন।

রাজা জরাসন্ধকে কেন্দ্র করে তৎকালীন ভারতে, একট শক্তিচক্র তৈরি হয়েছিল, যার প্রধান দুই স্তম্ভ ছিলেন যাদবকুলপতি কংস এবং চেদিরাজ শিশুপাল। কংস ছিলেন তাঁর জামাতা। তাঁকে হত্যা করে মথুরার শাসনভার কৃষ্ণ যখন উগ্রসেনকে সমর্পন করেন, তখন থেকেই তিনি জরাসন্ধের শত্রুকুলভুক্ত হলেন। বিদর্ভরাজ রুক্মী তাঁর বোন রুক্মিনীর সাথে শিশুপালের বিবাহ দিতে চেয়েছিলেন; সেখানেও কৃষ্ণ রাজপুত্রীকে হরণ করে বিবাহ করেছিলেন বলে জরাসন্ধ আরও বিদ্বিষ্ট হন। কৃষ্ণকে মেরে যাদব বংশকে উৎখাত করার জন্য তিনি আঠারবার মথুরা আক্রমণ করেছিলেন; শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণের নেতৃত্বে যাদবরা পালিয়ে এসে দ্বারকা নগরে রাজত্ব স্থাপন করেন।

পাশাখেলায় নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য তিনি একশত রাজাকে বন্দী করে মহাদেবের পূজায় তাদেরকে বলি দেবার সিদ্ধান্ত নেন। কোনক্রমে সেই খবর পৌঁছাল শ্রীকৃষ্ণের কাছে। এই সময় কৌরব-পাণ্ডব দুপক্ষেই যুদ্ধের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সবাই জানে যে, জরাসন্ধ দুর্যোধনের পক্ষেই যোগ দেবেন। এমনিতেই পান্ডবদের সৈন্যবল কম, তার উপর জরাসন্ধ কৌরব পক্ষে গেলে, তাদের শক্তি যে বিলক্ষণ বৃদ্ধি পাবে, সে বিষয়ে শ্রীকৃষ্ণের মনে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। মনে মনে তিনি হিসাব করে দেখলেন, হংস, হিড়িম্বক, কংস প্রভৃতি জরাসন্ধের প্রধান শক্তিরা অপসৃত হয়েছে। এখন তাঁকে একলা লড়াইএ যদি হারিয়ে দেওয়া যায়, তবে তাঁর বিপুল সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে আর যুদ্ধ করতে হবে না। তিনি একটা কিছু স্থির করে, একদিন ভীম আর অর্জুনকে সঙ্গে করে গিরিব্রজপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। পথে শুনলেন, যজ্ঞস্থল ঘিরে কড়া পাহারা বসেছে।একমাত্র ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য কোন আগন্তুকের প্রবেশাধিকার নেই। শ্রীকৃষ্ণের ভ্রূ একটু কুঁচ্‌কে গেল। জরাসন্ধের সঙ্গে লড়তে গেলে শুধু গায়ের জোর নয়, কিঞ্চিৎ মাথাও খাটাতে হবে; জরাসন্ধ যে খুব কুটিল প্রকৃতির রাজাও বটে।

গিরিব্রজপুরের যজ্ঞস্থলের সামনে কুশ হস্তে তিনজন ব্রাহ্মণ যখন দাঁড়ালেন, তখন মহারাজ জরাসন্ধ আচমন করে,আসন গ্রহণ করেছেন। খবর এল, তিনজন ব্রাহ্মণ এখুনি তাঁর দর্শন চান। মহারাজ ঈষৎ বিরক্ত হলেন; আজ তিনি যে কাজ করতে চলেছেন, সেজন্য তাঁর প্রতি একটা বিরুদ্ধ জনমত তৈরি হয়েছে। শুধু তাঁর প্রতাপে কেউ কিছু প্রকাশ করছে না। আগামীকাল পূর্ণাহুতির পর তিনি নিশ্চিন্ত হবেন। এখন যজ্ঞ শুরু হবার সময়, তাঁকে যে আসন ছেড়ে উঠতে হল, সেটা তাঁকে যেন অশুভ সংকেত দিল। তবু, ব্রাহ্মণদের কথা ভেবে, তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন।

ব্রাহ্মণবেশী কৃষ্ণ বললেন, “মহারাজ, আমরা বিশেষ উদ্দেশ্যে আপনার কাছে এসেছি। আমার এই সঙ্গী দুজন সে কথা ব্যক্ত করবেন। তবে এঁরা বিশেষ ব্রত পালন করছেন বলে মধ্যরাতের আগে কথা বলবেন না। প্রতাপশালী মগধরাজের কাছে আমাদের যাচ্ঞা এই যে, তিনি সেই সময়ে আমাদের বক্তব্য শুনুন।"

জরাসন্ধ বিস্মিত হলেন। এত তুচ্ছ কথার জন্য তিনি যজ্ঞে বিঘ্ন ঘটিয়ে উঠে এসেছেন! আগন্তুকদের তিনি বিশেষভাবে নিরীক্ষণ করলেন। কেন জানি তাঁর মনে হল, এঁরা যথার্থ ব্রাহ্মণ নন। কিন্তু তাঁর মন এখন যজ্ঞের জন্য ব্যস্ত রয়েছে, তাই তিনি বেশি কথা না বলে, তথাস্তু বলে ফিরে গেলেন।

নির্দিষ্ট সময়ে তিনি যখন আগন্তুকদের সম্মুখীন হলেন, প্রথমেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কারা? বিপ্র পরিচয়ে আসলেও, তোমাদের বিশাল বাহু, ধনুঃশর ব্যবহারের দরুণ কিণাঙ্কিত হস্ত, তোমাদের অন্য পরিচয় দিচ্ছে।" অর্জুন এবার নিজেদের পরিচয় দিয়ে বললেন, “মহারাজ, আমরা শত্রুরূপে আপনার কাছে এসেছি, আপনার সঙ্গে এখুনি যুদ্ধ করতে চাই। আপনি আমাদের মধ্যে একজনকে বেছে নিন।"

অথ জরাসন্ধ কথা

জরাসন্ধ, একে তো ক্ষত্রিয় হিসেবে যুদ্ধের আহ্বানকে অস্বীকার করবেন না, তায় মল্লবীর বলে যথেষ্ট আত্মগর্বী ছিলেন। তিনি প্রচণ্ড অট্টহাস্য করে বললেন, “কৃষ্ণ, তুমি তো একজন গোপালক মাত্র। তুমি যুদ্ধের জান কি? আর অর্জুন? তুমি তো বালক মাত্র, এই সুকুমার দেহ নিয়ে আমার সাথে যুদ্ধ করলে, আমারই অপমান; তোমাকে হারিয়ে সুখ নেই। তোমাদের মধ্যে একমাত্র ভীমসেনেরই যোগ্যতা আছে, আমার সম্মুখীন হবার। এস, যুদ্ধ করি"।

শ্রীকৃষ্ণের যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। অর্জুন যখন, যে কোন একজনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য, মগধরাজকে আহ্বান জানাচ্ছিল, তখন মনে মনে তাকে অর্বাচীন বলে গালি দেওয়া ছাড়া কৃষ্ণের আর কিছু করার ছিল না। ইস্‌, রাজা যদি অর্জুনকে বেছে নিতেন! অর্জুনের ক্ষমতায় তো জরাসন্ধকে পরাস্ত করা সম্ভবই ছিল না। যাক, এযাত্রা রাজার অহঙ্কার তাদের বাঁচিয়ে দিল।

যুদ্ধ তো শুরু হল। ভীম যথেষ্ট বলশালী, তৎপর এবং বয়সে ছোট। কিন্তু জরাসন্ধও খ্যাতনামা মল্লবীর এবং তুলনায় বেশি অভিজ্ঞ। ফলে এক সময় দেখা গেল, ভীম কিছুতেই এঁটে উঠতে পারছেন না ও ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কৃষ্ণ দেখলেন, যুদ্ধের উন্মাদনায় ভীম ভুলে গেছে জরাসন্ধের দুর্বলতার কথা। এই কাহিনীটি, তিনি আসার সময় ভীমকে শুনিয়েছিলেন। কি করা যায়, তিনি এক উপায় ঠিক করলেন। লড়াই করতে করতে ভীম যখন তাঁর মুখোমুখি হচ্ছে, তখন তিনি, তাকে দেখিয়ে একটা ঘাস নখ দিয়ে লম্বা করে চিরে ফেললেন। ইঙ্গিত বুঝতে ভীমের অসুবিধা হল না। সুযোগ পেতেই, সে রাজাকে পা ধরে মাথার উপর প্রচণ্ড বেগে ঘুরাতে লাগল; তারপর সজোড়ে মাটিতে আছ্‌ড়ে ফেলে দুই পা দুদিকে টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলল এবং কৃষ্ণেরই পরামর্শ মত দুটি খন্ড দুদিকে নিক্ষেপ করল। ভীমের উল্লাস মিশ্রিত হুংকারের শব্দে পুরবাসীরা জানল যে, মগধরাজের জীবন শেষ হয়েছে, অত্যাচারিত জীবন থেকে তারাও মুক্তি পেয়েছে।

পূর্ব আকাশে সূর্য উঠছে, এ যেন সকলের কাছেই মুক্তিসূর্য। কৃষ্ণ, ভীম ও অর্জুন এলেন সেই একশত রাজাকে মুক্তি দিতে। সকলের আনন্দ কোলাহলের মধ্যে কৃষ্ণ জরাসন্ধের পুত্রকে রাজসিংহাসনে অভিসিক্ত করলেন। সবাই পাণ্ডবদের নামে জয়ধ্বনি দিল।

ইন্দ্রপ্রস্থে যুধিষ্ঠিরের সময় উদ্‌বেগে আর কাট্‌ছিল না। তিনজনে এসে তাঁকে প্রণাম করল। সুসংবাদের আনন্দ তাদের মুখেই ঝল্‌মল করছিল। রাজা তাদের বুকে জড়িয়ে ধরলেন। কৃষ্ণ মৃদু গলায় বললেন, "মহারাজ, আপনার পথের বিঘ্ন দূর হয়েছে।"

উৎসঃ মহাভারত

শুক্তি দত্ত ভালবেসে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। রূপকথা, প্রাচীন সাহিত্য, দেশবিদেশের লোকসাহিত্য, গল্পকথা পড়তে ভালবাসেন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা বা শিশুদের সেই গল্প শোনাতেও ভালবাসেন। প্রধানতঃ শিশুমনস্তত্ত্ব ও তাদের শিক্ষাসংক্রান্ত কাজে দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন। সেটা শুধু পড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি শিশু সাহিত্য, লোকসাহিত্য প্রভৃতিকে তাদের মূল্যবোধ বিকাশে কাজে লাগাতে চান।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা