সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
গল্প যখন গল্প নয়

গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে। আবার সেগুলি যদি খুব মজার আর সত্যি হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মজার মজার ঘটনা সংগ্রহ করে তোমার জন্য সাজিয়েছি এই গল্পের ডালি। আমার বিশ্বাস এগুলি পড়ে তুমি অতীতের কিছু ঘটনা যেমন জানতে পারবে তেমন মজাও পাবে।

একটি মজার ঘটনাঃ ১৯৭০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসেছিল মেক্সিকোতে। খেলা চলছিল পশ্চিম জার্মানি ও মরক্কোর মধ্যে। প্রথমার্ধের খেলায় রেফারি যখন শেষ বাঁশি বাজালেন তখন মরক্কো ১-০ গোলে এগিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হল। পশ্চিম জার্মানির খেলোয়ারেরা বল নিয়ে মরক্কোর গোলের দিকে এগোচ্ছে। হঠাৎ দেখা গেল মরক্কোর গোলে কোনো গোলকিপার নেই। মরক্কোর গোলকিপার তখনও ড্রেসিংরুমে। প্রায় এক মিনিট খেলা চলার পর গোলকিপার মাঠে ঢুকেছিলেন। পশ্চিম জার্মানি অবশ্য এই সুযোগের সদব্যবহার করতে পারেনি।

খেলার মাঠে আরেকটি মজার ঘটনাঃ এই ঘটনাটা ঘটেছিল আমাদের দেশে-কলকাতা শহরে। শিবদাস ভাদুড়ি ছিলেন মোহনবাগানের খেলোয়াড়। খেলতেন ফরোয়ার্ড লাইনে। একবার গোরাদের সঙ্গে মোহনবাগান দলের ফুটবল ম্যাচ চলহিল। মোহনবাগানের হাফব্যাক বল ধরে আস্তে আস্তে এগোচ্ছিলেন একটু দূরে দাঁড়িয়ে ভাদুড়ি আর বিজয়। গোরা খেলোয়ারদের বোকা বানানোর জন্য ভাদুড়ি হঠাৎ 'পাস টু মি', 'পাস টু মি' বলে চেঁচিয়ে উঠলেন। ইংরাজীতে বলেই বাংলায় বললেন, 'আমাকে নয় বিজয়কে দে'। ভাদুরির কথা শুনে গোরা খেলোয়ারেরা তাঁর দিকে এগিয়ে আসতেই ফাঁকায় বল পেয়ে বিজয় দৌড় লাগালেন গোরাদের গোলের দিকে।

গল্প যখন গল্প নয়
সুনীল গাভাস্কার

ব্যাটে বলেঃ কীর্তিমান ক্রিকেটারদের কথা আমরা অনেকেই মনে রাখি। এমনকি ব্যক্তিগত রেকর্ড বইয়ে তাদের কীর্তির কথা লিখেও রাখি। কিন্তু সেসব কীর্তি গড়ার জন্য খেলোয়াড়রা কী কী ধরনের ব্যাট ব্যবহার করেছিলেন তার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। সুনীল গাওস্করকে দিয়েই সূরু করি। টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজার রানের গন্ডি টপকাতে সানি যে ব্যাট ব্যবহার করেছিলেন তার নাম 'সানি টনি'। এটা ছিল 'এস গি' কোম্পানির তৈরি।

১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সেঞ্চুরিটি করতে তিনি যে ব্যাটে খেলেছিলেন সেই ব্যাট তৈরি করেছিলেন 'ডানকান ফিয়ার্নলে' কোম্পানি।

'৮৩ সালের বিশ্বকাপের কথা শুনেছ তো? জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ধুঁকছে। অধিনায়ক কপিলদেব তখন 'সাইমন্ডস' ব্যাট হাতে মাঠে। তারপর সেই ১৭৫ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস কোনো ভারতীয়ই ভুলতে পারবে না।

গল্প যখন গল্প নয়
স্যার ডন ব্র্যাডম্যান

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারার টেস্টে এবং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান যথাক্রমে ৩৭৫(নট আউট) ও ৫০১। এরকম দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলতে সেদিন তাঁর হাতে ছিল 'গ্রে-নিকলস্‌' ব্যাট। একদিনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের সৈয়দ আনোয়ার ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৪ যে ইনংস খেলেছিলেন তা গড়তে সেদিন তিনি 'উইলস্‌ কিংস' ব্যাটে খেলেছিলেন। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন ১৮৯ রানের বিশাল ইনিংসটি খেলেছিলেন 'রিবক' ব্যাটে।

'ভ্যাম্পায়ার ১০০' ব্যাটের নাম তুমি শুনেছ? অদ্ভুত নাম তাই না? এই ব্যাট হাতে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মার্ক বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। '৯৭ সালের কথা। কলম্বোয় ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার টেস্ট খেলা চলছিল। উইকেটের একদিকে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্য, হাতে 'কোকাবুরা' স্টিকার লাগানো ব্যাট আর অপর দিকে 'সিঙ্গার' স্টিকার লাগানো ব্যাট হাতে রোশন মহানামা। তুমি সকলেই জান ভারতীয় বোলিংকে তছনছ করে দিয়ে সেদিন এই জুটি খেলেছিল ৫৭৬ রানের এক বিশাল ইনিংস যা আজও যেকোনো উইকেটে বিশ্ব রেকর্ড। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রবাদ পুরুষ স্যার ডন ব্র্যাডম্যান সারাজীবন 'সাইকস্‌' কোম্পানির ব্যাটে খেলেছিলেন।

ছবিঃ উইকিপিডিয়া

বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের সহ সভাপতি কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটদের এবং বড় দের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বহু বই লিখেছেন। বিভিন্ন জনপ্রিয় পত্রপত্রিকা এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে তিনি নিয়মিত লেখালিখি করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা