সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

খিদে পাওয়া সমস্ত জীব জগতের এক স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু এ এক ভয়ঙ্কর অনুভূতি; মানুষের জন্য কত যে সমস্যা তৈরি করে, তার ইয়ত্তা নেই। এই বিষয়ে একটা গল্প শুনতে, আজ চলো যাই মহাভারতের যুগে, পাণ্ডবদের কাছে।

পাশা খেলায় হেরে পাণ্ডবরা তখন কাম্যক বনে দিন কাটাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছেন, তাঁদের যারা ভালোবাসতেন, সেই সব ব্রাহ্মণ, পুরোহিতেরা আর একদল হস্তিনাপুরের মানুষ, যুধিষ্ঠিরকে অন্যায়ভাবে পরাজিত করার জন্য, যারা দুর্যোধনকে তীব্রভাবে ধিক্কার দিয়েছিলেন। এদের সকলের পেট ভরাবার জন্য, ভীম আর অর্জুনকে প্রতিদিন অনেক শিকার করতে হত, দ্রৌপদীকে রাশি রাশি রান্না করতে হত। তাঁদের আর সে রাজবেশ নেই; সাধারণ কাঠ-পাতার তৈরি ঘরে কষ্ট করে থাকতে হয় তাঁদের। তবে তাঁদের এত কষ্টের একটা সুরাহা হয়েছিল। পাণ্ডবদের স্বভাবের জন্য তো দেবতারাও তাঁদের খুবই ভালবাসতেন। এই অবস্থা দেখে সূর্যদেব দ্রৌপদীকে মন্ত্রপূত একটা অক্ষয়পাত্র দিয়েছিলেন, যেটি ছিল এক অফুরন্ত রান্না করা খাবারের ভাণ্ডার; তবে দ্রৌপদীর খাওয়া হয়ে গেলে, সেদিনকার মত পাত্রটি খালি হয়ে যেত। পরদিন সূর্য উঠলে, আবার নতুন করে রান্না। এই উপহার পেয়ে দ্রৌপদীর খুব সুবিধা হয়েছিল। তিনি মনের সাধে, সমস্ত অতিথিকেই নানা ব্যঞ্জনে খাওয়াতেন।

পাণ্ডবদের কষ্টের খবর হস্তিনাপুরে যতই এসে পৌঁছায়, দুর্যোধনের উল্লাস ততই বাড়ে। যুধিষ্ঠিরের মনোবেদনা আরো বাড়িয়ে দেবার জন্য সে ঠিক করল, এবার সে রাজসূয় যজ্ঞ করবে। তাতে, সমস্ত ভারতের রাজাদের কাছে সে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারবে। কিন্তু পুরোহিতেরা বাদ সাধলেন। যুধিষ্ঠির অথবা ধৃতরাষ্ট্র বেঁচে থাকতে এই যজ্ঞ করার অধিকার তার নেই। তার থেকে বরং সে বৈষ্ণব যজ্ঞ করুক। দুর্যোধন আর কি করে, অগত্যা সেই যজ্ঞেই ব্রতী হল এবং মহা ধূমধাম করে যজ্ঞ সমাপ্ত করল।
কিন্তু কিছুদিন পরেই, নাগরিকদের মধ্যে ফিস্‌ফাস শুরু হল। নিষ্ঠা, আয়োজন, বৈভব ও সমারোহে এই যজ্ঞ যুধিষ্ঠির-কৃত রাজসূয় যজ্ঞের ষোল ভাগের এক ভাগও নয়। এই শুনে দুর্যোধনের মন্ত্রী এবং বন্ধুরাও বলতে শুরু করল,এই যজ্ঞ তাকে মান্ধাতা, ভরত, যযাতি প্রভৃতি ভরতবংশীয় মহান রাজাদের পর্যায়ে তুলে দিল। কর্ণ তো নানারকম প্রতিজ্ঞা করল; বাকি ধার্তরাষ্ট্ররা এমন কোলাহল জুড়ে দিল যে মনে হল, পাণ্ডবরা যুদ্ধ হবার আগেই কচুকাটা হয়ে গেছে।

যথাসময়ে গুপ্তচর মারফৎ যুধিষ্ঠির এ খবর অবগত হলেন। তিনি একটু শঙ্কিত হলেন, বিশেষ করে কর্ণের ব্যাপারে তাঁর চিন্তা ছিল। এক রাত্রে তিনি এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন। তিনি দেখলেন, বনের সমস্ত পশুরা তাঁকে গোল করে ঘিরে ধরেছে, আর করুণ সুরে আবেদন জানাচ্ছে যে, তিনি যেন তাদের এবার রেহাই দেন; প্রত্যহ এত পশু মারার ফলে তারা তো এই বন থেকে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। তাঁর ঘুম ভেঙে গেল। অন্ধকারে একা বিছানায় ঊর্দ্ধচক্ষু রাজার মনে হতে লাগল, একি স্বপ্ন, নাকি সত্যি! সত্যই তো প্রতিদিন বহু লোকের খাবার আয়োজন সুষ্ঠু করতে গিয়ে ভীমার্জুন শত শত পশু শিকার করতে বাধ্য হয়। অথচ জীবজগতের কল্যাণের জন্যই এইসব পশুপাখিদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাঁর মন খারাপ হয়ে গেল। বাকি রাত বিনিদ্র কাটিয়ে, সকালে তিনি ঘোষণা করলেন, এ বনে আর নয়, তিনি অন্যত্র যেতে চান।

এদিকে দুর্যোধনও নিয়মিত যুধিষ্ঠিরের সংবাদ সংগ্রহ করে থাকে। বনে গিয়েও যুধিষ্ঠিরের দিন যে প্রজা ও পুরোহিতদের নিয়ে ভালই কাটছে, সেই সংবাদ তাকে একটুও ভাল থাকতে দিচ্ছে না। কি করে তাঁর দিন খারাপ করে দেওয়া যায়, সেই চিন্তাতেই তার দিন যাচ্ছে। এমন সময়, একদিন মহামুনি দুর্বাসা এসে হাজির হলেন; সঙ্গে এক হাজার শিষ্য। "বহুদিন নানা পর্বতে বসে তপস্যা করে, তীর্থে ঘুরে, আমি ক্লান্ত বোধ করছি। অবশিষ্ট ভারতের কোথায় কি ঘটছে, কিছুই জানি না। তোমরা ভারতের প্রধান রাজবংশ, তোমাদের আতিথ্যে কিছুদিন বিশ্রাম করতে চাই।"

দুর্বাসা কেমন মুনি, তা সকলেরই জানা। তাঁর শিষ্যেরাই তাঁর মেজাজের ভয়ে কম্পমান। আর অন্য লোকেদের তো কথাই নেই। সামান্যতম কারণেই তিনি প্রচণ্ড রেগে যান আর অভিশাপ দেন; কোন লোকজনই মানেন না। কন্বমুনির পালিতা কন্যা শকুন্তলা অন্যমনস্ক ছিলেন বলে ঋষির ডাক শুনতে পাননি, শুধু এই অপরাধে শাপ দিয়ে অল্পব
সী মেয়েটির সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিলেন। আবার, রাজা কুন্তিভোজের কন্যা কুন্তীর সেবায় তুষ্ট হয়ে, তাকে যে বর দিয়েছিলেন, তাতে তার ভবিষ্যৎ জীবনে আশীর্বাদ ঝরে পড়েছিল। এইসব কারণে সবাই তাঁকে খুব সমীহ করত।

দুর্যোধন প্রাণপণে ঋষির সেবায় আত্মনিয়োগ করল, সমস্ত রকম খাদ্য-বস্ত্র ও সুযোগের কোন অভাব রইল না। এভাবে কিছুদিন গেলে, দুর্বাসা তৃপ্ত মনে দুর্যোধনকে বর দিতে চাইলেন। রাজকুমারের তো একটাই চাওয়া, যুধিষ্ঠিরের যেন তেন প্রকারেণ ক্ষতি করা। ভেবে চিন্তে সে বলল, "হে মহাঋষি, আপনি একবার কাম্যক বনে যুধিষ্ঠিরের আতিথ্য গ্রহণ করুন। আশা করি, সে আপনাকে আরও ভাল খাদ্য দিয়ে আপ্যায়ন করবে।"

কাম্যক বনে তখন গভীর রাত। কিছুক্ষণ হল সকলের খাওয়া শেষ হয়েছে। সবাই নিদ্রার আশ্রয় নিতে গেল। দ্রৌপদীও নিজের খাওয়া শেষ করে, সূর্যদত্ত পাত্র ধুয়ে রেখে, নিজের বিছানা তৈরি করলেন শোবেন বলে। এমন সময় -! কে এল এই অসময়ে তাঁদের আতিথ্য নিতে? দ্রৌপদী শুনলেন, বহু লোকের কলরব আর দরজায় অসহিষ্ণু করাঘাত। ত্বরিতে তিনি ভীম ও অর্জুনকে জাগালেন; তারপর যুধিষ্ঠিরকে খবর দিলেন। তিন ভাই দরজা খুলে দেখলেন, সামনে দাঁড়িয়ে সশিষ্য মহাঋষি দুর্বাসা।

মন শঙ্কায় দুরু দুরু করলেও, জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব হাত জোড় করে দুর্বাসাকে স্বাগত জানালেন। তিনি আশীর্বাদ করে বললেন, "বৎস, আমরা অনেক পথ অতিক্রম করে আসছি। পথে তেমন কিছু খাদ্য সংগ্রহ করা যায়নি। তাই আমরা বড়ই ক্ষুধার্ত, শ্রান্তও বটে। আমরা পার্শ্ববর্তী নদীতে স্নান করে আসছি, তুমি আমাদের জন্য খাবারের আয়োজন কর।
যুধিষ্ঠিরের মুখে কোন কথা নেই। তিনি নীরবে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানালেন। পিছনে দাঁড়িয়ে ভীমার্জুন ও দ্রৌপদীর অবস্থাও তথৈবচ। দুই ভাই ভাবছে্ন, এত রাত্রে শিকার নিষিদ্ধ, অন্ধকারে ফল ইত্যাদি দেখাও যায় না। দ্রৌপদী ভাবছেন, যে সূর্যদত্ত অক্ষয়পাত্রের সাহায্যে তিনি প্রত্যহ অগণিত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দে্ন, তাঁর খাওয়া শেষ হবার সঙ্গেই সেটা খালি হয়ে যায়। পরদিন সূর্যোদয়ের আগে সেটা আর সক্রিয় হয় না। তাই এখন তো সেই পাত্রের কাছে আর কিছুই পাওয়া যাবে না। তবে তিনি অতিথিদের জন্য কিভাবেই বা রাঁধবেন আর কিই বা রাঁধবেন? নিজের থেকে তাঁর পাণ্ডবদের জন্য বেশি চিন্তা হল। কিভাবে তিনি দুর্বাসার ক্ষুধানল এবং ক্রোধানল থেকে তাঁর স্বামীদের বাঁচাবেন?
চিন্তা করতে করতে একজনকে তাঁর মনে পড়ল। সকল বিপদে, যিনি তাঁদের সবাইকে এতদিন রক্ষা করে এসেছেন, তাঁকে তিনি এতক্ষণ কি করে ভুলে ছিলেন! তিনি করজোড়ে একমনে ডাকতে লাগলেন, " হে বিপত্তারণ, হে আমার একমাত্র সখা, তোমার সখী কৃষ্ণা (দ্রৌপদীর আরেক নাম) আজ ঘোর বিপদে রয়েছে। তুমি ছাড়া তাকে বাঁচাতে আর কে আছে? তুমি এই মুহূর্তে এখানে এসে আমায় উদ্ধার কর।"

দ্বারকা নগরীতে কৃষ্ণ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ কে যেন তাঁকে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দিল। তিনি যেন কৃষ্ণার আর্ত কান্না শুনতে পেলেন। রুক্মিনীকে বললেন, "বোধহয় পাণ্ডবদের খুব বিপদ হয়েছে; নইলে কৃষ্ণা এত আকুল হয়ে আমায় এ সময় ডাকছে কেন? আমি চললাম।" রুক্মিনী জানতেন, কৃষ্ণ পাণ্ডবদের প্রতি কতটা স্নেহপরায়ণ। তাই তিনি তাঁকে আর বাধা দিলেন না।

দুর্বাসা মুনি দলবলসহ স্নানে গেছেন, তিন পাণ্ডব কুটিরের দরজায় চিন্তিত মুখে বসে আছেন আর দ্রৌপদী ভিতরের ঘরে হাপুস নয়নে নিঃশব্দে কেঁদে চলেছেন – এমতাবস্থায় সেই রাতেই কৃষ্ণের আগমন ঘটল। তাঁকে দেখে ভীম আর অর্জুন ধড়মড়িয়ে উঠে এসে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। তাঁদের শান্ত করে, আনুপূর্বিক সব কিছু শুনে, এলেন দ্রৌপদীর কাছে। দ্রৌপদী তাঁকে কিছু বলবার আগেই, তিনি বললেন, "সখি, আমায় শীঘ্র কিছু খেতে দাও। আমি ভীষণ ক্ষুধার্ত।"

দ্রৌপদী কপালে করাঘাত করে বললেন, "হায় সখা, তুমিও খেতে চাইছ? তুমি কি জাননা, রাতে আমার ভোজনের পরে, কারো ক্ষুধা উপশমের ক্ষমতা, আমার আর থাকে না? নইলে দুর্বাসার ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য, এত রাতে তোমায় কেন ডেকে পাঠাব?"

কিন্তু কৃষ্ণ কিছুতেই কথা শুনলেন না। বারবারই দ্রৌপদীকে অনুরোধ করতে লাগলেন সেই অক্ষয়পাত্রটি এনে খুঁজে দেখবার জন্য, কিছু যদি পাওয়া যায়; তিনি যে বড়ই ক্ষুধার্ত। এত অনুরোধে বিব্রত হয়ে, দ্রৌপদী সেই পাত্রটি এনে কৃষ্ণকে দেখালেন। "দেখ সখা, কিছুই নেই আমার খাবার পর, ধুয়ে ফেলেছি পাত্রটি। তুমিও জান, কাল সকালে সূর্যোদয়ের আগে এই পাত্র থেকে কিছুই পাওয়া যাবে না।"

কৃষ্ণ হাঁড়িটা হাতে নিয়ে ভা-লো করে দেখলেন। আস্তে আস্তে তাঁর মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। তিনি ইশারায় কৃষ্ণাকে কাছে ডাকলেন। কৌতূহলী কৃষ্ণা কাছে এসে দেখলেন, পাত্রের গায়ে লেগে রয়েছে একটুখানি শাক ও ভাত। অবাক হয়ে তিনি ভাবলেন, এ অসম্ভব কি করে হল? তাঁর খাওয়া শেষ হলে তো সেই পাত্রে আর কিছুই থাকার কথা নয়! কেঁদে কৃষ্ণকে বললেন, "সখা, তুমি কি উপহাস করছ? এইটুকু ভাতে কি কারো পেট ভরে? তাছাড়া ওটুকু আমার উচ্ছিষ্ট, তাকি আমি তোমায় খেতে দিতে পারি?" কৃষ্ণ কোন কথাই শুনলেন না। সাগ্রহে সেই শাকান্নটুকু মুখে দিয়ে বললেন, " তৃপ্ত হোক"।

মনে আছে তো, দুর্বাসা মুনি হাজার শিষ্য সমেত নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন? এতটা রাস্তা হেঁটে এসেছেন, ক্লান্ত পা, শ্রান্ত দেহ। মুনি তো মনের আনন্দে শ্রান্তি-ক্লান্তি সব নদীর জলে ধুতে ধুতে ভাবছেন, " খুব খিদে পেয়েছে। যুধিষ্ঠিরের মন খুব উদার, আমাদের ভালই ভোজন করাবেন। বহুদিন পর খেয়ে তৃপ্ত হব।"কিন্তু হঠাৎ একি হল? জল থেকে উঠে এসে সকলেরই মনে হতে লাগল, পেট যেন ভীষণ ভরা। খোদ দুর্বাসা মুনি তো ভরা পেটের ঢেঁকুর তুলতে লাগলেন। শিষ্যদের পেট এত আইঢাই করছে যে, তারা আর কোথাও যেতে চাইল না। সকলেই নদীতীরে শুয়ে পড়লেন।

এদিকে যুধিষ্ঠিরকে আশ্বাস দিয়ে কৃষ্ণ বললেন, " ভীম, অর্জুন, যাও দেখ গিয়ে মুনিদের স্নান শেষ হল কিনা। যেমন তেমন কেউ তো নয়, এ যে ঋষি দুর্বাসা! খাবার জন্য আমন্ত্রণ না জানালে তাঁরা আসবেন কেন?"

কৃষ্ণের পরামর্শ মত, ভীম ও অর্জুন নদীর দিকে গেল ঋষিকে ডাকতে। "ঋষিবর, আপনি কোথায়? আপনার শিষ্যরাই বা কোনখানে আছেন? আমরা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছি, শীঘ্র আসুন।"

দূর থেকে ভীমের গলা শুনে, দুর্বাসা তাঁর শিষ্যদের চুপি চুপি বললেন, "শোনো, ভীম ডাকতে এসেছে। তোমরা কেউ শব্দ কোরো না। ভীম যা গোঁয়ার, না গেলে হয়ত ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে যাবে। পেটটা এত ভরে আছে যে, কিছুই খেতে পারব না, লজ্জার একশেষ হবে। আজ রাতটা তো ঘুমিয়ে পড়ি, কাল গিয়ে যুধিষ্ঠিরকে বুঝিয়ে বলব।"

পরদিন সকালবেলা স্নানাহ্ণিক শেষ করে দুর্বাসা শিষ্যদের সঙ্গে যুধিষ্ঠিরের কাছে আসলেন। তখন তাঁর সেই হুড়ুম-দুড়ুম তেজ উধাও হয়েছে।

ছবিঃ অনুভব সোম

শুক্তি দত্ত ভালবেসে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। রূপকথা, প্রাচীন সাহিত্য, দেশবিদেশের লোকসাহিত্য, গল্পকথা পড়তে ভালবাসেন। সেগুলো নিয়ে আলোচনা বা শিশুদের সেই গল্প শোনাতেও ভালবাসেন। প্রধানতঃ শিশুমনস্তত্ত্ব ও তাদের শিক্ষাসংক্রান্ত কাজে দীর্ঘকাল কাটিয়েছেন। সেটা শুধু পড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি শিশু সাহিত্য, লোকসাহিত্য প্রভৃতিকে তাদের মূল্যবোধ বিকাশে কাজে লাগাতে চান।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা