সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

বাতাস বাবুমশাই-এর পিঠে চেপে বসল নিন্‌ফা, আর এক লহমায় পৌঁছে গেল এক বিরাট প্রাসাদের সামনে।
"এই হল বিশ্বাসের প্রাসাদ," বললেন বাতাস বাবুমশাই, "দেখেশুনে মনে হচ্ছে ভেতরে কোন বড় উৎসব হচ্ছে!"
পুরো প্রাসাদটা দারুণ সুন্দর করে আলোয় সাজানো ছিল; ভেতর থেকে ভেসে আসছিল মিষ্টি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ।
"আমাকে এবার যেতে হবে," বললেন বাতাস বাবুমশাই, " ভয় পেওনা, তুমি তোমার কাজে ঠিক সফল হবে"

নিন্‌ফা প্রাসাদের দরজার কড়া নাড়ল, আর এক কর্মচারী বেরিয়ে এল।
" আমি আপনাকে কি সাহায্য করতে পারি?" জিজ্ঞাসা করল কর্মচারী।
"আমি রাজপুত্রের সাথে দেখা করতে চাই," জানাল নিন্‌ফা।
"মহাশয়া," কর্মচারীটি বলল, "আপনি তো তাঁর সাথে এখন দেখা করতে পারবেন না। তাঁর আজ বিয়ে হচ্ছে কিনা, আর তিনি এখন রাজকন্যার সাথে বাজনার তালে তালে নৃত্য করছেন।"
একথা শুনে নিন্‌ফা বলল, "তাহলে আমাকে অন্তত এই আনন্দ অনুষ্ঠান দেখার একটা সুযোগ করে দিন দয়া করে। আমি এইরকম বড় অনুষ্ঠান আগে কোনদিন দেখিনি"।
নিন্‌ফার আবদার শুনে কর্মচারী অনেক ভেবে বলল- "ঠিক আছে, আমি আপনাকে ভেতরে ঢুকতে দিতে পারি, কিন্তু খেয়াল রাখবেন, বিয়ের কনে রাজকন্যা যেন আপনাকে দেখে না ফেলেন; দেখেল কিন্তু খুব রেগে যাবেন, আপনি নিমন্ত্রিত নন কিনা..."

নিন্‌ফা ভেতরে ঢুকে দেখে তার স্বামী সেই রাজপুত্র, টেবিলে বসে অনেক অতিথিদের সাথে খাওয়াদাওয়া করছে।
সে নিজে দেওয়ালের কোণ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রাজপুত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকল। কিন্তু রাজপুত্র তো অন্যদের সাথে গল্প করে যাচ্ছে। সে বেচারি নিন্‌ফাকে দেখতেই পেল না।
এদিকে এক সময়ে নিন্‌ফাকে দেখে ফেলল সেই বিয়ের কনে। সে আসলে ছিল এক দুষ্টু ডাইনি, যে নিজের জাদুর জালে জড়িয়ে রাজপুত্রকে বন্দী করে বিয়ে করছিল।

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা