সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

স্থানঃ বিশাল বটগাছের পাতায় ঢাকা ডালপালা।
সময়ঃ সকাল আটটা সাড়ে আটটা।
পাত্রঃ অনেকে, তাদের পরিচয় আস্তে আস্তে মিলবে।

কাকঃ
কা, কা, কা খবর টিয়াদিদি, আজ মনে হচ্ছে খুব আনন্দে আছো?
টিয়াঃ
আনন্দ হবে না, বলিস কিরে? আজ আকাশের রং দেখেছিস? রোদ্দুরের ঢং দেখেছিস?
কাকঃ
কাঃ কাঃ কাঃ, আকাশের আবার রং কি গো? রোদ্দুরের নাকি আবার ঢং ?
কোকিলঃ
কার কাছে কি বলছো টিয়াদিদি, ও রংয়ের কি বুঝবে, কালো রং ছাড়া আর কিছু রং ও চেনে নাকি, ছাই?
কাকঃ
দ্যাখ কোকলে, তোর সঙ্গে তো আমি কথা বলছি না, কেন গায়ে পড়ে ঝগড়া করছিস?
কোকিলঃ
কুঃ কুঃ কুঃ, তোর সব কিছুই কু মানে খারাপ, পচা। দুর্গন্ধ।
কাকঃ
আমাকে বেশি খ্যাপাস না, কোকলে, আমি কিন্তু রেগে গেলে ঠকঠকাঠক ঠুকরে দিই। তুই বা কি এমন রংদার পাখিরে। কেলে তো তুইও। সারা বছর তো তোর পাত্তা পাওয়া যায় না। বসন্তের দু আড়াই মাস তোর যত ডাকাডাকি। সারাক্ষণ কুউ, কুউ। তোর চোখে তো ভালো কিছুই নজরে পড়ে না, সর্বদাই কু দেখিস। এদিকে নিজের বাসাটাও বানাতে পারিস না, আমার বাসায় ডিম পাড়িস। তাও তোর লজ্জা হয় না? বোকা হাঁদা মানুষগুলো, তোর কুডাকে মুগ্ধ হয়ে খালি কবিতা লেখে।
কোকিলঃ
তাই বুঝি তোর হিংসে হয়, হিংসুটি? ওই যে, দুমাস ডাকাডাকি করি, তাতেই আমাকে সারা বছর সবাই মনে রাখে। আমার ডাক শোনার জন্যে সবাই অপেক্ষা করে। আর তুই সারা বছর সর্বদা বাড়ির আনাচে কানাচে কা কা করিস বলে, লোকে তোকে হুস হুস করে তাড়িয়ে দেয়। তুইও চেষ্টা কর না, কা কা না করে কু কু বলতে...হিহি হিহি...পারবি?
শালিকঃ
লোকে আমাদের বলে, আমরা নাকি ঝগড়া করি। তোদের যদি দেখত তাহলে এ কথা বলতো না। কি শুরু করলি কি তোরা? থাম না একটু। টিয়াদিদির কথাটা তো চাপাই পড়ে গেল।
কাঠঠোকরাঃ
যা বলেছিস শালিক। সেই ভোর থেকে উঠে, কাঠে ঠোঁট ঠুকে ঠুকে, ঠোঁটটা কন কন করছিল, তাই এলাম একটু জিরোতে। সে জো আছে। এই কাক আর কোকিলে শুরু করে দিলে ঝগড়া।
চড়াইঃ
কাঠে ঠোঁট না ঠুকলেই হয়।
কাঠঠোকরাঃ
বোঝো কাণ্ড, কাঠে ফুটো না করলে, পোকা পাব কোথায়, থাকবার জন্যে বাসাই বা বানাবো কোথায়?
চড়াইঃ
বাঃ রে, আমরা বুঝি কিছু খাই না। আমরা বুঝি বাসা বানাই না?
কাঠঠোকরাঃ
তুই আর বেশী বড়াই করিস না রে, চড়াই। তুই তো লোকেদের বারান্দার কোণে, ঘরের আলমারির মাথায় বাসা বেঁধে দিব্বি কাল কাটিয়ে দিলি। ওকে আবার বাসা বানানো বলে নাকি?
পেশায় সিভিল ইঞ্জিনীয়ার হিসেবে প্রায় ২৫ বছর ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মাণ কাজে জড়িত। সঙ্গে লেখালেখির ইচ্ছে ও অভ্যেস অনেকদিনের।বিভিন্ন মুদ্রিত পত্রিকা এবং ওয়েব ম্যাগে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে নানাধরণের সৃষ্টি...এবং এই ইচ্ছামতী সেই ইচ্ছের পালে ভরে তুলছে অনুকূল বাতাস।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা