সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
দুঃখী মাছের গল্প : অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

এক ছোট্ট ছেলে তার দাদুর সঙ্গে মাছ কিনতে গিয়ে ইলিশ মাছেদের মধ্যে খুঁজে পেল এক ঝলমলে রঙিন মাছ। তার ইচ্ছে পূরণ করতে তার দাদু সেই মাছটা তাকে উপহার দিলেন, এনে দিলেন মাছ পোষার কাঁচের বাক্স। রাতের বেলা সেই বাক্সের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে তার মনে হল সেই রঙিন মাছ তার সঙ্গে গল্প করছে।

কীসের গল্প? সেই ছোট্ট রঙিন মাছ জানায় তার বাড়ি ছিল অনেক দূর সমুদ্রে। যুদ্ধ-হিংসায় ওর দেশ নরক হয়ে যায়, হারিয়ে ফেলে পরিবার পরিজন। তারপর এক সাগর থেকে আরেক সাগরে ভাসতে ভাসতে সে শুধু খুঁজেছে মানুষের দয়া আর ভালোবাসা। কোথাও না পেয়ে আশাই ছেড়ে দিয়েছে যখন, তখন আমাদের কথক বন্ধুকে দেখে তার মনে হয়েছে এইখানেই সে পাবে নিরাপদ আশ্রয়।

তারপরে কী হল? সেটা জানতে হলে পড়ে নিতে হবে অমরেন্দ্র চক্রবর্তী'র লেখা 'দুঃখী মাছের গল্প' - ছোট্টদের জন্য মোটে পনেরো পাতার একটা ছোট্ট বই। ন্যাশ্‌নাল বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত বইটির পাতায় পাতায় উজ্জ্বল রঙিন ছবি এঁকেছেন শিল্পী সুবীর রায়। সঙ্গে মনকেমনিয়া এক গল্প। এক দুঃখী মাছের গল্প। তাঁর জাদুকলমের ছোঁয়ায় মাত্র কয়েক পাতার গল্পের মধ্যেই লেখক তুলে এনেছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে যুদ্ধ-বিবাদে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পরিবেশের কথা, বিপন্ন প্রাণীদের কথা; ঘর হারানো, বাবা মা হারানো ছোটদের কষ্টের কথা। ছোটদের নরম মনকে ছুঁয়ে যাওয়া যুদ্ধবিরতির কথা।

দুঃখী মাছের গল্প আসলে এক দুঃখী ছেলেরও গল্প; বা বলা চলে এই দুনিয়ার অনেক অনেক দুঃখী মানুষদের গল্প, যারা যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়, হিংসা চায় না, ভালোবাসা চায়।

দুঃখী মাছের গল্প
অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
অলংকরনঃ সুবীর রায়
প্রকাশকঃ ন্যাশ্‌নাল বুক ট্রাস্ট
প্রথম প্রকাশঃ ২০০৭
পঞ্চম পুনর্মুদ্রনঃ ২০২০
মূল্যঃ ৪০/-

বইপোকা অবশ্যই নতুন নতুন বই পড়তে ভালবাসেন। আরো ভালবাসেন সেইসব বই এর খোঁজ সবাইকে দিতে। নতুন নতুন বইয়ের খোঁজ পেতে চোখ রাখ বইপোকার দপ্তরে। আর তোমার কাছে যদি কোন খুব ভাল বই থাকে, যেটার কথা তুমি বন্ধুদের এবং বইপোকাকে জানাতে চাও, তাহলে বইপোকাকে সেই বইয়ের খবর জানিয়ে চিঠি লেখ ইচ্ছামতীর মেইল ঠিকানায়।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা