সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
চাঁদের বুড়ির চরকা চিঠি ১৪২৩/০৯ঃ এসে গেল ইংরেজি ২০১৭ সাল

হুশ করে এসে গেল আরেকটা নতুন বছর। এসে গেল ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দ। হুড়মুড় করে পেরিয়ে গেল ৩৬৫ টা দিন। প্রতিটা নতুন বছরের প্রথম দিনের মতই আরোও একবার তোমাকে বলি, তোমার এবং তোমার পরিবারের আগামি দিনগুলি খুব ভালভাবে কাটুক। সুস্থ শরীরে, সুস্থ মনে হয়ে ওঠ আরেকটু বড়, আর একটু ভাল মানুষ। মনে মনে যা যা চাইছ,তোমার সেই সমস্ত আশা যেন পূর্ণ হয়।

কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে, চাঁদের বুড়ির মন-মেজাজ খুব একটা ভাল নেই। চারিদিক থেকে আসছে শুধুই বড় বেশি খারাপ খবর। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ থেকে শুধুই আসছে যুদ্ধ, হানাহানি, ধ্বংসলীলার খবর । নানারকমের অজুহাতে দলে দলে মানুষ অবলীলায় মেরে ফেলছে অন্য মানুষদের।ধ্বংস করছে প্রাকৃতিক সম্পদ। শ'য়ে শ'য়ে প্রজাতির প্রাণীরা প্রতিদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই দুনিয়া থেকে। মারা যাচ্ছে মৌমাছি ও প্রজাপতিরা। আমাদের প্রত্যেকের 'কার্বন ফুট প্রিন্ট' ক্রমশঃ বাড়ছে; বাড়ছে সার্বিক উষ্ণতা;বেড়ে উঠছে সমুদ্রের জলপৃষ্ঠের উচ্চতা। বারে বারে নানাদিকে হচ্ছে ভূমিকম্প। জেগে উঠছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিরা। বড় বড় বনাঞ্চল পুড়ে যাচ্ছে দাবানলে। সব মিলিয়ে পৃথিবীটা আসলে খুব একটা ভালো নেই। আর পৃথিবী ভালো না থাকলে, পৃথিবীর সব মানুষ, সব প্রাণী ও গাছপালা ভালো না থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকব কী করে? একা একা কি ভালো থাকা যায়?

এর মানে কি এই যে চারিদিকে ভালো কিছুই ঘটছে না? অবশ্যই ঘটছে। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে, কোথাও বা একা, কোথাও বা জোট বেঁধে অনেক মানুষ নানারকমভাবে ভালো কাজ করার, পৃথিবীকে ভালো রাখার, আশেপাশের সবাইকে, সবকিছুকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এইসব খবর সবসময়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় না। খবর যোগান যাঁরা, তারা বেশিরভাগ সময়ে ভালো খবরের থেকে খারাপ খবর যোগাতে বেশি উৎসাহী। কিন্তু ইচ্ছামতী আর চাঁদের বুড়ি খুঁজে বেড়ায় ভালো খবর। তাই যারা ভালো ঘটনা, ভালো ব্যাপারস্যাপারের , ভালো মানুষদের খোঁজ দেয়, তাদেরকে ইচ্ছামতী আর চাঁদের বুড়ি বেশি ভালোবাসে। তোমার কাছেও যদি থাকে হরেক ভালো খবর, অবশ্যই যোগ দাও আমাদের দলে। আমরা নিশ্চিত, যত বেশি ভালো এক সাথে হবে, তত সব খারাপ পিছু হঠতে বাধ্য হবে।

ফেলে আসা দিনগুলির মত, এই নতুন বছরেও, ইচ্ছামতী আর চাঁদের বুড়িও চেষ্টা করবে তোমার সামনে সেইসব ভালো খবর আরোও বেশি বেশি করে তুলে ধরতে। সাথে সাথে আমরা চেষ্টা করব চারিদিকে ঘটে চলা খারাপ ব্যাপারগুলির সম্পর্কেও আরোও বেশি বেশি ওয়াকিবহাল থাকতে; কারণ, আমরা বড়রা তো আর পৃথিবীটাকে ছোটদের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারছি না। এখন গাছপালা-পশু-পাখি সহ এই পৃথিবীটাকে ভালো রাখার দায়িত্ব তো ইচ্ছামতীর ছোট ছোট বন্ধুদেরকেই নিতে হবে।

এই নতুন বছরে , ভুলো না

  • বারান্দার টবের গাছগুলোকে জল দিতে;
  • জানলায় বসা কাক বা চড়াইকে খাবার দিতে;
  • ব্যবহার করার পর জলের কল অবশ্যই বন্ধ করতে;
  • বিনা কারণে জ্বলতে থাকা আলো-পাখা বন্ধ করে দিতে;
  • এয়ার-কন্ডিশনার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে;
  • প্লাস্টিকের প্যাকেট কম ব্যবহার করতে;
  • আশেপাশের সমস্ত মানুষের সাথে ভালোো ব্যবহার করতে;

নীচে নতুন বছরের প্রথম কয়েকটা দিন উল্টে পাল্টে দেখার জন্য রইল ২০০৮ থেকে ২০১৩ অবধি প্রকাশিত ইচ্ছামতীর পুরনো সংখ্যাগুলো থেকে একটা করে লেখার লিঙ্ক। মাঝেমধ্যে পুরনো জিনিষপত্র খুলে দেখার মজাই আলাদা।

মৌটুসী
হারবিন
হারিয়ে যাওয়া খেলা
দু'চাকায় দুনিয়া
বৈঠকী রবি ঠাকুর
তিতলি আর মিনি
স্টুডিও ব্যবস্থা
ইচ্ছামতী কেন 'বুনো ওল আর বাঘা তেঁতুল'
সূর্য দেবতার দেশে
কুলতলির ময়নামাসি
রবি-শশী
কৃষ্ণ মহম্মদ
কলেরা গবেষণায় দুই বাঙালির অবদান
ভবিষ্যতের পৃথিবী
দুই ব্যাঙের গল্প
অতি কৌতুহলের ফল
ভূ-তত্বের নানা বিস্ময়
আকাশ কেনা-বেচা? কি করে পারবে তুমি?
পাঠশালার ছবি


ছবিঃ পৃথা সাহা

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা