সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
ছবিতে গল্পঃ উমারিয়া স্টেশন

সারাদিন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে যখন তুমি বিরক্ত হয়ে যাবে, আর ইচ্ছে করবে না টিভিতে কার্টুন শো দেখতে, মোবাইলে গেইম খেলতে, একই খেলনা গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে, ঠিক তখনই চাঁদের বুড়ি বলছে তুমি ছবি আঁকো। বেশ ভালো কথা। সেই নীল রঙের চিঠির কথা আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। উত্তরপাড়ার ছাদ থেকে পাশের ছাদের বল্টুকে বলেছি। ওপাশের তিন্নিকে বলেছি। সামনের ছাদের অর্ককে বলেছি। দুটো বিচ্ছু কাক বাসা করার জন্য নীল রঙের চিঠিটা হাত থেকে নেবার ফন্দি করছিল সেটাকে ভন্ডুল করেছি। ছাদে পায়রাদের খাবার জল রেখেছি। গাছেদের ভালো করে চান করিয়েছি। কত কত কাজ করেও আমি এখন কী করবো তাই ভাবছি। আর ঠিক তখনই আমার মাথার ওপর দিয়ে কতদিন পর উড়ে গেল একঝাঁক টিয়া। এদের কখনও আমি আমার উত্তরপাড়ায় ছাদের ওপরে দেখিনি। আমার একটা গ্রামের কথা মনে পড়লো। আমার একটা জঙ্গলের কথা মনে পড়লো। অনেক পুরোনো একটা ইঁদারার কথা মনে পড়লো। আমি তো ছবি আঁকতে পারি না। ছবি তুলি। সেগুলোই পাঠালাম চাঁদের বুড়িকে।

মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া স্টেশনে নামলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। এতো সুন্দর করে সাজানো। দেওয়ালে আঁকা ছবি। চারিদিকে গাছ। মহুয়া ফুলের গন্ধ। আর বেড়াতে যাবার মন কেমন করা ভালোবাসা। বন্ধ ঘরে বসে এখন সেই নির্জন পথ দিয়ে হাঁটতে নিশ্চই ভালো লাগবে। এর চেয়ে বেশি কিছু লিখবো না। কল্পনাই হোক আমাদের সাথী।

উমারিয়া স্টেশন
উমারিয়া স্টেশন
উমারিয়া স্টেশন
কুসুম গাছ
উমারিয়ার একটা ছোট্ট গ্রাম
গ্রামের মধ্যে অনেক পুরনো এক ইদারা। এর জল যেমন ঠান্ডা।,তেমন মিষ্টি
অনেকের বাড়িতে সদর দরজায় দুদিকে লাগানো আছে হরিণের শিঙ। এটা নাকি এখানকার প্রথা।
উঠোনে শুকোতে দেওয়া আছে মহুয়া ফুল
কোন একটা বাড়ির শস্য ভান্ডার। একটু লক্ষ্য করলে দেখবে সব নাম লেখা আছে হিন্দিতে
এখানে অনেকেই মাটির খেলনা তৈরী করেন
বাড়ির সব ভাই বোন, বন্ধু বান্ধব মিলে খেলনা বানায়
পথে দেখা হয়ে গেল জঙ্গলের রাস্তায় তাঁর সাথে। কীভাবে হল? সে গল্প অন্য কোনদিন
চলচ্চিত্রবিদ্যা বিষয়ে অধ্যাপনা, তথ্যচিত্র নির্মাণ, ফিল্ম ও টেলিভিশন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যরচনা, এবং ফাঁকে ফাঁকে পেলে নিজের ব্লগে নানা স্বাদের লেখালিখি - বিবিধ ধারার ব্যস্ততার মধ্যে চাঁদের বুড়ির সাথে ইচ্ছামতীর প্রথম পায়ে হাঁটার দিনগুলিতে হাত ধরেছিলেন কল্লোল । এখনো সময় পেলে মাঝেমধ্যেই ইচ্ছামতীর জন্য কলম ধরেন হুগলী, উত্তরপাড়া নিবাসী কল্লোল।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা