খেলাঘরখেলাঘর

শন নামে এক ছেলে। সে খুব অসুস্থ। কিছুদিন পরেই তার খুব বড় একটা অপারেশন হবে। মাঝের কদিন সে তার মায়ের শহরতলির বাড়িতে থাকতে আসে। বাড়ি ঢোকার সময়ে সে দেখে বিড়ালটা যেন কি একটা ছোট্ট জিনিষকে ঘাসঝোপের মধ্যে তাড়া করছে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে একটা কাক এসে বিড়ালটার সাথে মারামারি শুরু করে দেয়, তার তার ফলে বিড়ালটা সেখান থেকে পিঠটান দেয়। শনের মনে হয় ঝোপের আড়ালে সে এক ঝলক যেন দেখতে পেয়েছে একটা ক্ষুদে আকারের মেয়েকে।

হ্যাঁ, সে কিন্তু ঠিকই দেখেছিল। সেই আঙুল সমান মেয়েটার নাম অ্যারিয়েটি। সে ঐ টুকু দেখতে হলে কি হবে, সে কিন্তু আসলে প্রায় শনেরই সমবয়সী। সে তার বাবা-মায়ের সাথে শনেদের বাড়ির ভিতের নিচে থাকে। সেখানে রয়েছে তাদের সাজানো গোছানো ছোট্টখাট্টো সংসার। তার সাথে থাকেন তার বাবা -মা।

কিন্তু এই ক্ষুদে মানুষেরা পেট চালানোর জন্য কি করে? - তারা মানুষদের থেকে 'ধার' করে বা ঋণ নিয়ে জীবন যাপন করে। তাই এক কথায় তাদের বলা যেতে পারে ধারী, বা ঋণকারী , বা ইংরেজিতে borrower। যেমন, শনেদের রান্নাঘর থেকে তারা ধার করে একটা মাত্র চিনির কিউব। অথবা একটুখানি টিস্যু।

ক্রমে শনের সাথে আলাপ হয় অ্যারিয়েটির। এদিকে শনের বাড়ির পরিচারিকা, হারু, যে কিনা আগে থেকেই সন্দেহ করত অ্যারিয়েটিদের অস্ত্বিত্ব সম্পর্কে, সে একদিন সত্যি তাদের খোঁজ পেয়ে যায়।

তারপরে কি হয়, সেটা জানতে হলে তো দেখতেই হবে জাপানি পরিচালক হিরোসামা ইয়োনেবায়াশির পরিচালনায় তৈরি অ্যানিমেশন ফিল্ম -' দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অফ অ্যারিয়েটি '। ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক মেরি নর্টন ১৯৫২ সালে লিখেছিলেন জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি উপন্যাস 'দ্য বরোয়ার্স' সেই উপন্যাস অবলম্বনে, হায়াও মিয়াজাকির চিত্রনাট্য নিয়ে তৈরি হয় এই ছবি, ২০১০ সালে। জাপানের স্টুডিও ঘিবলি এটা প্রথমে তৈরি করে জাপানি ভাষায়। পরে ছবিটিকে ইংরেজি ভাষায় ডাব করা হয়।


মহাশ্বেতা রায়
পাটুলি

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।