সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
নতুন, নয়ন ও নীল মুরগি

নতুন আর নয়ন দুই ভাই। নতুন বড়ো, নয়ন ছোটো। দুই ভাইয়ে খুব ভাব। নতুন যা করে, নয়ন মন দিয়ে দেখে। কখনো কখনো দাদাকে সাহায্য করে।

নতুন খুব পাখি ভালোবাসে। গরমের দুপুরে চুপি চুপি ছাদে উঠে নতুন এক বাটি জল রেখে দেয়। আর আগের দিন দোকান থেকে বাবার কিনে আনা কাঠবাদাম।

গরমে উড়তে উড়তে পাখিদের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলে তারা আলসের ধারে রাখা বাটি থেকে জল খাবে। আর একটানা ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে খিদে পেয়ে গেলে খাবে কাঠবাদাম।

এই কথা ভেবে নতুন দুপুর রোদে চুপি চুপি ছাদে উঠে আসে।

পাখিরা নতুনকে চেনে। তাকে ভালোবাসে। পাখিরা নয়নকেও চেনে। তাকেও খুব ভালোবাসে।

তারা জানে নয়নকে ছাড়া নতুনের চলে না। আবার নয়নও নতুনকে ছেড়ে থাকতে পারে না।

একদিন নতুন বাজারের থলে থেকে একখানা ডিম বের করে তার টিনের সুটকেসে রেখে দেয়। এই টিনের সুটকেসটা নতুনের নয়নের মণি। নতুন যেদিন প্রাইমারি স্কুলের পড়া শেষ করে বড়ো ইস্কুলে ভরতি হল তার ঠাম্মা তাকে এই সুটকেসটা দিয়ে বলেছিলেন, "নতুন, এই নে, দেখ, তোর জন্য আমি কী জমিয়ে রেখেছি।" সুটকেসটা দেখে সেদিন নতুন বলে উঠেছিল, "ঠাম্মা, এই সুটকেসটা তো কোণের কাছটা খানিকটা ভেঙে গেছে। এ তো বেশিদিন টিঁকবে বলে মনে হয় না। আর তা ছাড়া আমি তো ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাই, সুটকেস তো আমার লাগে না। এটা নিয়ে আমি কী করব?" শুনে ঠাম্মা বলেছিলেন, "তা হোক, তবু তুই এটা নে। এটা তোর বাবার সুটকেস। তোর বাবা যখন তোর মতো ছোটো ছিল, তখন এই সুটকেসটা নিয়ে ইস্কুলে যেত।" সেই থেকে সুটকেসটার প্রতি নতুনের বড়ো মায়া। সুটকেসের ভেতরে নতুন তার নানারকমের গোপন সম্পত্তি জমিয়ে রাখে। লাল-নীল মার্বেল, চকোলেটের র‍্যাপার, বাবার পুরোনো ফাউন্টেন পেন, বাসের টিকিট, আরো কত কী! বিকেলে পড়া হয়ে গেলে এক ফাঁকে নতুন তুলি দিয়ে ডিমের গায়ে নীল রং করে। সেই নীল ডিম তার সুটকেসে একটা পুরোনো কাপড় চাপা দিয়ে রাখে। কাপড়টা আসলে মায়ের একটা পুরোনো শাড়ির টুকরো।

নতুন ভাবে, এর পর ওই ডিম ফুটে নীল মুরগি বেরোবে। তার অনেক নাম হবে। দেশে দেশে সবাই তাকে চিনবে। কারণ এতদিন কেউ কখনো নীল মুরগি দেখেনি।

কাপড় ঢাকা দেওয়া ডিমের পাশে নতুন তার জলরং করার জলের বাটিটাতে অল্প জল ভরে রাখে। আহা, ডিম ফেটে বেরিয়েই মুরগিটার যদি তেষ্টা পায়!

এরপর রোজ সকালে স্বপ্ন শেষ হলে বাবা, মা, ভাই ঘুম থেকে ওঠার আগে নতুন তার সুটকেস একটুখানি ফাঁক করে দেখে। কিন্তু নতুন রোজই হতাশ হয়। নীল ডিম ঠিক সেইভাবেই কাপড় মুড়ি দিয়ে পড়ে আছে, যেমনভাবে নতুন আর নয়ন শীতের দুপুরে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমায়।

কিন্তু তারপর?

তারপর একদিন নতুন দেখে, সুটকেসের ভেতরে কাপড়টা যেন একটু সরে গেছে। খুব আলতো করে যেই না নতুন কাপড়টা একটু সরিয়েছে, দেখে . . .

ওমা! এ কী কাণ্ড! একটা ছোট্ট নীল বল! তুলো-তুলো, ফুলো-ফুলো! নড়ছে!
নতুন খুব জোরে চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে মুখে হাত চাপা দেয়। সবাই এসে গেলে এমন হইচই বাঁধাবে যে বলার নয়।
ছোট্ট নীল বলটার দিকে মুগ্ধ হয়ে খানিক তাকিয়ে থেকে নতুন জিজ্ঞেস করে, "তুমি কে?"
খুব আবছা উত্তর আসে, "ছানা।"
"ছানা? কীসের ছানা?"
"কেন? মুরগির ডিম, তাই, মুরগির ছানা।"
নতুন একটু রেগেই যায়। বলে, "বললেই হল! মুরগি কখনো নীল হয়?"
"কেন? তুমি যে নীল রং করে দিলে মনে নেই?"

নতুন এবার বেশ অবাক হয়। সে যখন রং, তুলি নিয়ে ডিম রং করতে বসেছিল, তখন ধারেকাছে কেউ ছিল না, সে ভালো করেই জানে। বাবা কাজে বেরিয়ে গেছে, মা আর ভাই পাশের ঘরে গভীর ঘুমোচ্ছে। তাই সে তাড়াতাড়ি জানতে চায়, "কিন্তু তুমি কী করে জানলে?"

"আমি যে তোমার তুলির ছোঁয়া পেলাম। তাতেই তো আমি বুঝলাম, তুমি আমায় ডাকছ। তাই আর একটুও দেরি না করে আজ 'টুকি' করলাম। তুমি যদি তোমার সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার ঘটনাটা নিয়ে একটা বেশ গল্প লেখো আর তার নাম দাও 'নীল মুরগির ডিম', তাহলে সবাই খুব অবাক হবে, সবাই মিলে গল্পটা পড়তে চাইবে।"

একথা শুনে নতুন বলে, "সেটা তুমি ঠিকই বলেছ। তাহলে যাই, বাকি ডিমগুলোকেও. . ."
ছোট্ট নীল বল অমনি বলে ওঠে, "দাঁড়াও দাঁড়াও, সেসব হবে'খন। এখন একটু বেড়াতে যাবে নাকি?"
শুনে নতুন খুব অবাক হয়।
"বেড়াতে? কোথায়? কার সঙ্গে?"
"কোথায় আবার? এই একটু এদেশ ওদেশ সেদেশ। নদী, নালা, খাল, বিল, পাহাড় জঙ্গল পার হয়ে সেই দূরে যেখানে নীল মুরগিদের দেশ। আমায় তো সেখানে যেতেই হবে। কিন্তু কার সঙ্গে যাই ভেবে পাচ্ছি না। তাই তোমাকে বললাম।"
"সে তো না হয় বুঝলুম, কিন্তু সে কোন দেশ? আর সেখানে আমরা যাবই-বা কীভাবে?"
"কেন? আমার পিঠে চড়ে!"
"তোমার পিঠে? হা হা হা । কী যে বল! তুমি নিজেই তো এইটুকুন, আর কে না জানে মুরগি বেশি উঁচুতে উড়তে পারে না।"
"দাঁড়াও, একটু সবুর করো," বলে নীল বল চোখ বোজে।

নতুন অবাক হয়ে দেখে তার সুটকেসের ভেতরে থাকা সেই ছোট্ট বলটা একটু একটু করে বড়ো হতে হতে নিমেষে একটা বিরাট বড় নীল মুরগি হয়ে যায়। তাকে কী দারুণ সুন্দর দেখতে। তার পালকগুলো কত রকমের নীল রঙের- হালকা নীল, গাঢ় নীল, ফ্যাকাশে নীল, ঝলমলে নীল, আকাশী নীল, সমুদ্র নীল...আরো কত কত নীল, নতুন সেসব রঙের নামও জানে না।

এদিকে নতুনের মুখ তো হাঁ হয়ে গেছে, সেই হাঁ আর কিছুতেই বোজে না।

তার হাল দেখে নীল মুরগি ফিক করে হেসে ঘাড় বেঁকিয়ে বলে ওঠে, "অবাক হলে তো? আরে বাবা, আমি তো যে সে মুরগি নই, আমি নীল মুরগি। চলো, এবার যাওয়া যাক।"

নতুন, নয়ন ও নীল মুরগি

কাণ্ডকারখানা দেখে হতবাক নতুন আর কথা না বাড়িয়ে নীল মুরগির পিঠে চেপে বসে। আর বসেই এক অজানা আশঙ্কায় চোখ বুজে ফেলে। একটু পরে চোখ খুলে দেখে তার ডান পাশ দিয়ে, তার বাঁ-পাশ দিয়ে সাদা সাদা মেঘ উড়ে যাচ্ছে।

নীল মুরগিকে শক্ত করে জাপটে ধরে নতুন নীচের দিকে তাকায়। দেখে, জল, শুধু জল। ও কি তবে এখন আরব সাগর বা অতলান্তিকের ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে! এত উঁচু থেকে তো সবটা ভালো বোঝাও যাচ্ছে না। নতুন খালি একের পর এক রং দেখতে পাচ্ছে। নীল, হলুদ, সবুজ। নিজের মনে নতুন ভাবতে থাকে, এটা তবে নিশ্চয় সাহারা মরুভূমি, আর ওটা গভীর কোনো স্তেপ অরণ্য।

নতুনের মনে পড়ে, তাদের ভূগোল বইয়ের পাতায় পৃথিবীর প্রাকৃতিক মানচিত্রে এইরকম নানান রং দিয়ে নদী, সাগর, বনাঞ্চল বোঝানো আছে।

উড়তে উড়তে উড়তে উড়তে এক সময় নতুনের শীত শীত করতে থাকে। নতুন ভাবে –- তারা কি মেরুপ্রদেশের কাছাকাছি চলে এসেছে?

এবার তারা আস্তে আস্তে নীচের দিকে নামতে শুরু করল। বেশ খানিকটা নেমে আসার পর নতুন দেখতে পেল একটা খুউউউব বড়ো মাঠ। বরফের মাঠ। এতদিন নতুন আর তার ভাই জানত মাঠ মানেই সবুজ। বইতে তো তারা সেরকমই পড়ে এসেছে। তাই ধবধবে সাদা মাঠ দেখে নতুন যারপরনাই চমকে গেল। যদিও আরও একটু চমক তার জন্য তখনও বাকি ছিল। নীল মুরগির গলার আওয়াজে নতুনের চমক ভাঙল। "নতুন, ওই দেখো।"

সামনের দিকে ভালো করে তাকিয়ে নতুন দেখল অনেক নীল মুরগি বরফের মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক একজন এক একরকম নীল। নতুনের খুব আনন্দ হল এই ভেবে যে সে তার নতুন বন্ধুকে তার আপনজনেদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে।

এদিকে নতুন যখন নিজের মনে আনন্দে মশগুল তখন নীল মুরগির দল নতুনকে ঘিরে ধরে এক অদ্ভুত স্বরে ভাষায় কী যেন বলতে শুরু করেছে। হুঁশ ফিরতেই নতুন দেখে একটা বেশ বড়োসড়ো নীল মুরগি এক ঝুড়ি নীল ডিম নিয়ে তার দিকে এগিয়ে এসে কী সব যেন বলছে।

একটু ধাতস্থ হতেই নতুন আরও আবাক। বেজায় অবাক। আরে! ও তো নীল মুরগিদের ভাষা বুঝতে পারছে! ওই বড়ো নীল মুরগি তাকে বলছে, "ভাই নতুন, তুমি আমাদের নতুন বন্ধু। আমাদের মুরগি বন্ধুকে আমাদের মধ্যে এনে দিয়ে তুমি আমাদের যে কী আনন্দ দিয়েছ বলে বোঝাতে পারব না।"

বাকি মুরগিরাও ঘাড় নেড়ে, ডানা ঝাপটে বলে-- ঠিক ঠিক।

অনেকক্ষণ থেকেই নতুনের একটা কথা জানতে ইচ্ছা করছিল। এবার সে সাহস করে বড়ো মুরগিকে জিজ্ঞেস করল, "আচ্ছা, আমি তো ভেবেছিলাম আমার ডিমটাই পৃথিবীর একমাত্র নীল ডিম; আমার মুরগিই একমাত্র নীল মুরগি। কিন্তু এখানে সবাই-ই তো দেখছি নীল..." নতুনের গলায় একটু অভিমান ফুটে ওঠে।

বড়ো মুরগি তার নীল পালকের ডানা দিয়ে নতুন মাথায় আলতো করে বোলায়। বলে, "আসলে কি জান, সারা পৃথিবী জুড়ে তোমার মতো যত ছোট্ট মিষ্টি ছেলে আর মেয়ে আছে, যারা গ্রীষ্মকালে পাখিদের খাবার দেয়, জল দেয়, ফুল ভালোবাসে, গাছ ভালোবাসে, নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে-- সেই স-অ-ব ছোটোদেরই একজন করে নীল মুরগি থাকে। অবশ্য সবাই তাকে খুঁজে পায় না। বড়োরা তো একেবারেই পায় না। কিন্তু তুমি তো খুবই ভালো ছেলে; আর তুমি তো চেয়েছিলে নীল মুরগির সঙ্গে তোমার দেখা হোক। তাই তোমার সঙ্গে তোমার নীল মুরগির দেখা হয়ে গেল।"

ভালো ছেলে বলাতে নতুন একটু লজ্জা লজ্জা পেল, কিন্তু মনে মনে খুব খুশি হল। এর মধ্যে কয়েকজন নীল মুরগি এসে নতুনকে বলল, "বলি কী, তুমিও আজ থেকে আমাদের সঙ্গেই থেকে যাও। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকব। খুব মজা হবে।"

শুনে নতুন চটপট বলে ওঠে, "তা কী করে হবে? বাড়িতে যে আমার ছোটোভাই আছে। নয়ন। সে যে আমার জন্য অপেক্ষা করছে- আমি কখন গিয়ে তার সঙ্গে খেলব।"

"ওহো, তাও তো বটে। সে বেচারা তো খুবই দুঃখ পাবে তোমাকে না দেখতে পেলে। ঠিক আছে, আজ তাহলে না হয় তুমি বাড়ি ফিরেই যাও, কিন্তু মাঝে মাঝেই এখানে এসো। আমরা তোমার পথ চেয়ে বসে থাকব। কেমন?"

"আচ্ছা, ঠিক আছে। তাই হবে। পরের বার না হয় ভাইকেও সঙ্গে করে নিয়ে আসব। কিন্তু এখন আমি বাড়ি যাব কী করে? আসার সময় তো নীল মুরগির ডানায় চেপে এসেছিলাম। এবার কী হবে?"

শুনে বড়ো মুরগি বলে ওঠে, "ও নিয়ে একদম চিন্তা কোরো না। তোমায় দুটো নীল পালক দিচ্ছি, দু-হাতে ধরে একটু লাফাও, অমনি দেখবে আকাশে উড়তে পারছ।"

বড়ো মুরগি হাওয়ায় ডানা ঘুরিয়ে দুটো বড়োসড়ো নীল পালক হাজির করে। চারদিকে এত এত নীল মুরগির মধ্যেও নতুন তার নীল মুরগিকে ঠিক খুঁজে পেল। তাকে জড়িয়ে ধরে নতুন চুপিচুপি জিজ্ঞেস করে, "তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না?"

নতুন, নয়ন ও নীল মুরগি

"হবে বই কী, তুমি চাইলে বলেই তো আমি সাধারণের বদলে নীল মুরগি হলাম। তাই তুমি চাইলেই আমার সঙ্গে তোমার দেখা হবে। ইচ্ছে হলেই একবার মন দিয়ে ডেকে দেখো। নাও, এবার পালক দুটোকে ধরে দু-হাত ছড়াও দেখি-- বাড়ি ফিরতে হবে তো!"

"অ্যাই দাদা, ওঠ না, খেলবি না? আলো যে পড়ে এল। অমনভাবে পা ছুড়ছিস কেন? স্বপ্নেই ফুটবল খেলতে শুরু করে দিলি নাকি?"

নয়নের ঠেলায় নতুন ধড়মড় করে উঠে বসে। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে, সত্যিই আলো কমে এসেছে। ভাইকে জিজ্ঞেস করে, "মা কোথায় রে?"
"মা তো রান্নাঘরে, রাতের রান্না করছে। এই দাদা, জানিস তো, আজ রাত্তিরের মেনু কী?"
নতুন ভুরু কুঁচকে জানতে চায়, "কী?"
"রুমালি রুটি আর ডিমের ডালনা।"
শুনেই নতুন এক লাফে রান্নাঘরে। ফ্রিজ খুলে দেখে ডিমের ট্রে ফাঁকা। দৌড়ে সে চলে যায় তার ঘরে। টিনের সুটকেস খুলে দেখে নীল ডিম যেমন ছিল, তেমনই আছে। পাশে তার রং করার জলের ছোটো বাটিটায় একটু জল ভরে রাখা।
নীল মুরগি তার জীবনের প্রথম চুমুকটা নতুনের বাটি থেকেই দেবে।


ছবিঃ অর্কপ্রিয়া কোলে

(লেখকের সাথে এই রূপকথায় নীল মুর্গির গায়ে কয়েকটি নীল পালক গুঁজেছেন মহাশ্বেতা রায়)

ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র অনমিত্র রায়ের পথ চলার সঙ্গী গানের সুর,ছবির রং আর চারপাশ ঘিরে থাকা চেনা-অচেনা মানুষজন, পশুপাখি, গাছপালা—বিচিত্র জীবনধারা। কলম দিয়ে ছবি আঁকেন বাইরের জগৎ, মনের জগৎ-- দুইয়েরই। কখনো কবিতায়, কখনো গদ্যে।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা