সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

নিনফা আবার হাঁটা শুরু করল, আর অনেক পথ হেঁটে শেষে সূয্যি মশাই- এর বাড়ির পৌঁছাল। তার কড়া নাড়া শুনে দরজা খুলে দিল এক ছোট্টখাট্টো বুড়ি।
"হা ভগবান, সুন্দরী কন্যে!" সে অবাক হয়ে বলল- "তুমি এখানে কি করছ? তুমি কি জাননা সূয্যিমশাই তোমাকে এখানে দেখলে রেগে গিয়ে তোমাকে ঝলসে দিতে পারেন?"
বেচারি নিন্‌ফা কেঁদে কেঁদে বুড়িকে তার দুঃখের কথা সব জানাল। তার করুণ কাহিনী শুনে তো বুড়িও দুঃখিত হয়ে পড়ল। তাদের কথার মাঝেই ঘর ভরে গেল তীব্র আলোয়, আর সূয্যিমশাই সারাদিনের কাজ সেরে বাড়ি ফিরলেন। নিন্‌ফা বুঝল এইবার তাকে মরতে হবেই। সে ভয়ে চোখ বুজে ফেলল।

"আরে, আরে কত্তামশাই, করেন কি? থামুন থামুন! "চেঁচিয়ে উঠল বুড়ি ।" এই দুঃখিনী মেয়েটি বিশ্বাসের প্রাসাদ খুঁজছে..."
"ওহঃ তুমিই তাহলে বিশ্বাসের প্রাসাদ খুঁজতে এসেছ?" সূয্যিমশাই অবাক হয়ে বললেন
চোখের জল ফেলতে ফেলতে নিন্‌ফা তার সাথে ঘটে যাওয়া সব দুর্ঘটনার কথা জানাল।
"হুম,আমি জানি সেই বিশ্বাসের প্রাসাদ ঠিক কোথায় আছেল কিন্তু দেখ, সন্ধ্যা হয়ে গেল, এখন তো আমার বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু হ্যাঁ, একটা উপায় আছে ! আমার খুব ভাল বন্ধু হলেন বাতাস বাবুমশাই। তিনি তোমাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারেন। তুমি এক কাজ কর- এই পথ ধরে হেঁটে যাও, তাহলেই পৌঁছে যাবে বাতাস বাবুমশাই-এর বাড়ি; ওনাকে গিয়ে বল আমি তোমাকে পাঠিয়েছি"।

আবার হেঁটে চলল নিন্‌ফা; আবারো অনেক পথ পেরিয়ে সে পৌঁছাল বাতাস বাবুমশাই-এর দরজায়; ঠুকঠুক করে দরজায় টোকা দিল সে। ভেতর থেকে ভেসে এক শনশন করে উত্তর –" কে এসেছ বাইরে, ভেতরে চলে এস"
নিন্‌ফা ভেতরে ঢুকে বাতাস বাবুমশাইকে বলল তাকে পাঠিয়েছেন সূয্যিমশাই, একটা অনুরোধ নিয়ে।
"রাখব তোমার অনুরোধ" বললেন বাতাস বাবুমশাই, "সে যা-ই হোক না কেন"
নিন্‌ফা তখন বাতাস বাবুমশাইকে তার সব দুঃখের কথা প্রথম থেকে খুলে বলল।
"কোন চিন্তা কর না, আমি নিজে তোমাকে সেখানে নিয়ে যাব," বললেন বাতাস বাবুমশাই।

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা