সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
মহামান্য ধান্যভান্ড

অনেক অনেকদিন আগে, জাপানে এক বীর যোদ্ধা ছিল। তার আসল নাম ছিল ফুজিওয়ারা হিদেসাতো কিন্তু লোকে তাকে চিনত তাওয়ারা তোদা বা 'মহামান্য ধান্যভান্ড' বলে। কী করে তার নাম পালটে গেল তা নিয়ে একটা খুব আকর্ষনীয় গল্প আছে।

একদিন সে তার নিরাপদ ডেরা ছেড়ে অভিযানের খোঁজে বেরিয়ে পড়ল। যেহেতু সে যোদ্ধা, তাই অলসভাবে বসে থাকা তার পোষাত না। তলোয়ার দুটো কষে কোমরে বেঁধে, হাতে ইয়া বড় ধনুক নিয়ে, কাঁধে তূণীর চাপিয়ে সে রওনা দিল। কিছুদূর যেতে না যেতেই সে এসে পৌঁছাল বিওয়া হ্রদের সেটা-নো-কারাশি সেতুর কাছে। যেই না সে সেতুর উপরে পা দিয়েছে, দেখল একটা বিশাল সাপের মত ড্র্যাগন তার পথে আড়াআড়ি ভাবে শুয়ে আছে। তার শরীরটা আবার পাইন গাছের প্রকান্ড গুঁড়ির মতো বিশাল এবং তা পুরো ব্রিজটাই ঢেকে দিয়েছে। তার থাবার নখ একদিকের কিনারায় রাখা আর অন্যদিকে রাখা আছে তার লেজ। দৈত্যটাকে দেখে মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে কিন্তু প্রতি নিশ্বাসে আগুন আর ধোঁয়া বেরোচ্ছে।  

প্রথম প্রথম হিদেসাতোও পথের মাঝে এই দানবটাকে দেখে একটু ভয় যে পায়নি তা নয়, কিন্তু সে সাহসী লোক, পিছু হটবার পাত্র নয়। তাই সে এগিয়ে গিয়ে ড্রাগনটাকে মাড়িয়ে টপকে চলে গেল। তারপর আর পিছনে না তাকিয়ে হনহন করে সামনে এগোতে থাকল।

কয়েক পা মাত্র গেছে, হঠাৎ শুনল কে যেন পিছন থেকে ডাকছে। পিছন ফিরে আশ্চর্য হয়ে দেখল যে ড্রাগন অদৃশ্য হয়ে গেছে আর তার বদলে দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুত দেখতে একটা লোক। সে আবার মাথা নুইয়ে বেশ আনুষ্ঠানিক রীতিতে তাকে সেলাম করছে! ঘাড় অবধি তার লাল চুল আর ড্রাগনের মুখের মত দেখতে একটা মুকুট পরে আছে মাথায়। তার গায়ের সবুজ পোষাকে ঝিনুকের কাজ। হিদেসাতো বেশ বুঝতে পারছিল ইনি কোনো সাধারণ মানুষ নন। আর ড্রাগনটাই বা এটুকু সময়ে গেল কোথায়? নাকি সেই নিজেকে পালটে এই লোকটা হয়েছে? যখন তার মাথায় এইসব চিন্তা হচ্ছিল ততক্ষণে সে সেতুটার দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে এসেছে।

"আপনিই আমায় ডাকছিলেন?"  
"হ্যাঁ, আমিই ডাকছিলাম। তোমার কাছে একটা অনুরোধ আছে। তুমি কি আমার অনুরোধ রাখবে?" লোকটা কাতরভাবে জিজ্ঞেস করে।
"যদি আমার সাধ্যের মধ্যে হয় অবশ্যই চেষ্টা করবো।" হিদেসাতো জানায়। "কিন্তু তার আগে বলুন আপনি কে?"
"আমি এই হ্রদের ড্রাগন রাজা আর আমার বাড়ি এই জলেই, এই সেতুর নীচে।"  
"আচ্ছা, আর আপনার অনুরোধটা কি শুনি?" হিদেসাতো জিজ্ঞেস করে।
"আমি আমার এ জগতের সবচেয়ে বড় শত্রু কেন্নোকে মারতে চাই। সে ওই পাহাড়ের পিছনে থাকে।" বলে ড্রাগনরাজ হ্রদের তীরের উল্টোদিকের একটা পাহাড়চূড়ার দিকে আঙুল দেখায়।
"আমার বহু বছর হল এই হ্রদে বসবাস। ছেলেপুলে নাতিনাতনি নিয়ে আমাদের বিশাল সংসার। কিন্তু কিছুদিন হল আমরা বড় ভয়ে ভয়ে বাস করছি। একটা দৈত্যাকার কেন্নো আমাদের ঘর আবিষ্কার করেছে এবং প্রতি রাতে এসে আমাদের পরিবারের কাউকে না কাউকে ধরে নিয়ে যায়। আমি তাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ। এরকম চলতে থাকলে শুধু যে আমি আমার সব সন্তানদের হারাবো তাই নয়, কোনোদিন হয়তো নিজেই এর খপ্পরে পড়ে প্রাণ হারাবো। তাই আমি খুব দুঃখে আছি আর শেষ পর্যন্ত ঠিক করেছি কোনো মানুষের কাছ থেকেই সাহায্য চাইব। এই ভেবে অনেকদিন আমি এই সেতুর উপর ওই ভয়ঙ্কর ড্রাগনের রূপ ধরে অপেক্ষা করছি একজন সাহসী মানুষের অপেক্ষায়। কিন্তু যারাই এপথে এসেছে তারাই ড্রাগন দেখে ভয়ে পালিয়ে গেছে। তুমিই প্রথম মানুষ যে সাহস করে ড্রাগনের মুখোমুখি দাঁড়ালে। তাই তোমার সাহস দেখেই আমি বুঝেছি তুমিই আমার শত্রুকে মারার মত সাহস রাখো। আমি তোমার কাছে ভিক্ষা চাইছি, দয়া করে আমাদের রক্ষা কর।"  

হিদেসাতো এসব শুনে খুব দুঃখ পেল এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজাকে কথা দিল যে সে একাজে তাঁকে  সাহায্য করবে। সে জিজ্ঞেস করল প্রাণীটা কোথায় থাকে যাতে সে তৎক্ষণাৎ ওটাকে নিকেশ করতে পারে। উত্তরে ড্রাগনরাজ জানালো মিকামি পর্বতে তার ডেরা। তবে প্রতি রাতে এক নির্দিষ্ট প্রহরে হ্রদের প্রাসাদে আসে তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি হিদেসাতো ততক্ষণ প্রাসাদে অপেক্ষা করে। সে ড্রাগনরাজকে অনুসরণ করল।আশ্চর্যের বিষয়, জল ভাগ হয়ে গিয়ে তাদের জন্য রাস্তা তৈরী করে দিল। ফলে, তার পোষাক একটুও ভিজল না। হিদেসাতো আগে কখনও এত সুন্দর সাদা মার্বেলের তৈরী প্রাসাদ দেখেনি, তাও আবার জলের তলায়! অনেকবার সমুদ্ররাজের জলের নীচের প্রাসাদের কথা শুনেছে বটে, কিন্তু একদম বিওয়া হ্রদের তলায় এমন প্রাসাদ অকল্পনীয়। সুন্দর ছোট ছোট গোল্ডফিস, রেডকার্প আর রুপালি ট্রাউট ড্রাগনরাজ আর তার অতিথিকে  অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে।  

হিদেসাতো তার খাবারের বন্দবস্ত দেখে অবাক হয়ে গেল। থালা হিসেবে আনা হয়েছে স্ফটিকের পদ্মপাতা আর ফুল, চপষ্টিক হিসেবে দেওয়া হয়েছে বিরলতম আবলুস। দরজা খুলতেই সুন্দরী গোল্ডফিস নর্তকীরা এসে তাদের ঘিরে নাচতে লাগল। তাদের পিছন পিছন এল রেডকার্প বাদ্যকারেরা। এভাবেই হু হু করে সময় পেরিয়ে কখন যে মধ্যরাত্রি হয়ে গেল হিদেসাতো টেরও পেল না। সবাই কেন্নোর কথা ভুলে গেছে, ড্রাগনরাজ সবে যোদ্ধাকে পানীয় ঢেলে শপথবাক্য পাঠ করবেন, এমনসময় থরথর করে প্রাসাদ কেঁপে উঠল। যেন কোন বিশাল সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজ করছে।

হিদেসাতো এবং রাজা দুজনেই ছুটে প্রাসাদের ঝুলন্ত বারান্দায় বেরিয়ে গেল। হিদেসাতো দেখল উল্টোদিকের পাহাড়ে দুটো বড় বড় আগুনের গোলা ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে ড্রাগনরাজ রীতিমতো ঠক ঠক করে কাঁপছে।

"কেন্নো! কেন্নো! ওই দুটো আগুনের গোলা ওর চোখ। আবার এসেছে শিকারের খোঁজে। এটাই ওকে মারার মোক্ষম সময়।"

এবার হিদেসাতো তারা ভরা আকাশের আলোয় ভাল করে দেখল ওই আগুনের পিছনে কেন্নোর বিশাল শরীর পাহাড় পেঁচিয়ে ধরে আছে। আর তার চোখদুটো হাজার লন্ঠনের আলো নিয়ে ক্রমশ তীরের দিকে এগিয়ে আসছে।
হিদেসাতো ভয়ের লেশমাত্র দেখাল না। সে ড্রাগনরাজকে শান্ত করার চেষ্টা করল।

"ভয় পাবেন না। আমি নিশ্চিতভাবে ওই কেন্নোকে মারব। শুধু আমাকে তীর আর ধনুকটা এনে দিন।"

ড্রাগনরাজ তার কথা মতো কাজ করলেন কিন্তু হিদেসাতো দেখল তার তূণীরে মাত্র তিনটে তীর পড়ে আছে। সে ধনুক তুলে খুব সাবধানে কেন্নোর দিকে তাক করে তীর ছুড়ল।

তীরটা সোজা গিয়ে কেন্নোর মাথার মাঝখানটায় লাগল কিন্তু তাকে কোনো আঘাত না করে মাটিতে পড়ে গেল।

ভয় না পেয়ে হিদেসাতো আবার একটা তীর নিয়ে তাক করে ছুড়ল। সেটাও আগের মতোই কেন্নোটার মাথার ঠিক মধ্যিখানে গিয়ে লাগল ঠিকই কিন্তু আগের মতোই এটাও মাটিতে পরে গেল। কেন্নোটাকে অস্ত্র কিছু করতে পারে না! যখন ড্রাগনরাজ দেখলেন যে এই বীর যোদ্ধার অস্ত্রও কেন্নোর কিছু করতে পারছে না, তখন তিনি হাল ছেড়ে দিয়ে বিলাপ করতে লাগলেন।

এদিকে হিদেসাতো দেখছে আর মাত্র একটা তীর বাকি আছে। যদি এটাও নষ্ট হয়, তাহলে আর কেন্নোকে মারা যাবে না। সে দেখল দানোটা পাহাড়টাকে সাত পাক পেঁচিয়ে রেখেছে এবং ধীরে ধীরে যে হ্রদের দিকে এগিয়ে আসছে তা তার জলে স্পষ্ট প্রতিফলন দেখে বোঝা যাচ্ছে।  

মহামান্য ধান্যভান্ড

তারপর হঠাৎই হিদেসাতোর মনে পড়ল সে কখনও শুনেছিল যে কেন্নোর কাছে মানুষের মুখের থুথু বিষাক্ত। কিন্তু এটা তো কোনো সাধারণ কেন্নো নয়! এটা এত বিশাল ভয়ঙ্কর কেন্নো যে তার কথা ভাবলেই সাধারণ মানুষের রক্ত ভয়ে হিম হয়ে যায়। যাইহোক, হিদেসাতো দেখল এটা তার শেষ সুযোগ। সে তীরটাকে নিয়ে প্রথমে তার ফলাটা মুখে পুরল। তারপর সে তীরটকে ধনুকে লাগিয়ে শরনিক্ষেপ করল।

এবার তীরটা সোজা গিয়ে মাথার মাঝখানে লাগল এবং অন্যান্যবারের মতো আলতো করে ছুঁয়ে মাটিতে না পড়ে একদম ঘিলুর মধ্যে সেঁধিয়ে গেল। তারপর এক জোর ঝাঁকুনি খেয়ে দৈত্যটার শরীরের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল। জ্বলজ্বলে চোখ দুটোর দীপ্তি প্রথমে কমে এল। যেন মেঘলা দিনের সূর্য। তারপর তা নিভে চতুর্দিকে গাঢ় অন্ধকার নেমে এল। বিদ্যুৎ চমকাতে আরম্ভ করল, জোর ঝড় উঠল। মনে হল যেন প্রলয়ের মুহূর্ত উপস্থিত। ড্রাগনরাজ আর তার পরিবার প্রাসাদের বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যুভয়ে কুঁকড়ে রইলেন। সারারাত ধরে প্রাসাদ কাঁপতে লাগল।   

অবশেষে সেই অভিশপ্ত রাত শেষ হল। সুন্দর পরিষ্কার সকালে সবাই দেখল কেন্নো মারা গেছে। আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

ওখানকার সব অধিবাসীরা আনন্দ করতে বেরিয়ে এল। হিদেসাতো হ্রদের দিকে আঙুল দেখাল। তারা সবাই মিলে কেন্নোর সেই বিশাল শরীরটাকে জলে ভাসিয়ে দিল। জলের রঙ রক্তে লাল হয়ে গেল।  

ড্রাগনরাজের আনন্দের সীমা ছিল না। তাঁর পুরো পরিবার এসে হিদেসাতোর সামনে মাথা নুইয়ে তাকে সম্মান জানালো এবং হিদেসাতোকে ঘোষণা করল জাপানের সেরা বীর ও তাদের রক্ষাকর্তা বলে।

আবার একটা ভোজের আয়োজন করা হল। এটা আগের ভোজের চেয়ে অনেক অনেক জাঁকজমকপূর্ণ। সবরকমের কাঁচা, সেদ্ধ, ভাজা মাছ প্রবাল আর স্ফটিকের পাত্রে করে আনা হচ্ছে। এরকম সেরা পানীয় হিদেসাতো আগে কখনও চেখে  দেখেনি। এর উপর আবার সূর্য উঠেছে ফলে হ্রদের জল হীরের মতই ঝলমল করছে। দিনের বেলার প্রাসাদ রাতের চেয়েও দেখতে অনেক সুন্দর।  

রাজা অতিথিকে আরও কয়েকদিন ধরে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হিদেসাতোই ফিরে যাওয়ার জন্য, এই বলে পীড়াপীড়ি করে যে, সে যা করতে এসেছিল তা হয়ে গেছে। এবার তাকে ফিরতে হবে। এত তাড়াতাড়ি সে চলে যাবে জেনে ড্রাগনরাজ আর তার পরিবার খুব দুঃখ পায় কিন্তু সে যেহেতু চলে যাবে বলে ঠিক করেই ফেলেছে তাই রাজা তাকে কিছু উপহার গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান।  

চলে যাবার জন্য তৈরী হয়ে হিদেসাতো দাঁড়িয়েই ছিল। হঠাৎই তার সামনের মাছের ঝাঁক একদল যুবকে পরিণত হল। তাদের প্রত্যেকের মাথায় ড্রাগন মুকুট, গায়ে তাদের অনুষ্ঠানের পোষাক। এরা সব রাজার লোক, তাকে উপহার দিতে এসেছে।    

যা যা তাকে এরা দিল, তা এইরকম-
প্রথমত, ব্রোঞ্জের এক বিশাল ঘন্টা
দ্বিতীয়ত, একটা চালের ভান্ড
তৃতীয়ত, গোটানো রেশমের কাপড়
চতুর্থত, একটা রান্নার পাত্র
পঞ্চমত, একটা ঘন্টা

হিদেসাতো এসব উপহার নিতে চায়নি কিন্তু ড্রাগনরাজ যেহেতু জোর করেছেন তাই সে বাধ্য হয়ে সে সব গ্রহণ করে।

ড্রাগনরাজ নিজে হিদেসাতোকে সেতু পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যান এবং তার সঙ্গে তাঁর নিজের পরিচারকদের পাঠিয়ে দেন বাড়িতে উপহারগুলো পৌঁছনোর জন্য।

এদিকে হিদেসাতোর বাড়ির লোক তাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে। আগের রাতে সে বাড়ি ফেরেনি কেন? শেষমেশ তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে সে নিশ্চয়ই ঝড়ে আটকে পড়েছে এবং কোথাও আশ্রয় নিয়েছে। যখন অপেক্ষারত চাকররা তাকে দেখতে পায় তখন তারা চিৎকার করে সকলকে ডেকে ডেকে দৌড়ে তার সাথে দেখা করতে আসে। তারপর তার পিছনের এত লোকজন দেখে অবাক হয়ে যায়।  

ড্রাগনরাজের লোকজন জিনিসগুলো বাড়িতে নামিয়ে রেখেই অদৃশ্য হয়ে যায় এবং হিদেসাতো তাদের যা যা হয়েছে খুলে বলে।  

যেসব জিনিস সে ড্রাগনরাজের কাছ থেকে পেয়েছে তার সবগুলোতেই কিছু না কিছু অলৌকিক ক্ষমতা ছিল। ঘন্টাটাই ছিল কেবল সাধারণ আর যেহেতু হিদেসাতোর কোনো কাজ ছিল না ঘন্টা নিয়ে তাই সে সেটা কাছের মন্দিরকে দান করে দেয়। সেখানে এটা দিনের বিভিন্ন সময়ে ঢং ঢং করে বাজত আর গ্রামের লোককে সময়ের জানান দিত।

তবে সবচেয়ে কাজে লাগল চালের ভান্ডটা। সেটা থেকে যে খাবার প্রস্তুত হত তাতে সবারই খাওয়া হয়ে যেত অথচ তার চাল কোনোদিন শেষ হত না।

রেশমের কাপড়টাও কখনো ছোট হত না। যদিও এটা থেকেই প্রতি বছর নববর্ষে রাজসভায় যাওয়ার জন্য তাকে পোষাক বানিয়ে দেওয়া হত।  

রান্নার পাত্রটাও ছিল এককথায় অসাধারণ। এতে যাই দেওয়া হত তা থেকেই সুস্বাদু খাবার তৈরী হত। আর এতে রান্না করতে কোনো আগুনও লাগত না।

যেহেতু তার খাওয়া পরার কোনো অভাব রইল না তাই সে অচিরেই খুব ধনী হয়ে গেল আর হিদেসাতোর সমৃদ্ধির গল্প এভাবেই দূর-দুরান্তে ছড়িয়ে পড়ল। ধীরে ধীরে তার নাম হয়ে গেল 'মহামান্য ধান্যভান্ড’ ।

(জাপানের লোককথা)

 

ছবিঃ নভনীল দে

ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র। লেখালিখি এবং পড়াশোনার মধ্যেই থাকতে ভালোবাসেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা