সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

বোৎসোয়ানার মানুষ জন

এবার আসা যাক দেশের মানুষদের কথায়। বোৎসোয়ানার মানুষদের একসঙ্গে বহুবচনে বলা হয়ে 'বাৎসোয়ানা' আর একবচনে 'মোৎসোয়ানা'। বাৎসোয়ানাদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক জনজাতির মানুষ। সোয়ানা (Tswana) গোষ্ঠীর মানুষরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে অন্যান্যদের মধ্যে কালাঙ্গা (Kalanga), বাসারোয়া (Basarwa), বাহরেরো (Baherero), বাকগালাগাডি (Bakgalagadi) প্রভৃতি জনগোষ্ঠীও আছেন। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাকাল্যাঙ্গা (Bakalanga), সান (San) গোষ্ঠীর মানুষরা। এঁদের মধ্যে সান জনগোষ্ঠী সংখ্যায় খুবই কম, এবং তাঁরা এখনও প্রাচীন শিকারনির্ভর জীবনযাত্রাতেই অভ্যস্ত।

বান্টু ভাষাগোষ্ঠীর অংশ, সেৎসোয়ানা (Setswana) ভাষা হল বোৎসোয়ানার সরকারি ভাষা এবং এই দেশের কথ্য ভাষা । এছাড়াও সরকারি কাজে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারকরা হয়।

বাৎসোয়ানারা স্বভাবে ভারি মিশুকে। সবাই মিলে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা, কাজকর্ম করা এসবে তাঁরা বেজায় তৃপ্তি পান। একটা দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের খাওয়াদাওয়া, পোশাক, ভাষা এসবে কিছু কিছু তফাৎ তো থাকবেই, তবু তারই মধ্যে মিলেমিশে থাকতে পারাটাই সবচেয়ে বেশি আনন্দের, তাই না?

এখানে একটা বিষয়ের উল্লেখ না করলেই নয়। বোৎসোয়ানাতে কিন্তু বর্ণবিদ্বেষ বা Racism-এর চল নেই। প্রতিবেশী দেশ সাউথ আফ্রিকাতে বহুবছর ধরে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে উথাল-পাথাল চলেছে। সারা পৃথিবীর অন্যান্য বেশিরভাগ দেশেই নানারকমের বর্ণবিদ্বেষ দেখা যায়। কিন্তু বোৎসোয়ানাতে কালো এবং সাদা চামড়ার মানুষেরা মিলেমিশেই থাকেন, তাঁরা বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে মাথা ঘামান না। এর মূল কারণ হল, সোয়ানা গোষ্ঠীর মানুষদের এক অনন্য জীবনদর্শন - 'বোথো' , যার মানে হল 'আমরা সবাই এক পরিবারের অংশ'। সোয়ানা মানুষেরা সমগ্র মানবজাতিকে একভাবে সম্মান করেন।

এদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী বিভিন্ন প্রাণীকে প্রতীক হিসেবে ভক্তি করে (Totem)। প্রায় সারা বিশ্বেই এই পবিত্র জীবদের ভক্তিশ্রদ্ধা করার ব্যাপারটা ছড়িয়ে আছে, যেমন আমাদের দেশে তুলসীগাছ, ষাঁড় ইত্যাদিকে বেশ পবিত্র বলে মনে করা হয়। আসল ব্যাপারটা হলো প্রকৃতি আর প্রাণিজগতের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার কাজটা যাতে আমরা আরও ভালোবেসে করতে পারি, সেজন্যই এই পবিত্র গাছ, পবিত্র প্রাণীর প্রথাগুলো শুরু হয়েছিল। এসো, বোৎসোয়ানার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর টোটেমদের নিয়ে একটু জেনে নিই।

বাসুবিয়া (Basubiya) গোষ্ঠীর টোটেম হলো জলহস্তী। এঁরা চোবি (Chobe) নদীর ধারের বাসিন্দা, সেখানে জলহস্তী সংখ্যায় বেশি, পাশাপাশি থাকতে হবে, সেকারণেই বোধহয় জলহস্তীকে পবিত্র প্রাণী বলে মেনে নিয়েছেন এঁরা।
ঠিক সেভাবেই বাকওয়েনা (Bakwena) উপজাতির টোটেম কুমির, বাতাওয়ানা (Batawana)দের সিংহ, বাঙ্গোয়াটো (Bangwato)দের ড্যুইকার (Duiker) নামে এক ধরনের অ্যান্টিলোপ জাতীয় প্রাণী, এ নাকি একবার কোনও এক গোষ্ঠীপ্রধানের প্রাণ বাঁচিয়েছিল, সেই কৃতজ্ঞতায় এই প্রাণীটিকে এঁরা পবিত্র মানেন।


রন্দাভেল

এবার রন্দাভেল (Rondavel) এর গপ্প শোনা যাক। এগুলো আর কিছুই না, আফ্রিকান কুঁড়েঘর। এক্কেবারে আমাদের গ্রামবাংলার সাদাসিধে কুঁড়েঘরের মতোই, খড়ের ছাউনি দেওয়া চাল, গোবর নিকোনো মেঝে, কেবল দেওয়ালগুলো পাথর দিয়ে তৈরি, বালি মাটি আর গোবরের গাঁথনি দিয়ে গাঁথা। খড়ের ছাউনিগুলো ঘাসের সুতো দিয়ে ভারি যত্নে সেলাই করে করে বানানো হয়।

এবার চলো পোশাক-আশাকের গপ্প খোঁজা যাক।

বোৎসোয়ানায় যে সোয়ানা গোষ্ঠীর মানুষজন সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি, তাঁরা অনেক আগে, ঔপনিবেশিক শাসনের আগের যুগে বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক পরতেন, সঙ্গে থাকত তামার তার, চামড়া, প্রাণীদের দাঁতের তৈরি গয়নাগাঁটি। তারপর মিশনারিদের প্রভাবে আস্তে আস্তে তাঁরা ইউরোপীয় পোশাকে অভ্যস্ত হতে লাগলেন। এখন রোজকার জীবনে তাঁরা সাধারণ ইউরোপীয় পোশাকই বেছে নেন, বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে দেশের পুরনো ঐতিহ্য মেনে 'কারোস' (প্রাণীর লোম বা পশম দিয়ে বোনা কম্বল) ইত্যাদি পোশাক পরে থাকেন।

সোয়ানা ছাড়াও এদেশের আরেক উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী হলেন হারেরো (Herero) -রা। এঁদের যে পোশাক, হারেরো ড্রেস, সেটিও মিশনারিদের প্রভাবেই গড়ে উঠেছিল। বেশ কয়েকটি স্তরের প্রায় সারা শরীর ঢাকা গাউন জাতীয় পোশাক এটি, তার সঙ্গে মহিলারা মাথায় পরেন কাপড়ের তৈরি একধরনের বড়সড় টুপি।

দেশের পোশাক-আশাক, বাড়িঘর সবই যখন বুড়িছোঁয়া ছুঁয়ে দেখা হলো, খাবারদাবারের কথা তো বলতেই হয়। একটা দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস না জানলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যায় তো! বোৎসোয়ানার নিজস্ব ঐতিহ্যশালী খাবার বলতে প্রথমেই বলা যায় সেসওয়া (Seswaa)-র কথা। সাধারণত কোনও বড়সড় অনুষ্ঠানে এটি রান্না হয়, রাঁধুনি হিসেবে থাকেন প্রধানত পুরুষরা। খুব জটিল রেসিপি ভেবো না যেন আবার! বীফ বা মাটনকে কেবল নুন দিয়ে বড় বড় হাঁড়িতে সেদ্ধ করা, ব্যস, এই হলো সেসওয়া রাঁধার নিয়ম। তবে হ্যাঁ, কতক্ষণ সেদ্ধ হবে, নুন কতটা পড়বে, সেসব হিসেব জানিনে, পাকা রাঁধুনি ছাড়া সে কথা কেউই জানেন না।


সেস্‌ওয়া এবং বোগোবে

আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের আরেকটি খাবার হলো ভুট্টাদানার পরিজ, প্যাপ (Pap), যাকে সেৎসোয়ানা ভাষায় বোগোবে (Bogobe)-ও বলা হয়। এই প্যাপ সকালের জলখাবারে দুধ, মাখন, চিনি সহযোগেও খাওয়া যায়, আবার মাংস, স্যুপ, ইত্যাদির সঙ্গেও খাওয়া যায়। ওই আগে যে সেসওয়ার কথা শুনলে, তার সঙ্গেও এই প্যাপ বা বোগোবির জুড়ি নাকি খাসা লাগে!


তরমুজ নাকি জন্মেছিল...!

খাবারের গপ্প খুঁজতে গিয়ে জানতে পারলাম আমাদের তরমুজের জন্মস্থান নাকি বোৎসোয়ানা বলে মনে করা হয়। ভাবো দেখি, কদ্দূর পাড়ি দিতে হয়েছে সবুজ গোলালো ফলটাকে! নেহাত ফল, তাই আর ভূপর্যটকের খেতাব জোটেনি বেচারার। এছাড়া আছে লেরোৎসি (Lerotse) নামে একরকম ফল, দেখতে নাকি তরমুজের মতোই, ভেতরটা কমলা, মিষ্টি নয়, কাঁচা খেতে অনেকটা শশার মতন। এই ফল আর টক দুধ দিয়ে তৈরি হয় বোগোবে জ্বা লেরোৎসি (Bogobe Jwa Lerotse), উৎসব অনুষ্ঠানের একটি জনপ্রিয় পদ। দেশের মরু অঞ্চলে আরও বেশ কয়েক রকমের মেলন (melon) জাতীয় ফল পাওয়া যায়। মরু অঞ্চলের বাসিন্দাদের খাবার ও জলের প্রয়োজন সেগুলো বেশ ভালোভাবে মেটায়।


রাজধানী গ্যাবোরোন

বোৎসোয়ানার রাজধানী শহর গ্যাবোরোন (Gaborone)। ১৯৬০-এর দশকে, বোৎসোয়ানা স্বাধীনতা লাভা করার পরে, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত এই শহরটিকে রাজধানী রূপে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

এবারে এক ঝলকে দেখে নেবো বোৎসোয়ানার জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রাণী, জাতীয় পাখি আর কোট অফ আর্মসের ছবি :


ওপরেঃ বোৎসোয়ানার পতাকা এবং কোট অফ আর্মস
নীচেঃজাতীয় পাখিঃ কোরি বাস্টার্ড,জাতীয় পশুঃ জেব্রা

এবার চিনে নিই বোৎসোয়ানার কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানুষদেরঃ


ডঃ ইউনিটি ডাও

বোৎসোয়ানার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রথমেই নাম আসে এদেশের প্রথম মহিলা বিচারক ডঃ ইউনিটি ডাও (Dr. Unity Dow) এর। আইনজ্ঞ হিসাবে এঁর অন্যতম কৃতিত্ব হলো দেশের আইনব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে বোৎসোয়ানার দ্বৈত নাগরিকত্ব (Dual citizenship) সংক্রান্ত আইনে বৈপ্লবিক বদল আনা। আগেকার নিয়ম অনুযায়ী, কেবলমাত্র বাৎসোয়ানা পুরুষদের সন্তানরাই দেশের নাগরিকত্ব পেতেন, যাঁদের মা বাৎসোয়ানা কিন্তু বাবা বিদেশী, তেমন মানুষেরা বোৎসোয়ানার নাগরিকত্ব পেতেন না। ডঃ ডাও এঁদের জন্যও নাগরিকত্বের অধিকার অর্জনের আইন চালু করার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া এইডস রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা, মহিলাদের সার্বিক উন্নতির জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া, ইত্যাদি কাজে তিনি বরাবর নিয়োজিত রয়েছেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এইডস রোগের প্রকোপ বোৎসোয়ানার অন্যতম বড় একটি সমস্যা, যদিও প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে ডঃ ডাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বোৎসোয়ানার গৃহমন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী (Minister of Infrastructure and Housing Development)। মানবাধিকার রক্ষা সংক্রান্ত কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ফ্রান্স সরকারের কাছে লিজিঁয় দ্য অনার উপাধিতে ভূষিত হন ২০১০ সালে। এই মানুষটির লেখাতেও বারবার ফুটে উঠেছে তাঁর সাধনা আর সংগ্রামের ছবি।


বেসি হেড

এদেশের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন আরেক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্যিক বেসি হেড (Bessie Amelia Emery Head)। জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ হলেও ১৯৬৪ সাল থেকে ইনি বোৎসোয়ানার বাসিন্দা হন, এঁর সাহিত্যকীর্তির বেশিরভাগই বোৎসোয়ানায় থাকাকালীন সৃষ্টি। 'When Rain Clouds Gather', 'A Question of Power', 'Serowe: Village of the Rain Wind' প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রচনা।


নাইজেল অ্যামোস

খেলাধুলোর জগতে বোৎসোয়ানার বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছেন দেশকে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ২০১২ অলিম্পিকে আটশো মিটার দৌড়ে রূপো জয়ী অ্যাথলিট নাইজেল অ্যামোস (Nijel Amos)। দেশের প্রথম অলিম্পিক পদক এসেছে এঁরই হাত ধরে।


অ্যামান্তলে মন্তশো

এছাড়া রয়েছেন ২০১১ সালে ৪০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যামান্তলে মন্তশো (Amantle Montsho), আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছেন ইনি।


কাবেলো ক্‌গোজিমাং

রয়েছেন তিনবারের আফ্রিকা-চ্যাম্পিয়ন হাইজাম্পার কাবেলো ক্‌গোজিমাং (Kabelo Kgosiemang)।


ম্‌পুলে ক্বেলাগোবে

১৯৯৯ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জয় করেছেন বোৎসোয়ানার ম্‌পুলে ক্বেলাগোবে ( Mpule Keneilwe Kwelagobe )। পেশাদার মডেল এবং ব্যবসায়ী ম্‌পুলে আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করা প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যিনি এই খেতাব লাভ করেন। বিশ্বসুন্দরী হিসাবে তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এইড্‌স্‌ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজে অংশ নেন। এই মূহুর্তে তিনি লিঙ্গ বৈষম্য এবং সমানাধিকার নিয়ে কাজ করছেন।

বোৎসোয়ানার গপ্প আপাতত এইটুকুই। শেষ পাতের মিষ্টির মত রইল ওকাভ্যাঙ্গো ব-দ্বীপ অঞ্চল নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তৈরি এই ছোট্ট ভিডিওটিঃ

ছবিঃ উইকিপিডিয়া এবং পিক্সাবে
বেসি হেড- এর ছবিঃ ব্ল্যাকপাস্ট ডট অর্গ

গ্রাফিক্স ও অতিরিক্ত তথ্য সংযোজনঃ মহাশ্বেতা রায়

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা