সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

বুড়ি নিন্‌ফাকে বলল- "তুমি চুল্লির পেছনে গিয়ে লুকাও। চাঁদ ঠাকরুণ এলে আমি জিজ্ঞাসা করে দেখব উনি বিশ্বাসের প্রাসাদ সম্পর্কে কিছু জানেন কিনা।

উষাকালে কাজকম্মো সেরে চাঁদ ঠাকরুণ বাড়ি ফিরলেন। তাঁর মেজাজ তখন খুব গরম; আঙুলে বুনোফলের কাঁটা ফুটে গিয়েছে যে! রান্নাঘরে ঢুকেই চাঁদ ঠাকরুণ নাক-মুখ কুঁচকে বললেন- মানুষের গন্ধ যেন পাচ্ছি মনে হচ্ছে! এক্ষুনি মানুষটাকে ধরে এনে আমাকে দিবি, নাকি তোকেই ধরে খাব?"
সে কথা শুনে রাধুনী বুড়ি মুখ বেঁকিয়ে বলল- "আ মোলো যা! তোমার মাথা খারাপ হয়েছে ঠাকরুণ" চুল্লীতে মুরগি সেঁকতে দিয়েছি, আর তোমার মনে হচ্ছে মানুষের মাংস?? বসে তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমাতে যাও দিকি। তুমি কাজ করে ক্লান্ত, তোমার মাথার ঠিক নেই।"

চাঁদ ঠাকরুণ তো গুছিয়ে খেতে বসলেন। ওদিকে রাঁধুনী বুড়ি বকবক শুরু করলে – "আগের দিন প্যাঁচা এই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তা আমি ওর সাথে একটু গল্পগুজব করলাম আর কি...তা প্যাঁচা বলছিল সে নাকি কোন এক বিশ্বাসের প্রাসাদ এর কথা শুনেছে। তা আমি তাকে বললুম- আমাদের চাঁদ ঠাকরুণ কত কিছু জানেন, তিনি নিশ্চয় ওই প্রাসাদের কথাও জানেন।"
খেয়ে দেয়ে চাঁদ ঠাকরুণের মেজাজ একটু ঠাণ্ডা হয়েছে। তিনি বুড়িকে বললেন- "সত্যি বলতে কি, এটা আমি জানিনা । তবে কিনা সুয্যি মশাই জানতে পারেন।"

এই বলে চাঁদ ঠাকরুণ তো ঘুমাতে গেলেন। রাঁধুনী বুড়ি তাড়াতাড়ি দরজা খুলে নিন্‌ফাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়ে বলল- তাড়াতাড়ি হাঁটা লাগাও। চাঁদবুড়ি জেগে গেলেই মুশকিল! ওই সামনের পথ দিয়ে হাঁটো। সু্য্যি মশাই-এর বাড়ি পেয়ে যাবে।

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা