খেলাঘরখেলাঘর

স্বামী বিবেকানন্দ

১৮৯২ সালের শেষ- ১৮৯৩ সালের শুরু দিকে স্বামীজি পায়ে হেঁটে ভারত দেখার অঙ্গ হিসাবে কন্যাকুমারী থেকে রামেশ্বরম হয়ে মাদ্রাজে আসেন। মাদ্রাজে প্রচুর শিক্ষিত উৎসাহী যুবক তাঁর অনুগামী হন , এবং এইখানেই বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগদান করার জন্য তাঁর যে ইচ্ছা ছিল সেটার দিকে প্রথম এক ধাপ এগোতে পারেন তিনি। ১৮৯৩ সালের মার্চ- এপ্রিল মাস ধরে তাঁর শিষ্যরা এই যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা যোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু আমেরিকা যাওয়ার আগে, স্বামিজী তাঁর শিষ্য, ক্ষেত্রীর মহারাজার সাথে দেখা করতে যান। ক্ষেত্রীর মহারাজার অনুরোধেই স্বামিজী বিবেকানন্দ নাম গ্রহণ করেন - যে নামে তিনি পরবর্তীকালে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ৩১শে মার্চ বম্বে থেকে জাহাজে চেপে যাত্রা শুরু করেন।
সিলোন, পেনাং, সিঙ্গাপুর, হংকং হয়ে ক্যান্টন দেখে তিনি নাগাসাকি যান। সেখান থেকে তিনি স্থলপথে ওসাকা, কিয়োটো, টোকিও হয়ে ইয়োকহামা যান। জাহাজী জীবনে স্বামিজী ক্রমশঃ অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। তাঁর যাত্রাপথে নতুন নতুন দেশে নানা রকমের সংস্কৃতির সাথে তিনি পরিচিত হন। ইয়োকহামা থেকে জাহাজ ভেসে চলে ভ্যাঙ্কুভারের দিকে । সেখান থেকে ট্রেনে চেপে তিনি শিকাগো পৌঁছান জুলাই মাসের শেষের দিকে। শিকাগো পৌঁছানোর কয়েকদিন পরে তিনি ধর্ম মহাসভার অফিসে গিয়ে দেখা করেন। সেখানে তিনি জানতে পারেন মহাসভা সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে শুরুই হবে না। তাঁকে আরো বলা হয়, ঠিকঠাক শংসাপত্র না থাকলে কাউকে বক্তা হিসাবে যোগদান করতে দেওয়া হবে না, আর এমনকি সেই যোগদানের শেষ দিনও পেরিয়ে গেছে! এ ছিল এক চরম দুঃসংবাদ। তিনি বুঝতে পারলেন তিনি ভারত থেকে অনেক আগে চলে এসেছেন, আর তাঁর উচিত ছিল কোন সংগঠনের প্রতিনিধি হয়ে আসা। তাঁর টাকাপয়সা ক্রমশঃ ফুরিয়ে আসছিল। স্বামিজী খুব হতাশ হয়ে পড়লেন। তিনি মাদ্রাজে বন্ধুদের তার পাঠালেন, যাতে একটা পরিচিত ধর্মীয় সংগঠন তাঁকে তাদের প্রতিনিধি নিযুক্ত করে। কিন্তু সেই সংগঠনের প্রধাণ তাঁর অনুরোধকে পাত্তাই দিলেন না।
এত সব বাধা-বিপত্তি সত্বেও স্বামিজী হার মানলেন না। যেহেতু শিকাগোর তুলনায় বস্টনে থাকা সস্তা ছিল, তাই তিনি বস্টনে চলে গেলেন।ভ্যাঙ্কুভার থেকে ট্রেনে আসার সময়ে তা৬র প্রথম আমেরিকান বন্ধু হয়েছিলেন ম্যাসাচুসেট্‌স্‌ এর এক ধনী ভদ্রমহিলা। সেই ভদ্রমহিলা স্বামিজীর চেহারা দেখে এবং কথাবার্তা শুনে এত মুগ্ধ হয়েছিলেন , যে তিনি তাঁকে তাঁর বাড়িতে থাকতে বললেন। তিনি স্বামিজীকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের  গ্রীক ভাষা বিভাগের অধ্যাপক যে.এইচ.রাইটের সাথে আলাপ করিয়ে দিলেন। স্বামিজী এই পন্ডিত অধ্যাপকেরস সাথে চার ঘন্টা ধরে নানারকমের বিষয়ে আলোচনা করলেন।অধ্যাপক রাইট স্বামিজীর সাথে কথাবার্তা বলে এতই প্রসন্ন হলেন যে তিনি তাঁকে বললেন ধর্ম মহাসভায় হিন্দুত্বের প্রতিনিধিত্ব করতে -'একমাত্র এইভাবেই আপনি  সারা দেশের কাছে নিজের পরিচিতি রাখতে পারবেন।' স্বামিজী নিজের অসুবিধার কথা বললেন, জানালেন যে তাঁর কাছে কোন শংসা-পত্র নেই।কিন্তু অধ্যাপক রাইট তাঁকে ঠিক চিনতে পেরেছিলেন, তাই বললেন -, 'স্বামিজী, আপনার কাছ থেকে শংসাপত্র চাওয়া মানে তো যেন সূর্যের কাছে জানতে চাওয়া তার আলো দেওয়ার কি অধিকার আছে!' তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর বন্ধু  , প্রতিনিধি নির্বাচনকারী কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ ব্যারোস কে একটা চিঠি লিখে দিলেন -' ইনি একজন মানুষ জিনি আমাদের সমস্ত পন্ডিত অধ্যাপকদের সবার থেকে বেশি পন্ডিত।' তার সাথে তিনি স্বামিজীকে শিকাগো যাওয়ার একটা টিকিট উপহার দিলেন, আর ধর্মমহাসভা পরিচালন কমিটির কাছে তাঁর পরিচিতি দিয়ে একটা চিঠি লিখে দিলেন। এই সব ঘটনা ঘটার ফলে স্বামীজি খুব খুশি হলেন।
কিন্তু শিকাগো রেল স্টেশনে পৌঁছানোর পরে আরেকটা গন্ডগোল হল। স্বামীজি দেখলেন তিনি কমিটির ঠিকানাটা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি বুঝতে পারলেন তিনি হারিয়ে গেছেন, আর কোথায় যাবেন তাও জানেন না। আশেপাশের কেউ তাঁকে সাহায্য করছিল না। ক্লান্ত আর হতাশ হয়ে, তিনি সেই রাত্তিরটা চরম ঠাণ্ডার মধ্যে স্টেশনের মালপত্র তোলার জায়গায় একটা বড় ফাঁকা বাক্সের ভেতরে গুটিশুটি হয়ে কাটিয়ে দিলেন। সকাল হলে তিনি শহরের দরজায় দরজায় খাবার চেয়ে বেড়ালেন, কিন্তু বড় শহরের কেতাদুরস্ত বাসিন্দারা তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দিল। কেউ সাহায্য করল না। পথে পথে ঘুরে, ক্লান্ত হয়ে ঈশ্বরের ভরসায় তিনি শেষে একজায়গায় পথের ধারে বসে পড়লেন। ঠিক এই সময়ে, রাস্তার উল্টোদিকের একটা সাজানো-গোছানো বাড়ির ভেতর থেকে এক সুন্দরী ভদ্রমহিলা বেরিয়ে এলেন, আর তাঁকে খুব বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করলেন, ' মহাশয় কি ধর্ম মহাসভার একজন প্রতিনিধি?' স্বামীজি তাঁকে তাঁর সমস্যার কথা খুলে বললেন। সেই দয়ালু মহিলা তাঁকে বাড়ির ভেতর নিয়ে গেলেন, আর বললেন জলখাবারের পর তিনি নিজে স্বামীজিকে ধর্ম মহাসভার অফিসে নিয়ে যাবে। স্বামীজি কৃতজ্ঞতায় আপ্লুত হলেন। সেই থেকে শ্রীমতী জর্জ ডব্লিউ হ্যালে, তাঁর স্বামী আর ছেলেমেয়েরা স্বামীজির প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠলেন।
শ্রীমতী হ্যালের সাথে তিনি ধর্ম মহাসভার আধিকারিকদের সাথে দেখা করলেন, নিজের শংসা-পত্র দিলেন' তাঁকে সাদরে একজন প্রতিনিধি বলে স্বীকৃতি দেওয়া হল, আর প্রাচ্যের অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাথে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হল। ধীরে ধীরে তাঁর সাথে মহাসভায় আসা অন্যান্য বিখ্যাত প্রতিনিধিদের আলাপ হল। সমস্ত কিছুর জন্য তিনি ঈশ্বর এবং তাঁর গুরুকে বারবার প্রণাম জানাতে লাগলেন।

বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ
বিশ্বধর্ম সম্মেলনে প্রাচ্যের অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাথে স্বামী বিবেকানন্দ

১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, সোমবার, মহাসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হল শিকাগোর বিশাল হল অফ কলম্বাস-এ, যেখানে জমা হয়েছিলেন সারা পৃথিবীর ১২০ কোটি মানুষের সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিরা। ঠিক মাঝখানে বসেছিলেন কার্ডিনাল গিবন্‌স্‌, আমেরিকার রোমান ক্যাথোলিক চার্চের প্রধাণ যাজক। তাঁর ডান দিকে এবং বাঁদিকে ছিলেন প্রাচ্যের প্রতিনিধিরা - ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিনিধি বাংলার প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার আর বম্বে থেকে শ্রী নাগারকার; শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধদের প্রতিনিধি ধর্মপাল, জৈনদের প্রতিনিধি শ্রী গান্ধী, থিওসফির প্রতিনিধি শ্রী চক্রবর্তী ও শ্রীমতী অ্যানি বেসান্ত। তাঁদের সাথে বসে ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর সুন্দর চেহারা, উজ্জ্বল মুখ আর জমকালো পোষাক সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল। এই প্রথম তিনি এতবড় একটা সভাইয় হাজার হাজার মানুষের সামনে বক্তৃতা দিতে চলেছিলেন। সবাই একে একে বলতে শুরু করলেন। স্বামীজি নিজের বক্তৃতার সময় পিছিয়ে পিছিয়ে দিনের শেষে টেনে নিয়ে গেলেন।
শেষ বিকেলের দিকে, যখন তাঁকে জোর করা হল, তখন স্বামীজি উঠে প্রথমে বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে প্রণাম জানালেন।তাঁর মুখ আগুণের মত জ্বলজ্বল করছিল। তিনি একবার ভাল করে নিজের সামনের বিশাল জনসমুদ্রকে দেখে নিলেন। যখন তিনি মুখ খুললেন, তাঁর কথাগুলি যেন আগুণের শিখার মত নিঃসৃত হল। যেইমাত্র তিনি বললেন -'আমেরিকার বোন এবং ভাইয়েরা...' -অমনি সমস্ত শ্রোতা হইহই করে তাঁদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। সারা সভার মানুষ তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। প্রায় দুই মিনিট ধরে তিনি কথা বলের চেষ্টা করলেন, কিন্তু তাঁর এই বিশেষ সম্ভাষণ যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল, তার ফলে তিনি আর এগোতেই পারছিলেন না। অবশ্যই তিনিই প্রথম সেই ব্যক্তি ছিলেন যিনি মহাসভার গাম্ভীর্য ত্যাগ করে শ্রোতাদের সাথে তাদের মনের মত ভাষায় কথা বললেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে যখন আবার সবাই চুপচাপ হল, স্বামীজি তখন তাঁর ভাষণ আবার শুরু করলেন। তিনি এই নতুন পৃথিবীকে জানালেন প্রাচীণ দুনিয়ার কথা- বৈদিক সন্ন্যাসীদের কথা, আর হিন্দুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করলেন সব ধর্মের সেরা ধর্ম রূপে - সেই ধর্ম , যা সারা বিশ্বকে সহনশীলতা আর সার্বজনীন স্বীকৃতি দিতে শিখিয়েছে। তিনি হিন্দুত্বের প্রাচীন পুঁথি থেকে দুটো সুন্দর অংশ তুলে ধরেনঃ
"যেমন বিভিন্ন উৎস থেকে আসা বিভিন্ন স্রোতের ধারা সবগুলি এসে সাগরের জলে মেশে, তেমনি হে ভগবান, মানুষ যত বিভিন্ন পথ ধরে, বিভিন্ন কারণে, সেগুলি নানারকম, বাঁকা অথবা সোজা হলেও, সবই তোমার দিকেই যায়।"
"আমার কাছে সেই আসুক, যেভাবেই আসুক, আমি তার কাছে পৌঁছে যাই; সব মানুষই নানা পথে কষ্ট করছে, যে পথগুলি সব আমাতেই এসে শেষ হয়।"
তাঁর বক্তৃতা খুব ছোট ছিল, কিন্তু তার সার্বজনীনতা, একান্ত ভাব এবং উদারমনস্কতা সবার মন ছুঁয়ে গেল। আরো অনেক হিন্দু প্রতিনিধি ছিলেন, যাঁরা বিভিন্ন সংগঠন বা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, কিন্তু স্বামীজি কোন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ছিলেন না। তিনি ছিলেন পুরো ভারতবর্ষের প্রতিনিধি, আর তিনি সমস্ত ধর্মের সার্বজনীনতা আর আর সব ধর্মের একই লক্ষ্যের কথা বলছিলেন।মহাসভার পরের অধিবেশনগুলিতে , স্বামীজি তাঁর বিশেষ শ্রোতাদের সামনে বেদান্তের সারসত্যগুলি তুলে ধরেছিলেন, যেগুলি হল সমস্ত মানবজাতির সার্বজনীন ধর্ম।
তিনি বললেন -" যদি কখনো একটা সার্বজনীন ধর্ম তৈরি হয়, সেটা হবে এমন যার কোন অবস্থানে বা সময়ে বাঁধা নয়; যেটা হবে অসীম, ঈশ্বরের মত উপদেশ দেবে, যার আলোয় আলোকিত হবে কৃষ্ণ এবং খ্রীষ্টের ভক্তরা, সাধু এবং পাপী সবাই; যা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ্য বা বৌদ্ধ, খ্রীষ্টীয় বা ইসলামি হবে না, বরং হবে এই সবগুলির মিলিয়ে এক- যার কাছে আশ্রয় পাবে সবথেকে খারাপ মানুষের থেকে শুরু করে সবথেকে মহৎ মানুষ- সবাই।সেটা হবে এমন এক ধর্ম যা কাউকে কষ্ট দেবে না, সবার প্রতি সহনশীল হবে; যা সমস্ত পুরুষ ও নারীর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাবে, আর যে ধর্মের মূল লক্ষ্য হবে মানবসমাজকে নিজের আসল, ঐশ্বরিক প্রকৃতি চিনিয়ে দেওয়া। এইরকম এক ধর্ম সৃষ্টি হলে সবাই কি তাকে অনুসরণ করবে? খ্রীষ্টানকে হিন্দু বা বৌদ্ধ হতে হবে না, বা হিন্দু বা বৌদ্ধকে খ্রীষ্টান হতে হবে না।কিন্তু প্রত্যেকের উচিত অন্যের থেকে সেরাটুকু গ্রহণ করে নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এগিয়ে চলা।"
তিনি শেষ করলেন এই বলে যে ধর্ম মহাসভা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে  যে পুণ্যভাব, পবিত্রতা আর মহানুভবতা কোন একটা ধর্মের অধিকারে নেই, আর প্রতিটা ধর্মই মহান নারী ও পুরুষ তৈরি করেছে। এই অবস্থায়, কেউ যদি মনে করে শুধুমাত্র তার ধর্ম বেঁচে থাকবে আর অন্যান্য সমসত ধর্ম ধ্বংস হয়ে যাবে, তাহলে তাকে করুণা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই; কারণ, অনেক বিরোধিতা স্বত্বেও, খুব দ্রুত সব ধর্মের পতাকায় দেখতে পাওয়া যাবে লেখা আছেঃ 'সাহায্য কর, লড়াই কর না', ' আত্মস্থ কর, ধ্বংস কর না', 'মিলিত হও, শান্তি আনো, ভিন্নমত এনো না।'
স্বামীজির এইসমস্ত জ্বালাময়ী কথার প্রবল প্রভাব হল। মহাশভার প্রতিনিধিদের সাথে সাথে এই ভাষণ শুনলেন সাধারণ মানুষও, আর স্বামী বিবেকানন্দ দ্রুত হয়ে উঠলেন মহাসভার সবথেকে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আমেরিকার খবরের কাগজগুলি তাঁকে নিয়ে হইচই শুরু করে দিল। শহরের বিখ্যাত সংবাদপত্রগুলি তাঁকে নতুন যুগের একজন দূত, একজন ভবিষ্যৎদ্রষ্টারূপে ঘোষণা করল।বিখ্যাত কাগজ 'দ্য নিউ ইয়র্ক হেরান্ড' লিখল, ' ধর্ম মহাসভার সেরা প্রতিনিধি অবশ্যই ইনি...এঁর কথা শোনার পরে আমরা বুঝতে পারছি এই বিদগ্ধ দেশে মিশনারীদের পাঠানো কি বোকার মত কাজ।'
 বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দের অভাবনীয় সাফল্যের কথা ক্রমশঃ সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল। সবাই বুঝতে পারল , এই একজন মানুষ এসেছেন এক বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য। এই ভাবে সেই উপাধিবিহীন, গোষ্ঠীবিহীন অচেনা সাধু হয়ে উঠলেন একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং সেই সময়ের একজন প্রতিনিধি।

মহাশ্বেতা রায়
পাটুলি, কলকাতা

সূত্রঃ স্বামী তেজসানন্দের লেখা -আ শর্ট লাইফ অফ স্বামী বিবেকানন্দ

স্বামী বিবেকানন্দের ছবি এঁকেছেন অনুভব সোম
ফটোগ্রাফঃউইকিপিডিয়া




মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।