বাতাস বাবুমশাই-এর পিঠে চেপে বসল নিন্ফা, আর এক লহমায় পৌঁছে গেল এক বিরাট প্রাসাদের সামনে।
"এই হল বিশ্বাসের প্রাসাদ," বললেন বাতাস বাবুমশাই, "দেখেশুনে মনে হচ্ছে ভেতরে কোন বড় উৎসব হচ্ছে!"
পুরো প্রাসাদটা দারুণ সুন্দর করে আলোয় সাজানো ছিল; ভেতর থেকে ভেসে আসছিল মিষ্টি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ।
"আমাকে এবার যেতে হবে," বললেন বাতাস বাবুমশাই, " ভয় পেওনা, তুমি তোমার কাজে ঠিক সফল হবে"
নিন্ফা প্রাসাদের দরজার কড়া নাড়ল, আর এক কর্মচারী বেরিয়ে এল।
" আমি আপনাকে কি সাহায্য করতে পারি?" জিজ্ঞাসা করল কর্মচারী।
"আমি রাজপুত্রের সাথে দেখা করতে চাই," জানাল নিন্ফা।
"মহাশয়া," কর্মচারীটি বলল, "আপনি তো তাঁর সাথে এখন দেখা করতে পারবেন না। তাঁর আজ বিয়ে হচ্ছে কিনা, আর তিনি এখন রাজকন্যার সাথে বাজনার তালে তালে নৃত্য করছেন।"
একথা শুনে নিন্ফা বলল, "তাহলে আমাকে অন্তত এই আনন্দ অনুষ্ঠান দেখার একটা সুযোগ করে দিন দয়া করে। আমি এইরকম বড় অনুষ্ঠান আগে কোনদিন দেখিনি"।
নিন্ফার আবদার শুনে কর্মচারী অনেক ভেবে বলল- "ঠিক আছে, আমি আপনাকে ভেতরে ঢুকতে দিতে পারি, কিন্তু খেয়াল রাখবেন, বিয়ের কনে রাজকন্যা যেন আপনাকে দেখে না ফেলেন; দেখেল কিন্তু খুব রেগে যাবেন, আপনি নিমন্ত্রিত নন কিনা..."
নিন্ফা ভেতরে ঢুকে দেখে তার স্বামী সেই রাজপুত্র, টেবিলে বসে অনেক অতিথিদের সাথে খাওয়াদাওয়া করছে।
সে নিজে দেওয়ালের কোণ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রাজপুত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকল। কিন্তু রাজপুত্র তো অন্যদের সাথে গল্প করে যাচ্ছে। সে বেচারি নিন্ফাকে দেখতেই পেল না।
এদিকে এক সময়ে নিন্ফাকে দেখে ফেলল সেই বিয়ের কনে। সে আসলে ছিল এক দুষ্টু ডাইনি, যে নিজের জাদুর জালে জড়িয়ে রাজপুত্রকে বন্দী করে বিয়ে করছিল।